|
|
|
|
|
|
দক্ষিণ কলকাতা: বেহালা |
মহেশতলা |
বেহাল সড়ক |
দীক্ষা ভুঁইয়া |
পিচ আছে নামমাত্র। অধিকাংশ জায়গায় ইট বেরিয়ে পড়েছে। তৈরি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্ত। কয়েকটি গর্ত এত বড় যে এড়িয়ে গাড়ি চালাতে হয়। এ ছবি মহেশতলা পুরসভার অন্তর্গত ডাকঘর থেকে আক্রা স্টেশন এবং আক্রা স্টেশন থেকে আক্রা ফটক পর্যন্ত রাস্তা দু’টির। স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, এই অবস্থার জন্য সন্ধ্যার পরে এই রাস্তায় গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যায়। |
|
মহেশতলা পুরসভার আক্রা ফটক থেকে আক্রা স্টেশন এবং আক্রা স্টেশন থেকে ডাকঘর পর্যন্ত রাস্তা দু’টির মধ্য দিয়ে গিয়েছে শিয়ালদহ-বজবজ শাখার রেললাইন। আক্রা ফটক থেকে আক্রা স্টেশন পর্যন্ত বিস্তৃত আক্রা ফটক রোড দেড় থেকে দু’কিলোমিটার দীর্ঘ। আক্রা স্টেশন থেকে ডাকঘর পর্যন্ত বিস্তৃত ডাকঘর বা নিবারণ দত্ত রোড প্রায় চার কিলোমিটার দীর্ঘ। অভিযোগ, কয়েক বছর ধরেই রাস্তা দু’টির বেহাল অবস্থা। মাঝেমধ্যে ইট বা স্টোনচিপ্স ফেলে তাপ্পি দেওয়া ছাড়া আর কিছুই হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, সম্প্রতি পুজোর আগেও তাপ্পি
দেওয়ার কাজ সেরেছে পুরসভা। কিন্তু এতে বিশেষ সুবিধা হয় না। কিছু দিন পরেও যে-কে-সেই।
অভিযোগ, খারাপ রাস্তার জন্য সন্ধ্যা হলেই অটো এবং অন্যান্য গাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। কারণ, অন্ধকারে গর্ত বোঝা যায় না। কোনও বড় গর্তে চাকা পড়ে গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। গত কয়েক বছরে গর্তে গাড়ির চাকা পড়ে বেশ কিছু দুর্ঘটনাও ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।
আক্রা স্টেশন সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা তহমিনা বেগম বললেন, “একটু বৃষ্টি হলেই অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। তা ছাড়া সন্ধ্যার পরে রাস্তায় গাড়ি মেলে না। ফলে আমাদের খুব অসুবিধা হয়।” অন্য দিকে, নোয়াপাড়ার বাসিন্দা অরিজিৎ রায়ের কথায়: “রাস্তায় যে পিচ হয়েছিল তা দেখলে বোঝা যায় না। কঙ্কালসার অবস্থা।” |
আক্রা ফটক রোড |
নিবারণ দত্ত রোড |
|
কয়েক বছর এ রাস্তায় বাস চালাচ্ছেন অসীম দাস। তিনি বললেন, “এ রাস্তায় বাস চালানোই দায়। গর্ত এড়িয়ে অনেক কষ্টে গাড়ি চালাতে হয়। দীর্ঘ দিন এই অবস্থা। এই অবস্থায় রাতে গাড়ি চালাতে চাই না। গাড়ি কমে যায়।” নিবারণ দত্ত রোড এবং আক্রা ফটক রোড মহেশতলা পুরসভার অন্তর্গত।
মহেশতলা এলাকায় রাস্তা দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন পুরসভার চেয়ারম্যান তৃণমূলের দুলাল দাস। তিনি বলেন, “রাস্তার কাজের জন্য দরপত্র ডাকার কাজ ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। কিন্তু পুজোর আগে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় কাজ শুরু করা যায়নি। তবে এর মধ্যেই বেশ কিছু জায়গায় গর্ত বোজানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে রাস্তা পুরো সারাতে সময় লাগবে।” কয়েক দিন পরেই পিচ ঢেলে রাস্তা সারানো শুরু হবে বলে তিনি জানান।
|
ছবি: অরুণ লোধ |
|
|
|
|
|