|
|
|
|
|
|
খেলা |
সোনালি দিনের আশায় |
উত্তম রায় |
উপচে পড়া ভিড়। মাঠে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এক ঝাঁক প্রাক্তন তারকা। সম্প্রতি এই ছবিটাই দেখা গেল সালকিয়া সম্মিলনী পার্কে এমএলএ কাপের ফাইনালে। ফাইনালে ১২ নম্বর ওয়ার্ড ১-০ গোলে ৩ নম্বর ওয়ার্ডকে হারিয়ে
চ্যাম্পিয়ন হয়।
|
|
উদ্যোক্তাদের তরফে সাংগঠনিক সম্পাদক গৌতম চৌধুরী জানান, এই ফুটবল প্রতিযোগিতায় উত্তর হাওড়ার সালকিয়া, ঘুসুড়ি, বালি, বেলুড় এলাকার ১৬টি ওয়ার্ডের ১৬টি দলের মোট ১৬০ জন ফুটবলার অংশগ্রহণ করেন। এই প্রতিযোগিতার অন্যতম আয়োজক উত্তর হাওড়ার বিধায়ক অশোক ঘোষের কথায়: “এই উত্তর হাওড়া থেকে বদ্রু বন্দ্যোপাধ্যায়, সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, ল্যাংচা মিত্রের মতো ফুটবলার উঠে এসেছেন। ইদানীং সে সুদিন নেই।
হাওড়ার ফুটবলের সোনালি অতীতকে ফিরিয়ে আনার জন্য এই উদ্যোগ।” দু’দিনের এই নকআউট প্রতিযোগিতায় খেলা দেখে আইএফএ তালিকাভুক্ত কোচ শুভাশিস সরকার ও অমল রাহা ৩০ জন ফুটবলারকে বেছে নেবেন। যাঁদের আগামীতে দীর্ঘমেয়াদি কোচিং ক্যাম্প করে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন সায়ন পাল। চ্যাম্পিয়ন দলের অধিনায়ক কার্তিক সাঁতরার কথায়: “জিতে খুবই আনন্দ হচ্ছে। যাঁদের খেলা দেখেছি তাঁরা আমাদের খেলা দেখলেন। এটা বড় পাওনা।” |
|
রানার্স ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অধিনায়ক বাপন করণ বলেন, “ফাইনালে আমরা আশানুরূপ খেলতে পারিনি। ওরা যোগ্য দল হিসেবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
সব থেকে বড় পাওনা উত্তর হাওড়ার ৩০ জন ফুটবলার প্রথাগত ভাবে তালিম নেওয়ার সুযোগ পাবে। ” প্রতিযোগিতার সেরা ফুটবলার হন চ্যাম্পিয়ন দলের গোলকিপার
প্রণব মণ্ডল। চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স কাপ ছাড়াও প্রত্যেক খেলোয়াড়কে দেওয়া হয় ট্র্যাকস্যুট, ক্রীড়া সরঞ্জাম। ছিলেন সাংসদ অম্বিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিধায়ক অশোক ঘোষ, স্বপন বল (ইস্টবেঙ্গলের ফুটবল সচিব), প্রাক্তন ফুটবলার সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, কম্পটন দত্ত, বিদেশ বসু, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, কৃষ্ণেন্দু রায় প্রমুখ।
|
ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
|
|
|
|
|
|