দেওয়ালির রাতে ফের মৃত্যু হল বন্ধ ঢেকলাপাড়া বাগানের এক বাসিন্দার। বাগানের নেপানিয়া ডিভিশনের বৈদর লাইনের বাসিন্দা ওই গৃহবধূর নাম ইরবিনা লোহার (২২)। এই নিয়ে ওই চা বাগানে গত দু মাসে ১৪ জনের মৃত্যু হল। ইরবিনা বাগান বন্ধ হওয়ার পরে নদীতে পাথর ভাঙতেন। তাঁর স্বামী রবি সংসার চালাতে না পেরে কাজের খোঁজে দক্ষিণ ভারতে চলে যান। সংসার চালাতে রীতিমত হিমসিম খেত হত তাদের। মাস তিনেক আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন ইরবিনা দেবী। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গেলে তাঁর যক্ষ্মা হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দেন। ওষুধ দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গত দু মাস ধরে তার স্বামী ভিন রাজ্য থেকে বাগানে ফেরেন। |
রবি পাথর ভেঙে যে টাকা পেতেন তা দিয়ে সংসার ঠিকমত চলত না। পুষ্টিকর খাবার না মেলায় দুর্বল হতে থাকে ইরবিনা দেবী। ফের তাকে বীরপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়। এদিকে, আবেদন পত্র জমা না দিলে চাল মিলবে না বলে সোমবার বাগানে গিয়ে বিডিও জানিয়ে দেওয়ায় চা শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ। এদিন বাগানের ওই দুর্দশার খবর শুনে ফালাকাটার তরুণ দল ক্লাবের পক্ষে বাগানের বাসিন্দাদের জন্য ত্রাণ হিসাবে চাল, ডাল,সয়াবিন, মসলা,আলু, তেল সহ আনাজ নিয়ে বাগানে যান। তরুণ দলের সদস্য বিমান সাহা রায় বলেন, “বাগানের ওই শ্রমিক পরিবারগুলি চরম দুর্দশায় পড়েছে। অসহায় শ্রমিকদের পাশে সকলের দাঁড়ানো উচিত।” |