নেই পর্যাপ্ত শেড। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা। ইতিউতি জঞ্জালের ছড়াছড়ি। আলিপুরদুয়ার শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের জেলাপরিষদ নিয়ন্ত্রিত পুরাতন হাটের এমনই দশা। বিভিন্ন মহলে অভিযোগ উঠেছে, দীর্ঘদিন ধরে হাট সংস্কারের কাজ হয় না। প্রশাসনের কর্তাদের সমস্যার কথা জানিয়ে লাভ হয়নি। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি দীপ্তি দত্ত বলেন, “আলিপুরদুয়ারের হাটের সমস্যার কথা কেউ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সপ্তাহে দু’দিন রবিবার ও বৃহস্পতিবার ওই হাট বসে। পাঁচশো ব্যবসায়ী এখানে বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে আসেন। এ জন্য তাঁদের খাজনা দিতে হয়। কিন্তু খাজনার বিনিময়ে যে পরিষেবা পাওয়ার কথা তার কিছুই মিলছে না বলে অভিযোগ। হাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক কমল দেবনাথ বলেন, “হাটে একটি মাত্র শৌচাগার পুরসভা তৈরি করে দিয়েছে। বেহাল দশার জন্য ওই শৌচাগার ব্যবহার করা যায় না। পর্যাপ্ত শেড না থাকায় ব্যবসায়ীদের আকাশের নীচে বসতে হচ্ছে।” ব্যবসায়ীরা জানান, দশ বছর আগে কিছু শেড তৈরি করে জেলা পরিষদ। এর পরে কোনও কাজ হয়নি। কাপড় ব্যবসায়ী আশিষ সেন বলেন, “বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার জন্য বর্ষাকালে জলকাদায় মধ্যে দোকান খুলে বসতে হয়। শেড নেই। বাধ্য হয়ে নিজেরা টাকা খরচ করে সিমেন্টের খুটি পুঁতে উপরে টিনের চাল দিয়েছি।” মুড়ি হাটে শেডের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। টিনের চাল ফুটোয় ভরা। নীচের সিমেন্ট ভেঙে মাটি বেরিয়েছে। বাবুরহাট থেকে মুড়ি বিক্রি করতে আসা লক্ষ্মী বর্মন বলেন, “বর্ষায় শেডের তলায় বসব উপায় নেই। সেখানে জল পড়ে। মুড়ি নষ্ট হয়। মাসের পর মাস এ ভাবেই চলছে।” ব্যবসায়ীরা প্রশ্ন তুলেছেন সামান্য পরিষেবার ব্যবস্থা না করে কেন রাজস্ব আদায় চলবে? যদিও জেলা পরিষদ কর্তারা মুখ খোলেননি।
|
কাউন্সিলরের বাড়িই অবৈধ ভাবে তৈরি বলে অভিযোগ তুললেন শিলিগুড়ি পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রানিকুঠি মন্দির রোডের এক বাসিন্দা। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এ ব্যাপারে অভিযোগ তুলেছেন ওই ব্যক্তি সুমন দুর্গারি। সম্প্রতি রানিকুঠি মন্দির রোডের সুমনবাবুর বিরুদ্ধেও খাস জমিতে অবৈধ কারখানা তৈরির অভিযোগ ওঠে। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমরনাথ সিংহ এ ব্যাপারে পুরসভার কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। তার পরেও সুমনবাবুকে নোটিস পাঠিয়ে পুরসভা ওই অবৈধ নির্মাণ ভেঙে দিতে নির্দেশ দেয়। এ দিন সুমনবাবু সাফ জানিয়ে দেন, “পুরসভা আমার ওই কারখানা ভেঙে দিলে বলায় আপত্তি নেই। তবে আগে কাউন্সিলরের বাড়ির অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে হবে। পুরসভার তরফে ২০১০ সালে খাস জমিতে অবৈধ ভাবে বাড়ি তৈরির জন্য অমরনাথবাবুর পরিবারকে নোটিস পাঠিয়ে তা ভেঙে দিতে বলেছিলেন পুর কর্তৃপক্ষ। অথচ তা কার্যকর হয়নি।” পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের মেয়র পারিষদ সীমা সাহা বলেন, “কাউন্সিলের বাড়ির বিষয়টি জানা ছিল না। তখন মেয়র বিল্ডিং বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। এ ব্যাপারে খোঁজ নেব।” মেয়র বলেন, “সুমনবাবু যে শর্ত আরোপ করতে চাইছেন তা ঠিক নয়। এক জন অবৈধ ভাবে কিছু করেছেন বলে তিনিও করবেন তা হতে পারে না।” তবে অমরনাথবাবুর স্ত্রীর নামে থাকা ওই বাড়িটি অবৈধ ভাবে তৈরি হলেও নোটিস পাঠানোর পর তা ভেঙে দেওয়া হয়নি কেন। এ ব্যাপারে অবশ্য মেয়র কোনও সদুত্তর দেননি। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমরনাথ সিংহ ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা। শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম বলেন, “শহরের বিভিন্ন বস্তি এলাকায় এ ধরনের অনেক বাড়িই তো রয়েছে। তবে ঠিক কী হয়েছে কাউন্সিলরই ভাল বলতে পারবেন।” অমরনাথবাবু বলেন, “ওই বাড়ি আমার স্ত্রীর নামে। পুর কর্তৃপক্ষ অবৈধ নির্মাণের নোটিস পাঠালে সেই থেকে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।”
|
আগুন লেগে ছাই হল একটি বাড়ি। বুধবার আড়াইটে নাগাদ শিলিগুড়ি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিবেকানন্দ রোডের ধারে স্বামীনগর কলোনিতে ওই বাড়িতে আগুন লাগে। তাতে বাড়ির মালিক-সহ ভাড়াটেদের ৯টি পরিবার বিপাকে পড়েছে। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাড়াটেদের মধ্যে লেপ, তোশক তৈরির কাজে যুক্ত ৬ জন। সেই সুবাদে ওই বাড়িতে প্রচুর তুলা মজুত করা ছিল। কী ভাবে আগুন লেগেছে তা দমকল খতিয়ে দেখছে। তবে টিন-বেড়ার ঘর হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়ায়। আগুনে লাগোয়া ৩টি বাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগুন নেভাতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আরও ২টি বেড়ার বাড়ি। দমকলের উত্তরবঙ্গের ডেপুটি ডিরেক্টর গৌর প্রসাদ ঘোষ বলেন, “আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে সেখানে প্রচুর তুলা মজুত থাকায় আগুন দ্রুত ধরেছে।” স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সব মিলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১৫টি পরিবার। এ দিন পুরসভার তরফে তাদের ত্রিপল, শাড়ি, লুঙ্গি, কম্বল, চাদর দেওয়া হয়েছে। রাতে খাওয়ারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মেয়র বলেন, “কী ভাবে আগুন লেগেছে তা দমকলের তরফে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে পুরসভার তরফে ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। রাতে তাদের থাকা খাওয়ারের ব্যবস্থাওকরা হয়েছে।” কাউন্সিলর রমেশ প্রসাদ গুপ্ত জানান, লাগোয়া একটি মাদ্রাসায় বাসিন্দাদের থাকার ব্যবস্থা করার কথা ভাবা হলেও বাসিন্দারা লাগোয়া কয়েকটি বাড়িতেই থাকার জায়গা করে নেন।
|
বধূ নির্যাতনের অভিযোগে এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ আলিপুরদুয়ারের বাবুপাড়া এলাকা থেকে ওই চিকিৎসককে ধরা হয়। গ্রেফতারের পরে অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পুলিশ জানায়, ধৃত চিকিৎসকের নাম নিলয় সাহা। আলিপুরদুয়ার থানার আইসি সুদীপ ভট্টাচার্য “বধূ নির্যাতনের অভিযোগে চিকিৎসককে ধরা হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাঁচ মাস আগে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে অসমের গোলকগঞ্জের বাসিন্দা রিঙ্কু রায়ের বিয়ে হয়। অভিযোগ বিয়ের পর থেকে তিনিস্ত্রীকে মারধর করতেন। সোমবার রিঙ্কু দেবী পুলিশের দ্বারস্থ হন। নিলয়বাবু মন্তব্য করেননি।
|
রাজবংশী সিনেমার প্রচারে ভ্রাম্যমাণ প্রর্দশনী শুরু হল আলিপুরদুয়ারের ঘাঘরা এলাকায়। বুধবার প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন মহকুমাশাসক। তাতে রাজবংশী সিনেমার মাধ্যমে পণপ্রথা, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা হবে। মহকুমাশাসক অমল কান্তি রায় বলেন, “ভাল উদ্যোগ। ওই প্রদর্শনীর ফলে স্থানীয় শিল্পীরাও উৎসাহিত হবেন।” আয়োজকদের পক্ষে দেবকুমার দাস বলেন, “নিজেরা টাকা খরচ করে রাজবংশী সিনেমা তৈরি করি। তাতে সামাজিক সমস্যা ছাড়াও রাজবংশী সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়।”
|
ইস্টার্ন ইয়ং অ্যাসোসিয়েশনের পুজো ঘিরে মঙ্গলবার থেকে ময়নাগুড়ি ফুটবল ময়দানে শুরু হল তিন দিনের মেলা। প্রাচীন জনপদ ময়নাগুড়ি ব্লক জুড়ে ছড়িয়ে আছে নানা প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান। সবই আনা হয়েছে মণ্ডপে। জল্পেশ, জটিলেশ্বর, ভদ্রেশ্বর মন্দির ছাড়া বাঁশ-কাঠ-চট-থার্মোকল দিয়ে তৈরি হয়েছে শতাব্দীর প্রাচীন জরদা সেতু। পেটকাটি কালীর আদলে দেবী। উদ্যোক্তারা জানান, ময়নাগুড়ি ঘিরে পর্যটন বিকাশে সম্ভাবনা আছে। যে সমস্ত বিষয় নিয়ে পর্যটন শিল্পের বিকাশ সম্ভব সেটাই এবারের পুজো মণ্ডপে তুলে ধরা হয়েছে। মেলায় প্রত্যেকে সেগুলি দেখার সুযোগ পাবেন।
|