বিদেশিদের রেশন কার্ড বেচে বরখাস্ত দুই খাদ্য পরিদর্শক |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মোটা টাকার বিনিময়ে বাংলাদেশি নাগরিকদের রেশন কার্ড পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে দু’জন খাদ্য পরিদর্শককে বরখাস্ত করল রাজ্যের খাদ্য দফতর। এক জন উত্তর ২৪ পরগনার। অন্য জন নদিয়ার। বিদেশিদের রেশন কার্ড পাইয়ে দেওয়া, মোটা টাকার বিনিময়ে রেশন কার্ড তৈরির অভিযোগে সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে ১০ জন খাদ্য পরিদর্শককে বুধবার সাসপেন্ডও করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের ব্যক্তিগত নথিপত্র পাঠানো হচ্ছে রাজ্য ভিজিল্যান্স কমিশনের কাছে।
বুধবার খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এই খবর দিয়ে বলেন, “সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে বিদেশিদের রেশন কার্ড পাইয়ে দেওয়ার চক্র বহু দিন ধরেই সক্রিয়।” মন্ত্রী জানান, তদন্তে দেখা গিয়েছে, দুই ২৪ পরগনা, দক্ষিণ দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, নদিয়ার মতো জেলাগুলিতে খাদ্য পরিদর্শকদের যোগসাজশে প্রায় ১১ লক্ষ বাংলাদেশি রেশন কার্ড পেয়েছেন। বিদেশিরা তার ফলে ভারতের নাগরিক হয়ে যাচ্ছেন। পাচ্ছেন সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্র।
তদন্তকারীরা জেনেছেন, ৫-৭ হাজার টাকার বিনিময়ে এক-এক জন বিদেশি রেশন কার্ড পেয়েছেন। এই তথ্য সামনে আসতেই রেশন পরিদর্শকদের উপরে নজরদারি শুরু করেছে খাদ্য দফতর। এর জন্য দু’টি বিশেষ নজরদারি কমিটি গঠন করেছে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “গণবণ্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে সরবরাহ করা পণ্য যাতে খোলা বাজারে বিক্রি না হয়, তা নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্তরে বেশ কয়েকটি নজরদারি কমিটি গড়া হয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, খাদ্য দফতরের পরিদর্শকদের একাংশও ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরি এবং পণ্য পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন। তাই আরও একটি কমিটি গড়তে হয়েছে।”
সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে বিদেশিদের রেশন কার্ড পাওয়ার অভিযোগগুলি বিশেষ ভাবে খতিয়ে দেখতে ২০১১-র অগস্টে তদন্ত শুরু করেছিল খাদ্য দফতর। মন্ত্রী জানান, বেশ কিছু খাদ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রেশন কার্ড তৈরির জন্য যে ফর্ম সরকার বিনামূল্যে সরবরাহ করে, সেগুলি তাঁরা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। এ নিয়েও তদন্ত শুরু হয়েছে।
রাজ্যে এক কোটিরও বেশি ভুয়ো রেশন কার্ড আছে বলে অভিযোগ। এর একটি বড় অংশ আছে রেশন দোকানে। ভুয়ো কার্ডের বিনিময়ে রেশন দোকান থেকে পণ্য সরিয়ে নিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করা হয় বলে অভিযোগ। এই রকম প্রায় ৩০ লক্ষ ভুয়ো রেশন কার্ড উদ্ধার করেছে খাদ্য দফতর। এ নিয়েও অভিযান চলছে বলে খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন।
|
গঠন করা হবে কবি-গান অ্যাকাডেমি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
রাজ্য সরকার একটি ‘কবি-গান অ্যাকাডেমি’ গঠন করার সিদ্ধান্ত নিল। এই অ্যাকাডেমির কাজ হবে, রাজ্যের হারিয়ে যাওয়া কবি-গানকে ফিরিয়ে আনা ও এই বিষয়ে গবেষণা চালানো। রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী উপেন বিশ্বাস বুধবার মহাকরণে এই খবর জানান। উপেনবাবু জানিয়েছেন, এই কবি-গান অ্যাকাডেমির সদর দফতর খোলা হচ্ছে বনগাঁয়। কলকাতায় এর একটি শাখা খোলা হবে। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, ‘কবি-গান অ্যাকাডেমি’ পরিচালনার খরচের জোগান দেবে রাজ্য অর্থ দফতর। বনগাঁয় একটি সরকারি বাড়ি পাওয়া গিয়েছে। সেখানে অ্যাকাডেমি শীঘ্র কাজ শুরু করবে। তার পর ধীরে ধীরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ‘কবি-গান অ্যাকাডেমির’ কাজ ছড়িয়ে দেওয়া হবে। |