|
|
|
|
চুবকা |
পুকুর নিয়ে সংঘর্ষ, জখম ৫ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
পুকুর নিয়ে পুরনো বিবাদের জেরে আদিবাসীদের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষে জখম হলেন ৫ জন। তিরবিদ্ধ ও টাঙির কোপে আহত দু’জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বাকি তিন জন ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বুধবার বিকেলে ঝাড়গ্রামের চুবকা অঞ্চলের অনামা গ্রামের এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল ও সিপিএমের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, অনামা গ্রামের প্রাথমিক স্কুল সংলগ্ন একটি পুকুর দীর্ঘদিন ধরে নিজের দখলে রেখেছিলেন স্থানীয় সিপিএম নেতা ক্ষুদিরাম সোরেন। এই নিয়ে গ্রামবাসীর একাংশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ বিক্ষোভ ছিল। ওই পুকুরের মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনামা গ্রামের বেশির ভাগ পরিবার এখন তৃণমূলের সমর্থক। ফলে, ক্ষুদিরামবাবুর প্রভাব কমেছে। সেই ক্ষোভেই ক্ষুদিরামবাবুর লোকেরা এই দিন গ্রামে গোলমাল পাকায় বলে তৃণমূলের অভিযোগ।
সিপিএম নেতা ক্ষুদিরামবাবুর অবশ্য দাবি, “এই দিন তৃণমূলিরাই পরিকল্পিত ভাবে প্রথমে হামলা চালায়। স্থানীয় সিপিএম সমর্থক বাবুলাল বেশরার বাড়ি ভেঙে দেয় তৃণমূলিরা। এরপরই আমাদের সমর্থকেরা পাল্টা প্রতিরোধ করেন। তৃণমুলিদের হামলায় আমাদের চার সমর্থক জখম হন।”
চুবকা অঞ্চলের তৃণমূল নেতা সুখেন্দু মণ্ডলের অভিযোগ, “বিকেলে বাঁদনা পরবের অনুসঙ্গ ‘গরু খুঁটান’-এর অনুষ্ঠান চলাকালীন আমাদের কর্মী মল্লিক মাণ্ডির বাড়িতে অতর্কিতে চড়াও হয় সিপিএমের সশস্ত্র লোকেরা। মল্লিককে না-পেয়ে তাঁর প্রৌঢ় বাবা সুরাই মাণ্ডির উপর হামলা চালানো হয়। টাঙি ও শাবলের ঘায়ে মারাত্মক জখম হন সুরাইবাবু। সিপিএমের ওই অভিযুক্তেরা এখন পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে আহত হওয়ার নাটক করছে। সংঘর্ষের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। সুরাইবাবুর উপর একতরফা হামলা চালানোর পর সিপিএমের সশস্ত্র লোকেরা পালিয়ে যায়।” ক্ষুদিরামবাবুর অবশ্য দাবি, “এদিন আমাদের সমর্থকের বাড়িতে হামলা করার সময় তৃণমূলিদের দলে সুরাইবাবুও ছিলেন।”
পুলিশ জানিয়েছে, তৃণমূল সমর্থক সুরাই মাণ্ডি মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে মেদিনীপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পেটে তিরবিদ্ধ বছর সাতাশের সিপিএম সমর্থক পঞ্চানন সোরেনকেও মেদিনীপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক মহিলা-সহ বাকি ৩ জন সিপিএম সমর্থককে ঝাড়গ্রাম জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। উভয়পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয় নি। |
|
|
|
|
|