|
|
|
|
|
|
চেক বদল |
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশে ২০১৩-এর প্রথম দিন থেকেই চালু হবে নতুন ব্যবস্থা।
বাতিল হবে পুরনো চেক বই। কী করবেন, জানাচ্ছেন প্রজ্ঞানন্দ চৌধুরী |
চেক ট্রাংকেশন সিস্টেম বা সিটিএস। ব্যাঙ্কের নতুন চেকের পোশাকি নাম। অথবা এটাকে চেক ক্লিয়ারিং প্রক্রিয়ার নতুন ব্যবস্থাও বলা যেতে পারে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশে আগামী ১ জানুয়ারি থেকেই এই ব্যবস্থা চালুর প্রস্তুতি নিতে এখন ব্যস্ত দেশের সব ব্যাঙ্ক। এ বার থেকে সমম্ত লেনদেনই করতে হবে শুধুমাত্র সিটিএস চেকের মাধ্যমে।
হাতে থাকা পুরনো চেক বইয়ের কী হবে?
পুরানো চেক বইগুলি সিটিএস না-হলে বাতিল হয়ে যাবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ মতো চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই সমস্ত ব্যাঙ্কের গ্রাহকদের হাতে নতুন সিটিএস চেক পৌঁছে যাওয়ার কথা। ইতিমধ্যেই অনেক ব্যাঙ্ক তা গ্রাহকদের দিয়েও দিয়েছেন। আপনার চেক বই সিটিএস কি না জানতে খোঁজ নিন ব্যাঙ্কের শাখায়।
পি ডি সি দিয়েছেন?
যদি তা সিটিএস চেক না-হয়, তা হলে সব পোস্ট ডেটেড চেক (পি ডি সি)-ই ফেরত নিতে হবে। বদলে দিতে হবে সিটিএস চেক।
গ্রাহকদের কী সুবিধা?
বর্তমানে চেক জমা দেওয়ার পর দু’দিন লাগে ক্লিয়ার হতে। নতুন ব্যবস্থায় লাগবে এক দিন।
কমবে ভুয়ো চেকের মাধ্যমে প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনাও। |
|
খেয়াল রাখুন
(১) সিটিএস চেকে কাটাকুটি করা চলবে না। যেমন, বর্তমানে অনেক সময়ে গ্রাহক চেকের অঙ্ক ভুল লেখার পর, তা কেটে নতুন অঙ্ক লিখে স্বাক্ষর করে দেন।
(২) চেক ছিঁড়তে হবে সঠিক ভাবে। ‘পারফোরেশন’-এর জায়গা দিয়ে সঠিক ভাবে ছিঁড়তে হবে। অন্যথায় চেক বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
(৩) সিটিএস চেক ভাঁজ করা যাবে না। গভীর ভাবে ভাঁজ পড়লে বা কোনা মুড়ে গেলে, তা বাতিল হতে পারে।
দু’মাসেই এত কিছু সম্ভব?
দু’মাসের মধ্যে পুরো ব্যবস্থাটি চালু করা নিয়ে নিয়ে সংশয়ে ব্যাঙ্ককর্তারা। তাঁদের ধারণা, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশ যাই থাক না কেন, নতুন ব্যবস্থাটি পুরোপুরি চালু হতে কমপক্ষে মাস ছয়েক সময় লাগবে। নতুন চেক বই সব গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাহকেরাও বাদ নেই এই ব্যবস্থায়। তাই তাঁদের ধারণা জুন মাস পর্যন্ত লেগে যাবে নতুন ব্যবস্থা পুরোপুরি চালু করতে। তা বুঝেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ১৩ জুনের মধ্যে এই কাজ শেষ করার সময় দিয়েছে।
নতুন ব্যবস্থাটি কী?
ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নয়া ব্যবস্থা চালু করছে। এখন ব্যাঙ্কে চেক জমার পর তা বিভিন্ন হাত ঘুরে ক্লিয়ারিং হাউসে যায়। নতুন ডিজিটাল ব্যবস্থায় চেকের প্রতিচ্ছবি পাঠানো হবে ক্লিয়ারিং হাউসে, চেকটি নয়। এ জন্যই বলা হচ্ছে চেক ট্রাংকেশন সিস্টেম। অর্থাৎ কাগুজে চেকটির গন্তব্য মাঝপথে থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
দিল্লি, চেন্নাই ও মুম্বইতে থাকবে কেন্দ্রীয় ক্লিয়ারিং কেন্দ্র। ওখানে চেক পৌঁছতে তৈরি হচ্ছে তিনটি ক্লিয়ারিং গ্রিড। নর্দান, সাদার্ন এবং ওয়েস্টার্ন গ্রিড। সব অঞ্চল ওই তিনটি গ্রিডের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের চেকগুলি যাবে সাদার্ন গ্রিডের মাধ্যমে। সব ব্যাঙ্কই নিজস্ব হাব তৈরি করবে। জমা পড়া চেকের ডিজিটাল ইমেজ গ্রিডের মাধ্যমে পাঠানো হবে ক্লিয়ারিং কেন্দ্রে। পুরো প্রক্রিয়াটিই হবে অনলাইনে। |
|
|
|
|
|