আমাদের চিঠি

সুইসা’র দিকে তাকান রেল কর্তৃপক্ষ
উদয়নারায়ণপুরের পেঁড়ো থেকে বালিচক যাওয়ার রাস্তার এমনই অবস্থা। ছবি: সুব্রত জানা।
পশ্চিমবাংলার পিছিয়ে পড়া জেলা পুরুলিয়া। আর এই জেলারই পিছিয়ে পড়া থানা বাগমুণ্ডি, যার একমাত্র রেলস্টেশন ‘সুুইসা’। দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুরি-চাণ্ডিল শাখায় সুইসা স্টেশন সংলগ্ন সুইসা ডেলি মার্কেট জেলার মধ্যে অন্যতম। এখান থেকে প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের রাঁচি, জামশেদপুর, বোকারো, ঘাটশিলা প্রভৃতি স্থানে কাঁচা শাক-সবজি রফতানি হয়। এ ছাড়া এখানের প্রচুর লোককে কাজের সূত্রে ওই সব স্থানে প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। কিন্তু স্বাধীনতার পর চালু হওয়া এই রেললাইনে এখনও মাত্র দু’টি লোকাল ও একটি এক্সপ্রেস (রাঁচি-হাওড়া) চলে। আগে অবশ্য একটিই লোকাল চলত। স্টেশনের টিকিট কাউন্টার যে কোনও বড় স্টেশনের লম্বা লাইনের সঙ্গে পাল্লা দেবে। তবু কোনও এক অজ্ঞাত কারণে আজও এখানে ট্রেনের সংখ্যা বাড়েনি। এ বিষয়ে কোনও উদ্যোগও দেখা যায়নি রেলের বা রাজনৈতিক নেতৃত্বের। পশ্চিমবাংলার চার জন রেলমন্ত্রীকে আমরা পেয়েছি। কিন্তু কেউ কি এক বারও চিন্তা করেছেন সুইসা বাদ দিয়ে তোড়াং ও ইলু নামে আরও দুটো স্টেশন আছে যা আমাদের রাজ্যের মানচিত্রে পড়ে। নাকি তারা ভেবেছেন কি হবে এ সব নিয়ে মাথা ঘামিয়ে। অথচ বাংলার পরিবর্তন (রাজনৈতিক) এসে যাওয়ার পরে আমরা মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনেক কিছু আশা করেছিলাম। কিছু আশা পূর্ণ যে হয়নি তা নয়, কিন্তু যোগাযোগই যেখানে উন্নয়নের প্রধান স্তম্ভ, সেখানে আমরা অনেকটা পিছিয়ে। তাই প্রাক্তন রেল ও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ এই বিষয়টি একটু ভেবে দেখবেন।
মদের ঠেক, নীরব পুলিশ
‘বাবা কেন বিধায়ক’ (২-৮-২০১২) নিবন্ধে স্বাতী ভট্টাচার্য যা বলেছেন, তা খাঁটি সত্য“মুখ্যমন্ত্রী আগ্রহী নন মদের ভাটি ভাঙতে, মেয়েদের নির্যাতনের সঙ্গে যার সম্পর্ক অতি ঘনিষ্ঠ। যত দুষ্কৃতী মদের ঠেকের পাশে ঘোরে।” যা তিনি লেখেননি, তা হল পুলিশ-থানা এদের সবচেয়ে বড় রক্ষক ও মদতদাতা! কারণ, পুলিশ ওদের কাছে নিয়মিত তোলা নেয়। আসুন, হাওড়ার জগৎবল্লভপুর থানার সীমানায় পাঁচলা থানার জালালসি গ্রামে। রাস্তার পাশেই চোলাইয়ের বিশাল ঠেক। সকাল থেকেই তাদের দাপটে ওই রাস্তা দিয়ে প্রায় ৪০০ স্কুল-ছাত্রছাত্রীর যাওয়া-আসা খুবই কষ্টের ও ভয়ের। এলাকাটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অপূর্ব হলেও ওদের ভয়ে শিশু-মহিলা ও বয়স্ক নাগরিকেরা ওখানে যেতে ভয় পান। স্থানীয় কাউকেও ওই সব অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করতে দেখা যায় না। কারণ, ওরা যেখানে-সেখানে যা খুশি ঘটিয়ে ফেলতে পারে। থানায় লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েও ফল হয়নি। প্রশাসনকে অনুরোধ, দয়া করে বুঝুন আমাদের অসহায় অবস্থাটা।
অটোর রুট চালু হোক
খড়্গপুর স্টেশন থেকে পুরনো বাজার বা কৌশল্যা পর্যন্ত যেতে হলে রিকশা ছাড়া যানবাহন নেই। রিকশার ভাড়াও অত্যধিক। হাওড়া থেকে খড়্গপুর ট্রেনভাড়া ২২ টাকা। অথচ খড়্গপুর স্টেশন থেকে পুরনো বাজার ২৫ টাকা। ক্ষেত্রবিশেষে ৩০-৩৫ টাকা পর্যন্ত দিতে বাধ্য হন যাত্রীরা। কৌশল্যার ভাড়া তো বলার মতো নয়। ৪০-৫০ টাকা যা বলে, তাই দিতে হয় অসহায় যাত্রীদের। খড়্গপুর স্টেশন থেকে খরিদা, মালঞ্চ, সদর হাসপাতাল, ইন্দা, এমনকী সুদূর নিমপুরা পর্যন্ত পর্যাপ্ত অটো থাকলেওপ্রধানত মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের এলাকা হয়েও পুরনো বাজার বা কৌশল্যা প্রভৃতি অঞ্চলে অটোর রুট নেই। এ বিষয়ে পুরপিতা ও মহকুমাশাসককে অবহিত করা সত্ত্বেও অবস্থা পাল্টায়নি। বাধ্য হয়ে সংবাদপত্রের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙানোর এই চেষ্টা।
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি
সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.