বৃত্তিশিক্ষায় স্কুলেই ক্যাম্পাসিং ভাবনা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলে আগামী
শিক্ষাবর্ষ থেকে বৃত্তিমূলক শিক্ষা
চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বৃত্তিমূলক পাঠ্যক্রমের শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগও করা হচ্ছে বলে রবিবার জানান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
জাতীয় শিক্ষা দিবস পালনের এক অনুষ্ঠানে এ দিন ব্রাত্য বলেন, “বৃত্তিমূলক শিক্ষার ছাত্রছাত্রীদের চাকরির ব্যবস্থা করার জন্য স্কুলেই ক্যাম্পাসিংয়ের কথা ভাবা হচ্ছে। এ জন্য বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনাও চালানো হচ্ছে।” বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে মূলস্রোতের শিক্ষার সঙ্গে মিশিয়ে দিতে সরকার কিছু দিন আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে জন্যই বৃত্তিমূলক শিক্ষা সংসদ থেকে বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ুয়াদের চাপ কমাতে এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষায় পড়ুয়াদের উৎসাহিত করতেই বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে উচ্চমাধ্যমিক সংসদের হাতে দেওয়া হয়ে বলে শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর। এত দিন আলাদা ভাবে বৃত্তিমূলক পাঠ্যক্রম থাকলেও সেখানে ছাত্রদের উৎসাহ খুব একটা ছিল না। |
জাতীয় শিক্ষা দিবসের অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রবিবার। —নিজস্ব চিত্র |
এ বার স্কুল স্তরেই বৃত্তিশিক্ষা সংযুক্ত হলে এবং ক্যাম্পাসিংয়ের ব্যবস্থা হলে ছাত্রছাত্রীরা এই পাঠ্যক্রমে উৎসাহিত হবে বলে রাজ্য সরকারের আশা।
শিক্ষকদের একাংশ রাজ্য সরকারের সঙ্গে সহমত। তবে তাঁদের একটি আশঙ্কাও রয়েছে। তাঁদের মতে, বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রধান লক্ষ্য স্বনির্ভরতা। ক্যাম্পাসিংয়ে সকল পড়ুয়ার চাকরি না হলে বৃত্তিশিক্ষা ক্রমশ তার স্বনির্ভরতার লক্ষ্য হারাতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা। সে ক্ষেত্রে ফের বৃত্তিশিক্ষায় পড়ুয়াদের উৎসাহের ভাঁটা পড়তে পারে বলে তাঁদের মত।
ছাত্রছাত্রীদের আরও বেশি করে স্কুলমুখো করতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত মিড ডে মিল চালুর প্রস্তাব দিয়েছে শিক্ষা দফতর। প্রকল্পের অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে আবেদন করা হয়েছে বলে এ দিন ব্রাত্য জানান। এখন স্কুলগুলিতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মিড ডে মিল দেওয়া হয়। এ ছাড়াও ছাত্রদের ক্লাসমুখো করতে এবং পঠনপাঠনের মান বাড়াতে শিক্ষকদের নিয়ে আগামী মাসে একটি কর্মশালা করা হবে বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন। স্কুল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা এবং স্কুলের পরিবেশ পাঠোপযোগী করার নিরিখে শিক্ষা দিবসের ওই অনুষ্ঠানে রাজ্যের ৪০টি প্রাথমিক স্কুলকে ‘নির্মল ও শিশুমিত্র’ পুরস্কার দেওয়া হয়। |
বেতন-পদের বৈষম্যে ক্ষোভ শ্রম দফতরে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বেতনের সঙ্গে পদের বৈষম্য নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে রাজ্যের শ্রম দফতরে। সরকারি আধিকারিকদের একাংশের অভিযোগ, রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে বেতনের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে পদ (স্কেল লিঙ্ক্ড ডেজিগনেশন বা এসএলডি) ঠিক করার ব্যবস্থা থাকলেও শ্রম দফতরে তা চালু হয়নি। পরিবর্তনের পরে এই সরকারের আমলেও বৈষম্য দূর হয়নি। সরকারি অফিসারদের সংগঠন ‘কনভেনশন অফ স্টেট সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনে’র সাধারণ সম্পাদক গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “অন্য সব দফতরে হলেও শ্রম দফতরে এসএলডি নেই। এই বৈষম্য দূর করা এবং পদোন্নতিতে নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে চলার কথা অনেক দিন বলে আসছি।” ওয়েস্ট বেঙ্গল লেবার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিতান দে-র বক্তব্য, “আমরা শ্রম কমিশনারের মাধ্যমে সরকারকে বিষয়টি জানিয়েছি। অন্য অনেকগুলি সার্ভিসে এটি কার্যকরী হয়ে যাওয়ায় আমাদের জুনিয়র সদস্যেরা হতাশায় ভুগছেন। আশা করি, সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।” মহাকরণ সূত্রের খবর, বেতন-পদ বৈষম্য দূর করার জন্য ফের ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। তবে শ্রম কমিশনার অমল রায়চৌধুরী এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি। |