অশান্তি নয়, শান্তি চাই। গ্রামে নতুন করে কোনওরকম অশান্তি বরদাস্ত করা হবে না। রবিবার সুতির শঙ্করপুরের গ্রামবাসীরা পুলিশের সামনে এমনই শপথ নিলেন। এদিন তাঁরা ৭০টি বোমা পুলিশের হাতে তুলে দিয়ে শান্তি প্রক্রিয়ার প্রাথমিক কাজ শুরু করেন। গ্রামবাসীদের এই শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন জঙ্গিপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, সুতি ও সামশেরগঞ্জ থানার ওসি।
জঙ্গিপুরের এসডিপিও ওয়াংবেন ভুটিয়া বলেন, “অসামাজিক কাজকর্ম বন্ধ করতে গ্রামবাসীরা নিজেরাই শান্তি কমিটি। তাঁরা বলেছেন গ্রামে দুষ্কৃতীমূলক কাজকর্ম বন্ধ করবেন। সেক্ষেত্রে পুলিশ সর্বতোভাবে তাঁদের পাশে থাকবে।”
সুতির কাশিমনগর পঞ্চায়েত লাগোয়া বালিয়াঘাটি, শঙ্করপুর-সহ কয়েকটি গ্রামে অশান্তি লেগেই থাকে। সিপিএম ও কংগ্রেস-দুই দলই দুষ্কৃতীদের মদত দেয় বলে অভিযোগ। জঙ্গিপুর উপনির্বাচনের সময় এক সিপিএম নেতা গুরুতর জখম হলে ওই এলাকায় নতুন করে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে গ্রামের অনেক সাধারণ মানুষ ঘরছাড়া। এই পরিস্থিতি বদলাতে গ্রামবাসীরা গড়ে তুলেছেন শান্তি কমিটি। কমিটির মূল উদ্যোক্তা মৌলানা আমিনুল ইসলাম বলেন, “লাগাতার অশান্তির ফলে ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না। সন্ত্রাসের বাতাবরণে এলাকায় সমস্ত রকম সামাজিক কাজকর্ম বন্ধ হওয়ার উপক্রম। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে ৬০ সদস্যের একটি শান্তি কমিটি গড়া হয়েছে। রবিবার সকলের উপস্থিতিতে গ্রামবাসীরা গ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়েছেন। প্রশাসনের উদ্যোগও প্রশংসনীয়।”
সিপিএমের কাশিমনগর লোকাল কমিটির সদস্য মফিজুদ্দিন বলেন, “ভাল উদ্যোগ। রাজনৈতিক মদত না পেলে দুষ্কৃতীরা পিছু হটবে। বন্ধ হবে অসামাজিক কাজ।” কংগ্রেসের সুতির ব্লক সভাপতি আলফাজুদ্দিন বিশ্বাসের বক্তব্য, “অশান্তিতে মারা পড়ছিলেন নিরীহ মানুষ। শনি ও রবিবার সভা করে আমরা শপথ নিয়েছি কোনও দুষ্কৃতীকে প্রশয় দেওয়া হবে না। সেই মতই রবিবার সকলে শান্তিতে থাকার শপথ নিয়েছেন।”
তবে পুলিশ অবশ্য মানতে নারাজ যে গ্রামে সাকুল্যে ৭০টি বোমাই ছিল। আরও বোমা রয়েছে গ্রামে। পুলিশের হাতে তুলে দিলে তবেই এ যাত্রায় রেহাই পাবে তারা। |