শুধু ক্রিকেট নয়, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের বরফ গলাচ্ছে চায়ের উষ্ণতাও।
দু’দেশের ক্রিকেটানুরাগীদের পাশাপাশি ডিসেম্বরের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন পাকিস্তানের চা ব্যবসায়ীরাও। কারণ ভারত থেকে চা আমদানি এ বার ২৫% বাড়বে, আশা তাঁদের। গোয়ায় আন্তর্জাতিক চা শিল্প সম্মেলন, ২০১২-র ফাঁকে সে কথাই জানালেন পাকিস্তান টি অ্যাসোসিয়েশন (পি টি এ)-এর চেয়ারম্যান মহম্মদ হানিফ জানু।
২০১০-এ ভারত থেকে পাকিস্তান ২ কোটি কেজি চা আমদানি করেছিল। ২০১১-এ তা বেড়ে দাঁড়ায় ২.৪ কোটি কেজি। এ বার ৩ কোটি কেজি ভারতীয় চায়ের স্বাদ পেতে চায় পাকিস্তান। ২০১৫-র মধ্যে ভারত থেকে ৫ কোটি কেজি চা আমদানির লক্ষ্যমাত্রা রেখে সম্প্রতি ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে পিটিএ।
এত দিন মূলত দক্ষিণ ভারতের চা-ই পা রাখত সে দেশে। সম্প্রতি অসমের চা-ও তারা কিনছে। তবে পাকিস্তানের প্রায় ২৩ কোটি কেজি আমদানি করা চায়ের বাজারে সেই হিসেবে ভারতের অংশ সামান্যই। প্রায় ৬৫% বাজার রয়েছে কেনিয়ার দখলে। তবে ভারতীয় চায়ের আমদানি বাড়াতে পাক-সরকারের কাছে আমদানি শুল্ক ১০% থেকে শূন্যে নামিয়ে আনার আর্জি জানিয়েছেন পাকিস্তানের চা ব্যবসায়ীরা।
তবে এই উজ্জ্বল সম্ভাবনার মধ্যে রয়েছে আশঙ্কার চোরাবালিও। পাকিস্তানি চা শিল্পমহলের একাংশের অভিযোগ, ভারতের রফতানি করা চায়ের মধ্যে কখনও কখনও খারাপ চা-ও মেলে। তা রোখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে টি বোর্ডের কাছে তারা আর্জি জানিয়েছে।
এই এক টুকরো সমস্যা মিটিয়ে দু’পক্ষই অবশ্য সোনালি ভবিষ্যতের ব্যাপারে সমান আশাবাদী। |
পণ্ডিতকে সম্মান জানাতে সিটি দেবে ১.৫৫ কোটি ডলার
সংবাদসংস্থা • নিউ ইয়র্ক |
প্রাক্তন চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসার বিক্রম পণ্ডিত এবং চিফ অপারেটিং অফিসার জন হাভেন্সকে সম্মান জানাতে আর্থিক পুরস্কার দেওয়ার কথা জানাল সিটি গ্রুপ। সংস্থাকে ঘুরে দাঁড় করানোয় তাঁদের অবদানস্বরূপ এই অর্থ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংস্থা। দু’জনের প্রত্যেককে ১.৫৫ কোটি ডলার (৮৫.২৫ কোটি টাকা) করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিটি গ্রুপের চেয়ারম্যান মাইকেল ও’নিল। তবে এর বাইরে অন্য কোনও খাতেই পণ্ডিত এবং হাভেন্সকে অর্থ দেওয়া হবে না বলেও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। সেই হিসেবে সংস্থা ছেড়ে না-যাওয়ার জন্য পণ্ডিতের প্রাপ্য প্রায় ২.৪২ কোটি ডলার ও হাভেন্সের ১.৮৯ কোটি ডলার হলেও, তা আর হাতে পাবেন না তাঁরা। গত মাসেই পরিচালন পর্ষদের সঙ্গে বিরোধের জেরে সিটি গ্রুপ ছাড়তে বাধ্য হন বিক্রিম পণ্ডিত। পাঁচ বছর সংস্থায় সিইও হিসেবে কাজ করার সময়ে পণ্ডিত বেতন নিতেন মাত্র ১ ডলার। যত দিন না সংস্থাকে ঢেলে সাজতে পারছেন, তত দিন এই বেতন নেবেন বলেই জানিয়েছিলেন তিনি। বিক্রমের পাশাপাশি, সরিয়ে দেওয়া হয় হাভেন্সকেও। |