গডকড়ী-কোন্দল সামলাতে দিশেহারা সঙ্ঘ পরিবারও
ত্রাতার ভূমিকায় নেমেছেন আরএসএস নেতা মোহন ভাগবত। লালকৃষ্ণ আডবাণীদের অসন্তোষ উপেক্ষা করে তিনি সভাপতি পদে নিতিন গডকড়ীকেই জিইয়ে রাখতে তৎপর হয়েছেন। তবু সভাপতিকে নিয়ে বিজেপিতে কোঁদল থামার নাম নেই।
গুরুমূর্তির শংসাপত্রের ভিত্তিতে সুষমা স্বরাজ, এমনকী অরুণ জেটলিকেও পাশে দাঁড় করিয়ে কী ভাবে গডকড়ীকে টিকিয়ে রাখা হল, তা ব্যাখ্যার পরেও রণে ভঙ্গ দেননি রাম জেঠমলানী। বিজেপি নেতাদের মুখ বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি হওয়ার পরেও আজ জেঠমলানী বলেন, “দল দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার আগে গডকড়ীর ইস্তফা দেওয়া উচিত। এ কথা বলার জন্য দল আমাকে বহিষ্কার করলে করুক।” শুধু বলাই নয়, দুর্নীতি নিয়ে আলোচনার জন্য সংসদে নোটিসও দিচ্ছেন তিনি।
বিদ্রোহীর তালিকায় যশোবন্ত সিংহ, যশবন্ত সিন্হাদের নাম করেছিলেন জেঠমলানী। তাঁরাও প্রকাশ্যে এসে বলেননি, জেঠমালনীর বক্তব্যের সঙ্গে তাঁরা একমত নন। বিজেপির পুরনো শরিক বাল ঠাকরেও গডকড়ীর সমালোচনা করেছেন। বিবেকানন্দের সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমের তুলনার প্রসঙ্গ টেনে দলীয় মুখপত্রে ঠাকরে গডকড়ীকে আডবাণীর জিন্না-মন্তব্যও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন, আডবাণীকে বাঁচাতে কিন্তু দলের কেউই এগিয়ে আসেননি।
অবশ্য এই দুর্দিনে গডকড়ী কিছু সমর্থনও কুড়োচ্ছেন। যে সুষমা স্বরাজ তাঁকে গত কাল সমর্থন করেছেন, আজ তাঁর সঙ্গে আলাদা করে দেখা করেন গডকড়ী। যান রাজনাথ সিংহের কাছেও। এনডিএ-তে সদ্য যোগ দেওয়া সুব্রহ্মণ্যম স্বামীও গডকড়ীকে সমর্থন করে বলেছেন, “যিনি যাবতীয় তদন্তে রাজি, তাঁকে দ্বিতীয় বার সুযোগ দেওয়া উচিত।”
সঙ্ঘের তরফ থেকে যে গুরুমূর্তি গত কাল দিনভর গডকড়ীকে সঙ্কট থেকে বের করে আনতে প্রাণপণ চেষ্টা করে গিয়েছেন, আজও তিনি দাবি করেছেন, গডকড়ীর সংস্থার কোনও অনিয়মই নেই। যাবতীয় নথি ঘেঁটে তিনি দেখেছেন, তাঁর সংস্থার বিনিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও গডকড়ীর তাতে হাত নেই।
কিন্তু বিজেপিতে গডকড়ী-বিরোধী নেতাদের আফশোস, গডকড়ীকে অবিলম্বে পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে আরএসএসের নিয়ন্ত্রণ কমানোর যে সুযোগ এসেছিল, সেটি এখন আবার হাতছাড়া হতে বসেছে। গত কাল আরএসএস সর্বশক্তি দিয়ে নিজের ‘সন্তান’কে আগলে রাখে। এ বারে সঙ্ঘ তাঁকে দ্বিতীয় বার সভাপতি পদে বহাল করলে অটল-আডবাণীর জমানা আর ফেরত আসা যেমন মুশকিল, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-বিরোধী আন্দোলনও আর সে ভাবে করা সম্ভব নয়। কিন্তু আরএসএস এই দাপট দেখাতে পারছে শুধুমাত্র বিজেপি নেতৃত্বের কোন্দলের কারণেই। কিন্তু ঘরোয়া মহলে বিদ্রোহী অনেক নেতাই বলছেন, খেলা এখনও শেষ হয়নি। গডকড়ীর মেয়াদ শেষ হতে সময় আছে। এর মধ্যে খেলার মোড় অনেক দিকে ঘুরে যেতে পারে।
বিজেপির এই কোন্দলকেই খুঁচিয়ে তুলতে চাইছে কংগ্রেস। দলের নেতা দিগ্বিজয় সিংহ আজ বলেন, আরএসএস-বিজেপি গডকড়ীকে পূর্ণ সমর্থন দিচ্ছে। যার অর্থ, বিবেকানন্দ আর দাউদের তুলনার বিষয়টিকেও তারা সমর্থন করে। আবার ভুয়ো সংস্থা গড়ে কালো টাকাকে সাদা করার কাজকেও সঠিক বলে মানে। দিগ্বিজয় বলেন, জিন্না-মন্তব্যে আডবাণীকে সভাপতির পদ ছাড়তে হয়েছিল। গডকড়ী এখন কী করবেন, তিনিই স্থির করুন।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.