চলচ্চিত্র সম্মেলন শুরু হল পশ্চিম মেদিনীপুরে। এই উপলক্ষে মেদিনীপুর শহরের ফিল্ম সোসাইটি হলে সোমবার এক অনুষ্ঠান হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দম দত্ত, মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেন মাইতি, মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির কার্যকরী সভাপতি শিবাংশু বসু প্রমুখ। আজ, মঙ্গলবার পর্যন্ত এই সম্মেলন চলবে। দু’দিনে সব মিলিয়ে ৭টি চলচ্চিত্র দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সোমবার ২টি চলচ্চিত্র দেখানো হয়েছে। তারমধ্যে একটি হল ‘ইচ্ছে’। আজ, মঙ্গলবার ৫টি চলচ্চিত্র দেখানো হবে। রূপকলা কেন্দ্র, তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের উদ্যোগে এবং জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের ব্যবস্থাপনায় এই কর্মসূচির আয়োজন হয়েছে। |
চলচ্চিত্র সম্মেলনের উদ্বোধন। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
সুস্থ চলচ্চিত্রই যে সমাজ-চেতনাকে উন্নত করতে পারে, এ দিন নিজেদের বক্তব্যে সে কথাই বলেছেন উপস্থিত সকলে। অতিরিক্ত জেলাশাসক অরিন্দমবাবু যেমন বলেন, “সুস্থ মানসিকতা, সুস্থ সংস্কৃতি প্রায় আমাদের সমাজ থেকেই উঠতে চলেছে। এখন টিভির পর্দায় বা খবরের কাগজে যে সব ছবি দেখি, তার অধিকাংশ সুস্থ সংস্কৃতির পরিচয় নয়।” মেদিনীপুর ফিল্ম সোসাইটির কার্যকরী সভা শিবাংশুবাবুর বক্তব্য, “ফিল্ম বিনোদনের মাধ্যম। এটা আমরা সকলেই জানি। পাশাপাশি, এটা শিক্ষারও মাধ্যম।” তাঁর কথায়, “সুস্থ চলচ্চিত্র আমাদের সমাজ চেতনাকে উন্নত করে। একটা ভাল ছবি মানুষের স্বভাব-হাবভাব পাল্টে দিতে পারে। মনে বিশ্বাস আনতে পারে।” প্রায় একই বক্তব্য মেদিনীপুরের বিধায়ক মৃগেনবাবুর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমাদের সরকার শিল্প- সংস্কৃতি প্রসারের উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতিটি জেলায় এ ভাবে চলচ্চিত্র সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। একটা ভাল ছবি মনকে নাড়া দিতে পারে। মানুষকে তার স্বভাব পরিবর্তন করতে বাধ্য করতে পারে। বিপথে থেকে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে পারে।” জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক কৌশিক নন্দী বলেন, “আমরাও দর্শকদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছি, কোন ধরনের তথ্যচিত্র তৈরি হওয়া প্রয়োজন। সমাজের কী কী বিষয় চলচ্চিত্রে তুলে নিয়ে আসা যেতে পারে। দর্শকদের পরামর্শ আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।” |