আগামী দু’দিনেও পরিষ্কার হচ্ছে না কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের আকাশ। হালকা কিংবা ছিটেফোঁটা বৃষ্টিও হতে পারে। রবিবার এমনটাই জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। অর্থাৎ উত্তুরে হাওয়া ঢুকে শীত এখনই পড়ছে না।
ঘূর্ণিঝড় নীলমের জেরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ অক্ষরেখার জেরেই শীতের মুখে আবহাওয়ার এই ভোলবদল। আবহবিদেরা জানিয়েছিলেন, রবিবারের পর নিম্নচাপ অক্ষরেখা দুর্বল হয়ে পড়বে এবং সোমবার থেকে আবহাওয়া পরিষ্কার হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত অক্ষরেখা তার অভিমুখ বদল করায় পরিষ্কার আকাশের জন্য আরও তিন দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গোকুলচন্দ্র দেবনাথ বলেন, “নিম্নচাপ অক্ষরেখার অভিমুখ কর্নাটক থেকে অন্ধ্রপ্রদেশের দিকে সরে আসায় দুর্বল হওয়ার বদলে তা আরও জাঁকিয়ে বসেছে।” শনিবার কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোথাও মাঝারি বৃষ্টি হয়েছিল। রবিবার আকাশ মেঘলা থাকলেও, বৃষ্টি কিন্তু ছুটির দিনের আমেজকে নষ্ট করেনি। ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হয়েছে কোনও কোনও এলাকায়। তবে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসায় দিনের বেলা পাখার প্রয়োজন হয়নি। আবার, বৃষ্টির জেরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি না ছাড়ানোয় রাতেও ছিল শীতের আমেজ।
আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, নিম্নচাপ অক্ষরেখা বিদায় নিলে মেঘ কাটবে। পরিষ্কার আকাশ পেলে উত্তর ভারতের ঠান্ডা হাওয়া ঢুকবে দক্ষিণবঙ্গে। আকাশ পরিষ্কার থাকার জন্য দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়বে। লাফিয়ে নামবে রাতের তাপমাত্রা। তখনই শীত ভাল ভাবে অনুভূত হবে।
|
বেতন কাঠামো পরিবর্তন, পদোন্নতি, ছুটি ও অবসরকালীন সুযোগ সুবিধা-সহ নানা দাবিতে রবিবার রামপুরহাটের রক্তকরবী মঞ্চে হয়ে গেল পুর-স্যানিটারি ইন্সপেক্টর অ্যাসোসিয়েশনের সপ্তম রাজ্য সম্মেলন। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ১২৭টি পুরসভার প্রতিনিধিরা। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আদিত্যচরণ দাশগুপ্ত ও কোষাধ্যক্ষ রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, “দীর্ঘদিন ধরেই সরকারি ও পুরসভার স্যানেটারি ইন্সপেক্টরদের বেতন কাঠামোয় পার্থক্য রয়েছে। এ ব্যাপারে আগের বাম সরকার এবং বর্তমান সরকার উভয়কেই জানানো হলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।” |