সংস্কৃতি যেখানে যেমন

সুকুমার নিয়ে
‘ডিং ডং পিং পং’। একটি লিটল ম্যাগাজিন। শুধু মাত্র ছোটদের জন্য। গত ১৩ বছর ধরে সিউড়ি থেকে প্রকাশিত এই মজাদার পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন তন্ময় গঙ্গোপাধ্যায়। ওই পত্রিকা সম্প্রতি সুকুমার রায়কে নিয়ে একটি শারদ সংখ্যা প্রকাশ করেছে। উপলক্ষ সুকুমারের জন্মের ১২৫ বছর। বিভিন্ন উৎকৃষ্ট লেখায় সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে ওই সংখ্যা। ছোটদের মনস্তত্ব ফোটাতে কলম ধরেছেন বিখ্যাত ছড়াকার ভবাণীপ্রসাদ মজুমদার। লিখেছেন
ছোটর কাছে ছোটর মতন
ঠিক জলবত তরলং
মজায় ঠাসা ভাগ ও ভাষা
ছন্দ সহজ সরলং।

আবার সুকুমারে উৎসাহ দিয়ে ছড়াকার অশিসকুমার মুখোপাধ্যায় জানাচ্ছেন
‘পৃথিবীটা কী ভাবে যে
পাকাচ্ছে গোল
দেখে নাও পড়ে আজি
আবোল তাবোল!’

পবিত্র সরকার, দীপ মুখোপাধ্যায়, কার্তিক ঘোষের মতো প্রতিষ্ঠিতদের পাশাপাশি ওই সংখ্যায় ছড়া লিখেছেন বহু উঠতি ছড়াকারও।

সেই মহুয়া
মা-মাসিমার কাছে গানে হাতেখড়ি মাত্র চার বছর বয়সেই। তারপর দশ বছরেই শাস্ত্রীয় সঙ্গীত গেয়ে ‘এইচএমভি পুরস্কার’ পেয়েছিল ছোট্ট মহুয়া। শৈশব থেকে শ্রোতার মন জয় করে আসা সিউড়ির মেয়ে মহুয়া গঙ্গোপাধ্যায়ের শিল্পী জীবনে নতুন পালক যুক্ত হল। সদ্য মুক্তি প্রাপ্ত ‘শুধু ভালবেসে গেলাম’ চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন তিনি। বছর তিরিশের পেশায় স্কুলশিক্ষিকা মহুয়া বর্তমানে আকাশবাণীর শান্তিনিকেতন কেন্দ্রের নিয়মিত শিল্পী। দীর্ঘদিন ধরে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের তালিম নিয়েছেন শান্তব্রত নন্দন, গৌর দাস ও পর্ণা চট্টোপাধ্যায়ের মতো দক্ষ প্রশিক্ষকদের কাছে। মহুয়া ইতিমধ্যেই ভজন ও খেয়াল গেয়ে রাজ্য সঙ্গীত আকাদেমি থেকে পুরস্কারে সম্মানিতও হয়েছেন। গত বছরই অসমে অনুষ্ঠিত বিশ্ব বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনে ডাক পেয়েছিলেন। সেখানে নজরুলগীতি গেয়ে শ্রোতাদের মন জয় করেন। তবে শুধু মাত্র শাস্ত্রীয় সঙ্গীত নয়, সব ধরনের গান গাইতেই সমান আগ্রহী মহুয়া।

যুগলবন্দি
‘মেলাবেন তিনি মেলাবেন’। হ্যাঁ, ‘মেলালেন’। তবে, ছৌ ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। এই দুই ভিন্ন ঘরানাকে একই ছন্দে-তালে মেলালেন প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী তরুণ নায়েক। গত শনিবার শান্তিনিকেতন পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রে হয়ে গেল ছৌ নৃত্য ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের একটি যুগলবন্দি অনুষ্ঠান। সেখানে ছৌ-শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের যুগলবন্দিতে হল মহিষাসুরমর্দিনী নৃত্য। শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে সঙ্গত করলেন তরুণবাবু নিজেই। জানালেন, এই পরীক্ষামূলক উপস্থাপনাটির জন্য তিনি পৌঁছেছিলেন পুরুলিয়ায়। সেখানকার ছৌশিল্পীদের নিয়ে করেন কর্মশালাও। তারই ফল শনিবারের ওই অনুষ্ঠান।

সৃজনী শিল্পগ্রামে ছৌ-নৃত্য।

কোজাগরীতে অনুষ্ঠান
কোজাগরী পূর্ণিমা উপলক্ষে একটি জমাটি অনুষ্ঠান হয়ে গেল কীর্ণাহার গ্রন্থাগার মঞ্চে। গত বুধবারের ওই অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল কীর্ণাহার ব্যবসায়ী সমিতি। সেখানে রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, পুরনো আধুনিক গান গেয়ে শ্রোতাদের মনোরঞ্জন করেন শান্তিনিকেতনের বেশ কিছু শিল্পী। ছিল নবীন প্রজন্মের ব্যান্ডের গানও। পরিবেশন করেন স্থানীয় একটি ব্যান্ডের শিল্পীরা। তবে অনুষ্ঠানের সেরা আকর্ষণ ছিলেন জেলার প্রখ্যাত আবৃত্তিকার নীহাররঞ্জন সেনগুপ্ত। আবৃত্তির পাশাপাশি নীহারবাবুর অনুষ্ঠান সঞ্চালনা দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করে।

গানের অ্যালবাম
উনিশজন নবীন শিল্পীকে নিয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীতের একটি কোরাস গানের অ্যালবাম বের করল রামপুরহাটের ‘গান্ধর্বী’ সঙ্গীত সংস্থা। ওই অ্যালবামে রয়েছে ঋ তুপর্বের ১৯টি নৃত্য উপযোগী গান। জেলার এই পরিচিত সঙ্গীত সংস্থাটি ক্রমশ নিজের পরিধি বাড়িয়ে চলেছে। ইতিমধ্যেই রামপুরহাট ছাড়াও বোলপুর, মালদহ ও কলকাতায় আরও তিনটি শাখা খুলে ফেলেছে সংস্থা।

তথ্য: অরুণ মুখোপাধ্যায়।
ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী।

আদ্রায় অনুষ্ঠান
রেলের আদ্রা ডিভিশনের পার্সোনেল শাখা রিক্রিয়েশন ক্লাবের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হল আদ্রার রেলওয়ে গার্লস হাইস্কুলের প্রেক্ষাগৃহে। শুক্রবারের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আদ্রার এডিআরএম রাহুল গৌতম, সিনিয়র ডিপিও এমকে প্রসাদ-সহ রেলের আধিকারিক ও কর্মীরা। প্রায় দশ বছর বন্ধ থাকার পরে ফের সেই অনুষ্ঠান শুরু হওয়ায় রেলকর্মীরা খুশি হয়েছেন। রেলকর্মীদের সঙ্গে বোকারোর একটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী অনুষ্ঠান করে।

শারদ সম্মান
বিধি মেনে পুজোয় করায় পুরুলিয়া শহরের তিনটি পুজো কমিটিকে শারদ সম্মান দিল পুরুলিয়া জেলা পুলিশ। ভাগাবাঁধ পাড়া সবর্জনীন, নীলকুঠিডাঙা সবর্জনীন ও কুকস কম্পাউন্ড সবর্জনীন পুজো কমিটির উদ্যোক্তাদের হাতে ট্রফি ও আর্থিক পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ সুপার সি সুধাকর ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অবোধেশ পাঠক, পুরুলিয়া সদর থানার ওসি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ফোটোমেলা
রবিবার এক দিনের ‘ফোটোমেলা’ হয়ে গেল বাঁকুড়া শহরের সিনেমারোড এলাকায়। বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন চিত্রগ্রাহক যোগ দেন।

বিষ্ণুপুর যদুভট্ট মঞ্চে নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য
সম্মেলনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ছবিটি তুলেছেন শুভ্র মিত্র।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.