টুকরো খবর
নীলমে নদী ফুলে ব্যাহত ট্রেন চলাচল
দক্ষিণ-মধ্য রেলের বিজয়ওয়াড়া শাখায় ঠান্ডওয়া নদীর জল বেড়ে যাওয়ায় পুরী ও দক্ষিণমুখী ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। হাওড়া ও ভুবনেশ্বর থেকে বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। কিছু ট্রেন মাঝপথেই থামিয়ে দিতে হয়েছে। কিছু ট্রেন আবার চলছে ঘুরপথে। দক্ষিণ-মধ্য রেল সূত্রে খবর, যে সব ট্রেন খড়্গপুর-ভদ্রক-বিশাখাপত্তম হয়ে যেত, সেগুলিকে পাঠানো হচ্ছে খড়্গপুর-টাটানগর-বিলাসপুর-নাগপুর-বালসারা হয়ে। রবিবার থেকে ঘুরপথে চালানো হচ্ছে হাওড়া-সেকেন্দরাবাদ ফলুকনামা এক্সপ্রেস, হাওড়া-যশোবন্তপুর দুরন্ত এক্সপ্রেস, হাওড়া-হায়দরাবাদ ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেস ও হাওড়া-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস এবং সাঁতরাগাছি-চেন্নাই স্পেশ্যাল। যাত্রাপথ ছোট করা হয়েছে, নিউ জলপাইগুড়ি-চেন্নাই এক্সপ্রেস, হলদিয়া-চেন্নাই এক্সপ্রেস সহ ৫টি ট্রেনের। রেল সূত্রে খবর, দক্ষিণ উপকূল এলাকায় নীলম ঝড়ের প্রভাবে শনিবার থেকে ওড়িশায় ঠান্ডওয়া-সহ বিভিন্ন নদীতে জল বাড়তে থাকে। বিজয়ওয়াড়া শাখার টুনি ও গুলিপাডু স্টেশনের মাঝে রেল লাইনের উপর দিয়ে বইতে শুরু করে জল। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে ওঠায় কিছু ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়। পূর্ব উপকূলবর্তী এলাকাতেই ট্রেন চলাচল বেশি ব্যাহত হচ্ছে।

পটনায় মোদী, সাক্ষাৎ হল না নীতীশের সঙ্গে
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঝটিকা সফরে ঘুরে গেলেন পটনা। বিশেষ বিমানে তিনি আজ দুপুরে পটনায় আসেন। মোদী এসেছিলেন বিজেপি নেতা কৈলাসপতি মিশ্রের মৃত্যুতে তাঁর পরিবারকে সমবেদনা জানাতে। পটনায় এসে জেডিইউ-এর জাতীয় সভাপতি শরদ যাদবের সঙ্গে দেখা করলেও মোদী কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে দেখা করেননি। রাজনৈতিক একটি মহলের ধারণা, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাম না করে নীতীশ কুমার যে ভাবে নরেন্দ্র মোদীর সমালোচনা করেছিলেন এটা বোধহয় তারই নীরব প্রতিবাদ। কৈলাসপতি মিশ্র ২০০৩-২০০৪ সাল পর্যন্ত গুজরাতের রাজ্যপাল হিসেবে কাজ করেছিলেন। দীর্ঘ রোগভোগের পর কাল তাঁর মৃত্যু হয়। নরেন্দ্র মোদী এ দিন বিশেষ বিমানে পটনা বিমানবন্দরে নামেন। সেখানে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছিলেন বিহারের বিজেপি নেতারা ছাড়াও অংসখ্য দলীয় কর্মী ও সমর্থক। বিমানবন্দরে নেমে মোদী সোজা চলে যান প্রয়াত কৈলাসপতির বাড়িতে। প্রসঙ্গত, এ দিন এনডিএ-তে মোদীর প্রতিপক্ষ নীতীশ কুমার ব্যস্ত ছিলেন পটনার গাঁধী ময়দানে অধিকার সম্মেলন নিয়ে। মোদীর মুখে আজ কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য শোনা যায়নি।

আফস্পা না ওঠা পর্যন্ত পুরস্কার নেবেন না চানু
যতদিন না মণিপুর থেকে ‘আফস্পা’ প্রত্যাহার করা হচ্ছে, ততদিন আর কোনও সম্মান, পুরস্কার, স্মারক গ্রহণ করবেন না ইরম শর্মিলা চানু। আজ চানুর প্রতিবাদী অনশন ১২ বছরে পা দিল। অবিরাম লড়াইয়ের পরেও কেবল সম্মান জুটেছে। আসেনি সাফল্য। তাই এমন সিদ্ধান্ত। সেই সিদ্ধান্তের জেরেই সম্প্রতি, কলকাতা প্রেস ক্লাবে কেরলের কোভিলান ট্রাস্টের দেওয়া পুরস্কার চানুর তরফে গ্রহণ করেও ফেরত দিয়ে দিলেন তাঁর ভাই ইরম সিংহজিৎ। ২০০০ সালের ২ নভেম্বর, মালোম গ্রামের বাস স্ট্যান্ডে জঙ্গি সন্দেহে ১০ জন গ্রামবাসীকে হত্যা করে নিরাপত্তাবাহিনী। তার প্রতিবাদে ও সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন তুলে দেওয়ার দাবিতে, ৪ নভেম্বর থেকে, শর্মিলার অণশন শুরু। দিল্লির এইমস ও আরএমএল হাসপাতাল ঘুরে, ২০০৭ সালে ইম্ফল ফেরেন। তখন থেকেই জওহরলাল নেহরু হাসপাতাল তাঁর স্থায়ী ঠিকানা। যতবারই সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে, সরকারি ভাবে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। তারপরেই ৩০৯ ধারায় ফের বন্দি। শর্মিলার লড়াইকে সমর্থন করে পরমপত পিডিএ কমপ্লেক্স-এ, শর্মিলা সমর্থকদের যৌথ মঞ্চ ‘শর্মিলা কানবা লুপ’ রিলে অনশন চালাচ্ছে। চলছে ‘সেভ শর্মিলা’ অভিযান। তৈরি হয়েছে ‘জাস্ট পিস ফাউন্ডেশন’। মুক্ত দুনিয়ায় তাঁর হয়ে লড়াই চালাচ্ছেন ভাই সিংহজিৎ ও বাবলু লোইতংবাম। কার্যত, রণক্লান্ত নেত্রীর কাছে পুরস্কার এখন প্রহসন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

মাওবাদী হানা, হত বাঙালি জওয়ান-সহ ২
মাওবাদী হামলায় ছত্তীসগঢ়ের দন্তেওয়াড়ায় এক বাঙালি সিআইএসএফ জওয়ান-সহ দু’জন নিহত হয়েছেন। নিহত পরেশনাথ চট্টোপাধ্যায়ের (৫১) বাড়ি বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার খেঁড়ুয়া গ্রামে। রবিবার সকালে দন্তেওয়াড়ার আকাশনগরে মাওবাদী গেরিলাদের একটি দল এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে তাঁদের খুন করে। মাথায় ও পেটে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আকাশনগর পোস্টের হেড কনেস্টেবল পরেশবাবুর। জখম অপর জওয়ান কে আর অর্জুন হাসপাতালে মারা যান। স্থানীয় এক পুলিশকর্তা বলেন, “কুয়াশার সুযোগ নিয়ে মাওবাদীরা ওই হামলা চালিয়েছে।” দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে সিআইএসএফ-এ কর্মরত ছিলেন পরেশবাবু। গত তিন বছর পোস্টিং ছিল দন্তেওয়াড়া জেলার আকাশনগরে। গ্রামের বাড়িতে আছেন ৮৫ বছরের বৃদ্ধা মা ও ছোট ভাই বীরেশ্বর চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার। একমাত্র ছেলে চিন্ময়কে নিয়ে পরেশবাবুর স্ত্রী সন্ধ্যা মধ্যপ্রদেশের ভিলাইয়ে সিআইএসএফ কোয়ার্টারে থাকেন। চিন্ময় সেখানেই একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। এ বার কালীপুজোতেই সপরিবারে গ্রামে আসার কথা ছিল পরেশবাবুর। সিআইএসএফ-এর তরফে তাঁদের জানানো হয়েছে, সোমবারই বর্ধমানের বাড়িতে পৌঁছবে মৃতদেহ। বড় ছেলের মৃত্যুর খবর অবশ্য এখনও জানা নেই বৃদ্ধা মায়ের।

দিল্লিকে হুঁশিয়ারি নীতীশের
আগামী লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রে সরকার গড়তে গেলে বিহার ছাড়া সম্ভব হবে না। যে দলই আসুক, সরকার তৈরি করতে হলে বিহারকে প্রয়োজন হবে। আজ পটনায় গাঁধী ময়দানে রাজ্যের বিশেষ মর্যাদার দাবিতে নীতীশ কুমার দলীয় ভাবে যে অধিকার সম্মেলন করলেন তাতে এই বার্তাটি তিনি স্পষ্ট করতে চাইলেন। কেন্দ্রকে আক্রমণ করে নীতীশ বলেন, “কেন্দ্র রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা দানের ক্ষেত্রে যে নিয়ম করে রেখেছে তার পরিবর্তন ঘটানো প্রয়োজন। বিশেষ মর্যাদা প্রদানে রাজ্যের পিছিয়ে পড়ার বিষয়টি একমাত্র বিবেচনার বিষয় হওয়া উচিত। এই দাবিতে যখনই প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছি, তখনই নানা অজুহাতে তিনি তা এড়িয়ে গিয়েছেন।” অধিকার সম্মেলনে যোগ দিতে আসার সময় কাল রাতে সমস্তিপুর ও মুঙ্গেরে দু’টি পৃথক পথ দুর্ঘটনায় বিহারে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অন্তত ২০ জন। আহতদের মুঙ্গের ও দ্বারভাঙার দু’টি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতদের নাম জানা যায়নি।

শরণার্থী শিবির থেকে জঙ্গি ধৃত
রাজ্যের রিয়াং শরণার্থী শিবির থেকে পুলিশের জালে ফের জঙ্গি ধরা পড়ল। কাঞ্চনপুরের গছিরামপাড়া ভিলেজের আশাপাড়া রিয়াং শিবির থেকে অসমের ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক লিবারেশন আর্মি’র (ইউডিএলএ) তিন কট্টর সদস্যকে পুলিশ আটক করেছে। পুলিশ জানায়, অক্টোবর শেষে চুরাইবাড়িতে শিলচরগামী বাস থেকে ইউডিএলএ’র শীর্ষস্থানীয় তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই কাঞ্চনপুরে ইউডিএলএ’র ঘাঁটির সন্ধান পায়। এসডিপিও’র নেতৃত্বে পুলিশ আশাপাড়ার রিয়াং শরণার্থী শিবিরে হানা দেয়। ধৃত তিন জঙ্গি হলকুম্পারাই রিয়াং, পাচানাওয়া রিয়াং এবং পারমোওলা রিয়াং।

ধৃত পাঁচ জঙ্গি
সেনা এবং পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে একটি জঙ্গি সংগঠনের ৫ জনকে গ্রেফতার করল। শনিবার কোকরাঝাড়ের কচুগাঁও এবং কাজিগাঁও এলাকায় দিনভর অভিযান চলে। জয়াগুড়ি থেকে ধরা পড়ে ২ জঙ্গি। তাদের কাছ থেকে সাড়ে ৩ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক, একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল এবং বেশ কিছু তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়েছে। মদাতি গ্রামে ধরা পড়ে ৩ জন। তাদের নাম দীপেন্দ্র রাভা, রুমেন্দ্র রাভা এবং রিমন্ত রাভা। তাদের কাছে মেলে ৭ টি রাইফেল, ৪ টি কার্তুজ, ৩ টি মোবাইল ফোন-সহ বেশ কিছু আপত্তিকর নথি।

রেকর্ড ভোট হিমাচলে
রেকর্ড পরিমাণ ভোট পড়ল হিমাচলপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে। ৭৪.৬২ শতাংশ। ২০০৭ সালের ভোটে বিজেপি ৬৮টি আসনের মধ্যে ৪১টি পেয়েছিল। এ বার তারা ৪৫টি আসন পাবে বলে দাবি করেছে বিজেপি। কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, সরকার গড়তে চলেছে তারাই। হিমাচলের মুখ্য নির্বাচনী অফিসার জানান, সাতটি বুথে ভোটযন্ত্র খারাপ হওয়ায় সেগুলি বদলানো হয়।

অন্ধ্রে ঝড়ে মৃত ২২
অন্ধ্রপ্রদেশের ঘূর্ণিঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২২ জন। পশ্চিম গোদাবরী জেলায় সব চেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই জেলায় বৃষ্টির পরিমাণ ৩১ সেন্টিমিটার। এই অতি বৃষ্টিতে পাকা ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকার ৮৬টি ত্রাণ শিবির করা হয়েছে। এই ত্রাণ শিবির গুলিতে প্রায় ৬৮ হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছেন।

জ্বরে কাবু কাসভ
জেলেই জ্বর হয়েছে কাসভের। চারপাশে ডেঙ্গির যা প্রকোপ তাতে কাসভের ডেঙ্গি হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে আর্থার রোড জেল থেকে নিয়ে এসে সোজা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। আর্থার রোডের পুলিশ সূত্রে খবর, “গত কয়েক দিন ধরে হাসপাতালে কাসভের চিকিৎসা চলছে। সে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত কি না তা দেখতে তিনটি রক্ত পরীক্ষাও করা হয়েছে। তবে ডেঙ্গি ধরা পড়েনি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসায় ভালই সাড়া দিচ্ছে কাসভ। তাই চিন্তার কিছু নেই।”

লতার দেখা
অসুস্থ বাল ঠাকরের সঙ্গে দেখা করতে রবিবার তাঁর বাড়িতে আসেন লতা মঙ্গেশকর। বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ৮৬ বছরের এই নেতা। রবিবারই অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হয় শিবসেনার সভাপতি উদ্ধব ঠাকরের। বান্দ্রার লীলাবতী হাসপাতালে। এই অস্ত্রোপচারের সময়ে হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন উদ্ধবের স্ত্রী রেশমি এবং দুই সন্তান আদিত্য ও তেজাস।

প্রথম ভোটার
১৯৫১ সালে প্রথম লোকসভা ভোটের ভোটদাতাদের মধ্যে তিনিও ছিলেন একজন। রবিবার হিমাচলপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনেও ভোট দিলেন শ্যামশরণ নেগি। স্ত্রীর সঙ্গে ভোট দিতে গিয়েছিলেন তিনি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.