|
|
|
|
পোকার উপদ্রব কমাবে বৃষ্টি, দাবি কৃষি দফতরের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাটোয়া |
দিনভর বৃষ্টিই হয়ে উঠতে পারে বাদামি শোষক পোকার প্রতিষেধক, এমনই মনে করছেন কৃষি দফতরের কর্তারা। তাঁদের দাবি, ওই পোকার উপদ্রব কমাতে কীটনাশক প্রয়োগ করে চাষিরা যা উপকার পেতেন, তার থেকে এই বৃষ্টির জন্য তাঁরা অনেক বেশি উপকৃত হবেন। শুধু পোকাই নয়, এই বৃষ্টির জন্য ধানের খোলা ধসা রোগের প্রকোপও কমবে বলে দাবি কৃষি দফতরের।
বেশ কিছু দিন ধরেই কাটোয়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় কৃষিজমিতে বেড়েছে বাদামি শোষক পোকার উপদ্রব। সেই সঙ্গে জলের অভাবে বেড়েছে খোলা ধসা রোগের সংক্রমণও। ধান কাটার এই আতক্রমণে মাথায় হাত পড়ে চাষিদের। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, পোকার হাত থেকে ধান বাঁচানো দুঃসাধ্য। এই মুহূর্তে এই বৃষ্টিই আশীর্বাদ হয়ে এল চাষিদের কাছে। |
|
বৃষ্টিতে নুইয়ে পড়েছে ধান গাছ। কাটোয়ায় তোলা নিজস্ব চিত্র। |
কৃষি দফতর জানিয়েছে, কাটোয়া মহকুমায় প্রাথমিক ভাবে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে বাদামি শোষক পোকার আক্রমণ দেখা গিয়েছে। জেলা কৃষি দফতরের কাছে পাঠানো একটি রিপোর্টে মহকুমা কৃষি দফতর জানিয়েছিল, যে সব জমি ওই পোকার উপদ্রব দেখা দিয়েছে, সেখানে বৃষ্টির থেকেও বেশি প্রয়োজন বৃষ্টির। কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, সাধারণত ৫-৬টি বাদামি শোষক পোকা ধান গাছের গোড়ায় বসে। পরে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি হয়। কিন্তু এ বার দেখা যাচ্ছে, ১৫-২০টি শোষক পোকা এক সঙ্গে ধান গাছের গোড়ায় বসে রস শুষে নিচ্ছে। চোখের নিমেষে খড়ে পরিণত হচ্ছে ধান।
কাটোয়ার চাষি মলয় দাঁ, দিবাকর গড়াইদের কথায়, “এই বৃষ্টিতে যে কত উপকার হল, তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। এ বার হয়তো ধান গাছে পোকার উপদ্রব কমবে।” কেতুগ্রামের চাষি রঞ্জন হাজরা, দেবব্রত দাসদের দাবি, “যে সব এলাকায় দেরিতে চাষ শুরু হয়েছে, এই বৃষ্টির জন্য সেই সব জমিতে এ বার ফসল পরিপুষ্ট হবে।”কাটোয়া ১ ব্লকের কৃষি আধিকারিক গোলাম মইনুদ্দিনের দাবি, “বৃষ্টির জন্য ধানের ফলন ভাল হবে।” এতে জমিতে জলের সমস্যাও মিটতে পারে বলে মনে করছে কৃষি দফতর।
কাটোয়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় শনিবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে ঝিরঝিরে বৃষ্টি। কাটোয়া মহকুমার সহকারী কৃষি আধিকারিক রবিউল হক বলেন, “পোকা-সহ ধান গাছের বিভিন্ন রোগের ওষুধ হয়ে উঠল এই বৃষ্টি। এর সঙ্গে একটু ঠান্ডা পড়লে তো আরও ভাল।”
তবে অন্য কথাও বলছেন কিছু চাষি। তাঁদের বক্তব্য, যে সব আমন ধান কেটে জমিতে রাখা হয়েছে, এই বৃষ্টি ওই ধানের ক্ষতি করবে। যদিও এ কথা মানতে নারাজ কৃষি দফতর। তাদের দাবি, আমন ধান বড়জোর ৫ শতাংশ কাটা হয়েছে। আর বৃষ্টির যা পরিমাণ, তাতে ফসল ভিজে গেলেও ক্ষতির কোনও আশঙ্কা নেই। |
|
|
|
|
|