স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ অনেক। তাই দ্বাদশ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ তিন গুণ বাড়ানো হয়েছে। আজ দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এ কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ।
গরিব মানুষের চিকিৎসার খরচ কমাতে সমস্ত সরকারি হাসপাতালে বিনা মূল্যে জেনেরিক ওষুধ বিলি করার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মনমোহনের মতে, পুষ্টি, পানীয় জল, নিকাশি, আবাসন ও শিক্ষার মতো বিষয়গুলি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর দাবি, এগুলি নিয়ে কেন্দ্র যথেষ্ট সচেতন। তাই পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় এই বিষয়গুলিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশের বিভিন্ন শহরের গরিব মানুষকে কিছু দিনের মধ্যেই স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বেশ কিছু নতুন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এখনও দেশে উপযুক্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও নার্সের অভাব রয়েছে বলে মনে করেন মনমোহন। তাঁর মতে, আরও অনেক নার্সিং ও মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করা প্রয়োজন। ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে উপযুক্ত শিক্ষকের সংখ্যাও বাড়াতে হবে।
ভারতে গত এক বছরে শিশুমৃত্যুর হার কমেছে বলে সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় জানা যায়। মনমোহনের মতে, এটা ভাল খবর। কিন্তু, এখনও অনেক পথ বাকি। এক সময়ে পোলিও দূর করতে বড় অভিযানে নেমেছিল সরকার। শিশুমৃত্যু কমাতেও একই ধরনের অভিযান প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
তাঁর মতে, দেশে অনেক প্যারামেডিক প্রয়োজন। তাই চণ্ডীগড়, লখনউ, ভোপাল, হায়দরাবাদ, কোয়েম্বত্তূর, ভুবনেশ্বর, পটনা ও ঔরঙ্গাবাদে প্যারামেডিক্যাল সায়েন্স শিক্ষার প্রতিষ্ঠান খুলতে চায় কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদের কাজের প্রশংসা করেছেন মনমোহন। তাঁর বক্তব্য, আজাদের আমলে মেডিক্যাল কলেজগুলিতে এমবিবিএসের আসনসংখ্যা বেড়েছে ৩০ শতাংশের বেশি। স্নাতকোত্তর স্তরে আসনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫১ শতাংশ।
তৈরি হয়েছে ৬১টি নতুন মেডিক্যাল কলেজ। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ২৬৯টি নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। |
কলকাতায় পা রাখল সিঙ্গাপুরের যোগব্যায়াম সংস্থা ‘রিয়েল যোগা’। সম্প্রতি ক্যামাক স্ট্রিটে উদ্বোধন হল তাদের নতুন যোগব্যায়াম ও শরীর চর্চা কেন্দ্র। |