ঘূর্ণিঝড় স্যান্ডি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আছড়ে পড়ার পরে কেটে গিয়েছে কয়েক দিন। প্রথমে ঝড়ের আঘাত সামলাতে ঐক্যবদ্ধই ছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ। কিন্তু, ক্রমাগত বিদ্যুৎহীন অবস্থা, জল জমা আর পেট্রোলের অভাবে ক্রমশ ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। উঠছে বঞ্চনার অভিযোগ।
গোটা যুক্তরাষ্ট্রে এখনও বিদ্যুৎ নেই ৩০ লক্ষেরও বেশি বাড়িতে। মৃতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। রীতিমতো বেসামাল নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সি এলাকা। তার মধ্যেই নিউ ইয়র্ক ম্যারাথন করার পরিকল্পনা করেছিলেন মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ। ১৯৭০ সাল থেকে এই দৌড় প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। তাতে যোগ দেন দেশ-বিদেশের প্রতিযোগীরা। স্যান্ডির পরে নিউ ইয়র্ক যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তারই প্রমাণ দিতে এই বছরের ম্যারাথন বন্ধ করতে চাননি ব্লুমবার্গ। কিন্তু, কড়া সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে তাঁকে। নিউ ইয়র্কের বিধ্বস্ত অংশে দৌড় প্রতিযোগিতা করার বিষয়টি একেবারেই মেনে নিতে পারেননি শহরবাসীর বড় অংশই। ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যেও অনেকে দৌড় ছেড়ে ত্রাণকার্যে হাত লাগানোর ডাক দিয়েছেন। ফলে, ম্যারাথন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন ব্লুমবার্গ। সামনেই নির্বাচন। বেহাল অবস্থায় সেনার ট্রাকে পোলিং বুথ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সি প্রশাসন। স্যান্ডির পরে বন্যা-প্রতিরোধী ব্যবস্থা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছে নিউ ইয়র্ক প্রশাসন। লন্ডন, আমস্টারডামের মতো ইউরোপের সমুদ্র তীরবর্তী শহরে বন্যা-প্রতিরোধী ব্যবস্থা শক্তিশালী। কিন্তু, নিউ ইয়র্কে বিষয়টি নিয়ে কেউ বিশেষ চিন্তাই করেনি বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। নিউ ইয়র্কের উপযুক্ত বন্যা-প্রতিরোধী ব্যবস্থা গড়তে ২,৯০০ কোটি ডলার প্রয়োজন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এই অর্থের কতটা প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সরকার দেবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। |