রেলসেতু থেকে সিউড়ি। সাঁইথিয়ার ওই রাস্তা নিয়ে দুর্ভোগের শেষ নেই এলাকাবাসীর। এমনিতে হাজারও খানাখন্দে ভর্তি ওই রাস্তা দিয়ে পায়ে হেঁটে যেতেও ভয় পান তাঁরা। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে বাসিন্দারা কার্যত বাধ্য হয়ে ওই পথ দিয়েই যাতায়াত করেন। বেহাল রাস্তার ক্ষতের উপর জ্বালা যানজট। ওই রাস্তা এলাকাবাসী থেকে নিত্যযাত্রী প্রত্যেকের কাছেই বিভীষিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাঁইথিয়া সেন্ট এন্ড্রুজ স্কুলের শিক্ষক সোমনাথ দত্ত, কিংবা স্থানীয় বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক জয়ন্ত দাস, গাড়ি চালক শেখ ইসমাইল প্রত্যেকেরই দাবি, তাঁরা ওই রাস্তা দিয়ে এ ভাবেই দিনেরপর দিন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছেন। দশম শ্রেণির ছাত্রী মৌসুমী পাল বলেন, “রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। তার উপর দিয়েই আমাদের স্কুলে যেতে হয়।” রাস্তার বেহাল দশার কথা মেনে নিয়েছেন সাঁইথিয়ার পুরপ্রধান বীরেন্দ্রকুমার পারখও। তাঁর অভিযোগ, “সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও লাভ হয়নি।” এ দিকে, পূর্ত দফতরের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবাশিস ঘোষ বলেন, “সিউড়ি থেকে সাঁইথিয়া রেলসেতু পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার রাস্তা সারানোর জন্য ইতিমধ্যেই ব্যাকওয়ার্ড রিজিয়ন ফান্ড থেকে ১৪ কোটিরও বেশি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। বর্ষার জন্য এতদিন কাজ শুরু করা যায়নি। কালীপুজোর পর শুরু হবে।”
|
‘দাদা, চাঁদা চাই।’ যে কোনও পুজো কিংবা রাজনৈতিক সম্মেলনের আগে এই বাক্যটি গ্রাম থেকে শহর সব জায়গাতেই শোনা যায়। চাঁদা চাওয়ার এই রীতি আগেও ছিল। কিন্তু বর্তমানে ক্রমশ এটি পরিণত হচ্ছে ‘দাদাগিরি’র একটি অন্যতম মাধ্যমে। আর এই চাঁদা তোলার তথা ‘দাদাগিরি’ দেখাবার মুক্তাঞ্চল হল রাস্তা। দিনের আলোতেই গাড়ি আটকে চাঁদার জুলুম এখন জলভাত। এই নিয়ে মাঝে মাঝে পুলিশে অভিযোগ হলেও সমস্যার সমাধান দূর অস্ত। কিছু দিন আগেই দুর্গাপুজো গিয়েছে। চাঁদার জুলুমের ছবি দেখা দিয়েছে সর্বত্র। সামনেই আছে কালীপুজো। ফলে আর কিছুদিনের মধ্যেই যে রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে চাঁদার জুলুম শুরু হবে তা বলাই যায়। যদিও জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা ‘পুলিশি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবুও তাতে বিশেষ ভরসা পারছেন না গাড়ি চালকেরা। উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা ট্রাকচালক বাদশা সিংহ, মুর্শিদাবাদের লুগুল হক, কলকাতার বাবলু মিস্ত্রিরা বলেন, “কালীপুজো এখনও অনেক দেরি। কিন্তু এর মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে চাঁদার জুলুমবাজি।” বাস চালক শেখ সিরাজ, দীপু দাস, সোনা মণ্ডলরা বলেন, “দাবি মতো চাঁদা না দিলে অনেক সময় যাত্রী বোঝাই বাসও আটকে রাখা হয়।”
|
লোহার পাইপে ঠাসা বোমা ফেটে গুরুতর জখম হল এক শিশু-সহ দু’জন। শনিবার সকালে রামপুরহাট পুরসভার ৪ নম্বর ওয়াডের্র মালপাড়ার ঘটনা। প্রথমে তাঁদের রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, আহতেরা হল পাঁচ বছরের রমজান শেখ এবং ভাঙা লোহা ও টিনের কারবারি কাজল শেখ। এ দিন সকালে কাজল দোকানে পুরনো লোহার জিনিসপত্র হাতুড়ি দিয়ে ভাঙার সময় বিস্ফোরণ হয়। তাঁর কাছে ছিল ওই শিশু। দু’জনেই জখম হন। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “ওই কারবারির কাছে কী ভাবে বোমাটি এল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।” |