জল থইথই গ্রামের রাস্তা। সেই জল-কাদা মাড়িয়েই বাসিন্দাদের যাতায়াত করতে হচেছ। বছরের প্রায় চার মাস এমনই দুরাবস্থা থাকে মানবাজারের রাঙাটাঁড় গ্রামে। এ নিয়ে বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে।
মানবাজার-বরাবাজার রাস্তার দুলালডি মোড় থেকে গ্রাম্যরাস্তাটি রাঙাটাঁড় হয়ে দুর্জয়পুর, ভরতডি প্রভৃতি গ্রামে চলে গিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়বাঁধ নামে একটি বড় জলাশয় থেকে বর্ষায় ওপছানো জল এই রাস্তার উপর গিয়ে বয়ে যায়। ওই জলে গ্রামের প্রায় আধ কিলোমিটার রাস্তা জলমগ্ন হয়ে থাকে। জল বেয়ে রাস্তার পাশের জমিতে পড়ে। গ্রামের শেষ প্রান্তে একটি জোড়েও জল যায়। বাসিন্দারা জানান, আগে রাস্তার পাশে জল নিকাশি নালা ছিল। সেই নালা দিয়েই জল বয়ে যেত। কিন্তু নালা বুজে যাওয়ায় এখন রাস্তা জলমগ্ন হয়ে থাকছে। |
মুদিডি গ্রামের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী ভারতী মাহাতো বলেন, “ওই নোংরা জল মাড়িয়েই শিশু ও প্রসূতিরা অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আসেন। মাঝেমধ্যে পা পিছলে তাঁরা পড়েও যাচ্ছেন।” কাশিডি হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া শ্রীলেখা মাহাতো, মামনি প্রামাণিকদেরও অভিযোগ, “স্কুল যাওয়ার সময় অনেকবার সাইকেল থেকে নিয়ে জল-কাদায় পড়ে গিয়েছি।” রাঙ্গাটাঁড় গ্রামের বাসিন্দা তথা কংগ্রেসের মানবাজার ব্লক সভাপতি শঙ্করীপ্রসাদ মাহাতোর অভিযোগ, “ওই রাস্তা সংস্কারে পঞ্চায়েত কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না।” ওই গ্রামেরই বাসিন্দা তথা ভালুবাসা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সিপিএমের অম্বুজ চর্মকার বলেন, “মোরাম ফেলে এই রাস্তা সংস্কার করা যাবে না। জলের তোড়ে মোরাম ধুয়ে যাবে। এই রাস্তা সিমেন্টের ঢালাই না হলে টিকবে না। কিন্তু হিসেব করে দেখা গেছে এই রাস্তা ঢালাই করতে গেলে প্রচুর খরচ হবে। অত টাকা পঞ্চায়েতের পক্ষে ব্যয় করা সম্ভব নয়।” তাঁর আশ্বাস, রাস্তার একপাশে নিকাশি নালা তৈরি করে এই সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। |