টুকরো খবর |
এখনও দলমার দামালেরা সেই গুড়গুড়িপালে
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
ফসলের ক্ষতি এড়াতে গ্রামবাসীরা এলাকা পাহারা দিতে শুরু করেছেন। সন্ধে হলেই মশাল জ্বালাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বুধবারের পর বৃহস্পতিবার রাতেও গুড়গুড়িপাল রেঞ্জের শুখনাখালি, হেতাশোল প্রভৃতি এলাকায় ঘোরাঘুরি করল হাতির দল। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই একই এলাকায় রয়েছে দলমা থেকে আসা দামালেরা। বন দফতর সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে দলটি কাঁসাই নদী পেরিয়ে খড়্গপুরের কলাইকুন্ডা রেঞ্জ এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে পারেনি। গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে ফের একই এলাকায় ফিরে এসেছে। শুক্রবার দিনভর দলটি শুখনাখালি, হেতাশোল, ডুমুরকোটা ও তার আশপাশ এলাকায় ঘোরাঘুরি করেছে। বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “দলটিতে প্রায় ১৩০-১৪০টি হাতি রয়েছে। তার ফলেই সমস্যা হচ্ছে। গতিবিধি দেখে মনে হচ্ছে, দলটি এ বার খড়্গপুরের কলাইকুণ্ডা রেঞ্জ এলাকার উপর দিয়ে নয়াগ্রামের দিকে যাবে। কিন্তু, দু’দিন ধরে দলটি প্রায় একই এলাকায় রয়েছে। যাওয়ার পথে বাধা পেয়ে ফিরে আসছে।” পাশাপাশি তাঁর আশ্বাস, “একই জায়গায় থেকে গেলে ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা বেশি। গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়েই হাতি তাড়ানোর কাজ চলছে।” এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার বিকেলে একটি হাতি দলছুট হয়ে মণিদহের দিকে এসেছিল বলেও বন দফতর সূত্রে খবর। যদিও অনভিপ্রেত কোনও ঘটনা ঘটেনি।
|
হাতি মেরে কেটে নিল দাঁত, শুঁড়
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
হাতি মেরে শুঁড় ও দাঁত কেটে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে কার্বি আংলং জেলার চেকচক এলাকায়। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ সকালে জঙ্গলের মধ্যে হাতিটির মৃতদেহ পাওয়া যায়। তার শুঁড়টি পুরো কেটে নেওয়া হয়েছিল। কাটা হয়েছে দাঁতও। পুলিশ ও বনরক্ষীদের ধারণা, চোরাশিকারি নয়, অন্য কোনও দুষ্কৃতী বা জঙ্গিরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এ দিকে, কার্বি আংলং পুলিশ এদিন গোলাপ পাটগিরি, দিব্যজ্যোতি দোলে ও বুদ্ধিশ্বর ইংতি নামে তিন চোরাশিকারিকে গ্রেফতার করেছে। বোকাখাতের প্রাক্তন বিধায়ক জিতেন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও দাবি করেছে, তাদের হাতে আটক হয়েছে প্রায় ৩০ জন শিকারি। তারা অবশ্য শিকারিদের পুলিশের হাতে তুলে দেয়নি। জিতেনের দাবি, আটক শিকারিদের জেরা করে কাজিরাঙা এলাকায় সক্রিয় আরও ৮০ জন চোরাশিকারিকে পাকড়াও করার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা।
|
এই আমি
অসমের প্রবল বন্যায় বিপর্যস্ত হয় পবিতরা অভয়ারণ্য। পর্যটকদের জন্য
খুলল শুক্রবার। দেখা মিলল একশৃঙ্গ গন্ডারেরও। ছবি: উজ্জ্বল দেব
|
গন্ডারের গুঁতোয় মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা |
জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে জঙ্গলে ঢুকে গন্ডারের আক্রমণে এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার ভোরে ঘটনাটি ঘটে জলদাপাড়ার হলং বিটের। জাতীয় উদ্যান ঘোষণা হওয়ার পরেও প্রতিনিয়ত প্রচুর লোকজন কী ভাবে জঙ্গলে ঢুকে কাঠ জ্বালানির জন্য সংগ্রহ করছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মৃতের নাম জলদাপাড়া লাগোয়া খাওচাঁদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃতার নাম ভবেশ্বরী বর্মন (৪৫)। এদিন ভোরে জ্বালানি সংগ্রহ করতে তিনি জঙ্গলে ঢোকেন। একটি গন্ডার তেড়ে আসে। বাকিরা পালাতে পারলেও তিনি পালাতে পারেননি।
|
ট্রাক্টরে হাতির ধাক্কা
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
চলন্ত ট্রাক্টরকে ধাক্কা দিয়ে উল্টে দিল একটি দাঁতাল। ঘটনায় ট্রাক্টরের চালক-সহ তিনজন জখম হয়েছেন। তাঁরা মালবাজার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটে ডুয়ার্সের চালসা চা বাগানে। বাগানের দুই চৌকিদার বাবলু মুন্ডা এবং শালু খেড়িয়া এবং ট্রাক্টর চালক বিষ্ণু ওঁরাও বাগানে ট্রাক্টরে চেপে টহল দিচ্ছিলেন। সহকারী ম্যানেজারের বাংলোর সামনে দাঁতালটি ট্রাক্টরটিতে ধাক্কা মারে। তিন আরোহী নালায় পড়ে যান। দাঁতালটি চলে যাওয়া অবধি তাঁরা সেখানেই লুকিয়ে থাকেন।
|
শ্রীরামপুরের কারখানায় ভাঙচুর |
দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ তুলে শুক্রবার শ্রীরামপুরের রাজ্যধরপুরে একটি রবারজাত পণ্য তৈরির কারখানার এক কর্তা ও দুই নিরাপত্তারক্ষীকে মারধর করে ভাঙচুর চালানো হল। ওই ঘটনায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থকেরা জড়িত বলে কারখানা কর্তৃপক্ষের অভিযোগ। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক পঞ্চায়েত সদস্য-সহ কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিতে সরাসরি মহাকরণ থেকেই নির্দেশ আসে বলে সরকারি সূত্রে খবর। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, দূষণের ছাড়পত্র সংক্রান্ত কাগজপত্র তাঁদের রয়েছে। অন্যায় ভাবে হামলা চালানো হল। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের জড়িত থাকার প্রসঙ্গ এড়িয়ে শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায় বলেন, “কারখানায় হামলা ও মারধরের ঘটনা দুঃখজনক।” তবে, ওই কারখানায় দূষণ নিয়ে গ্রামবাসীদের অভিযোগ ছিল বলে তাঁর দাবি। পুলিশ জানিয়েছে, কারখানা থেকে দূষণ ছড়ানোর অভিযোগ তুলে রাজ্যধরপুরের এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য রিষড়া ও শ্রীরামপুর থেকে লোকজন জড়ো করে প্রথমে পঞ্চায়েত ঘেরাও করে। তার পরে কারখানায় চড়াও হয়।
|
সার্কাসের মা
জিরজিরে। হিরা সার্কাসে খেলা দেখায়। হাড়পাঁজর-সর্বস্ব লালি আর পারে না।
তবে বর্ধমানের উৎসব ময়দানের সার্কাসের তাঁবুতেই লালির ছানা হয়েছে ক’দিন আগে।
ছটফটে পায়ে সে দৌড়েও বেড়াচ্ছে ইতিউতি। এক দিন সে-ও হয়তো খেলা দেখাবে।
লালিকে দেখবে কে? ছবি: রানা সেনগুপ্ত।
|
শিবির উদ্বোধন বনমন্ত্রীর |
জঙ্গলের স্নিগ্ধ পরিবেশের ছন্দ না-কেটে নিরাপদ দূরত্বে থেকে গাছগাছালি ও সেখানকার বাসিন্দাদের জানতে ডুয়ার্সে শুরু হল প্রকৃতি পাঠ শিবির। শুক্রবার অসম ও কালচিনির দুটি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের উদ্যোগে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ২৮ মাইল বন বস্তি এলাকায় ওই শিবিরের উদ্বোধন করেন বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন। শিবির চলবে সোমবার পর্যন্ত। বনমন্ত্রী বলেন, “অনেকে জঙ্গলে তাঁবু করে প্রকৃতি পাঠ শিবির করেন। কিন্তু এখানে যে আয়োজন হয়েছে সেটা চালু হলে পরিবেশ ও শিবিরে যারা থাকবেন উভয়ের পক্ষে ভাল।” শিবিরের আয়োজকরা জানান, জঙ্গলে রাত কাটানো শুধু ঝুঁকিবহুল নয়। বন্যপ্রাণের কাছেও বিরক্তিকর। রাতে তাঁবুর আশপাশে আগুন জ্বালতে হয়। ফলে বুনোদের স্বাভাবিক চলাফেরায় বাধার সৃষ্টি হয়। |
|
ওই কারণে তাঁরা স্থানীয় বনবস্তি এলাকায় থেকে জঙ্গল জানার ব্যবস্থা নিয়েছেন। অসমের পরিবেশপ্রেমী সংগঠন নেচারস বেকনের তরফে সৌম্যজিৎ দত্ত বলেন, “এর ফলে প্রকৃতির উপরে যেমন হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নেই। একই ভাবে বনবস্তির বাসিন্দারা আর্থিক ভাবে কিছুটা হলেও লাভবান হবেন।” শিবিরে যোগ দিয়েছেন ১৩ জন ছাত্র এবং ৫ জন ছাত্রী। তাঁরা প্রত্যেকে অসমের বাসিন্দা। বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়া। এ দিন ডুয়ার্সের জঙ্গলে পৌছে প্রত্যেকে খুশি। দিনভর জঙ্গলের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে তাঁরা দেখলেন বিভিন্ন প্রজাতির কীটপতঙ্গ, পাখি ও গাছ। অসমের কামরূপ জেলার নগরবেরা এলাকার বাসিন্দা মৌসুমী পাটোয়ারি বলেন, “এর আগে অসমের বিভিন্ন জঙ্গলে প্রকৃতি পাঠ শিবির হয়েছে। ডুয়ার্সের বক্সা ব্যঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে এই প্রথমবার। প্রথম দিন বিভিন্ন প্রজাতির মাকড়সা, পাখি দেখেছি।” কালচিনি ব্লকের সেচ্ছাসেবী সংগঠন যুগান্তর পরিবারের তরফে রামকুমার লামা বলেন, “শিবিরে যোগ দিয়ে অসমের কলেজ পড়ুয়া ছেলেমেয়েরা ডুয়ার্সের জঙ্গল ছাড়াও বনবস্তির পরিবেশ জানার সুযোগ পাবেন।”
|
তথ্য ও ছবি: নারায়ণ দে। |
|