সৌন্দর্যায়নের নামে বোলপুরের একটি পুরনো রবীন্দ্র স্মৃতিসৌধকে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে মুড়ে দেওয়ায় ক্ষোভ তৈরি হল বিভিন্ন মহলে। ঘটনায় অভিযোগের তির তৃণমূল পরিচালিত বোলপুর পুরসভার দিকে।
এ বিষয়ে বোলপুরের নাগরিক কমিটি ও একটি মানবাধিকার সংগঠন পুরকর্তৃপক্ষ এবং এলাকার জনপ্রতিনিধি তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বোলপুরের পুরপ্রধান সুশান্ত ভকত অবশ্য বলেন, “কী হয়েছে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।”
১৯৬১ সালে এলাকার রবীন্দ্রানুরাগীদের উদ্যোগে পুরসভায় ঢোকার মুখে চৌরাস্তায় ওই রবীন্দ্র স্মৃতিসৌধটি তৈরি হয়েছিল। পরে ১৯৮১ সালে পুরসভার তৎকালীন পুরপ্রধান কৃষ্ণপদ সিংহ রায় ও উপ পুরপ্রধান শৈলেন মিশ্রের উদ্যোগে এই স্মৃতিসৌধটিকে সাজানোও হয়। ক্রমে ক্রমে সৌধটি বোলপুরের রবীন্দ্রানুরাগীদের কাছে একটি জ্ঞাতব্য বিষয় হয়ে উঠেছিল।
পুরসভা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্ষমতায় এসেই তৃণমূল পুরবোর্ড বোলপুর শহরকে ঢেলে সাজাবার উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, যে বেসরকারি সংস্থা ওই কাজ করছে তাদেরই নিজস্ব বিজ্ঞাপনে স্মৃতিসৌধটির একাংশ ঢেকে ফেলা হয়েছে। |
রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিসৌধকে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে কণ্টঙ্কিত করা হয়েছে বলেই মনে করছে বোলপুর নাগরিক কমিটি। কমিটির পক্ষে শৈলেন মিত্র বলেন, “পুরসভার সৌন্দর্যায়ন প্রকল্প প্রশংসার যোগ্য। কিন্তু তা করতে গিয়ে রবীন্দ্র স্মৃতিসৌধকে ঢেকে দেওয়া মানা যায় না। পুরো বিষয়টি আমরা পুরসভাকে জানিয়েছি।” অন্য দিকে, স্থানীয় রিকশা চালকদের অভিযোগ, ওই স্মৃতিসৌধ ঢাকা পড়ে যাচ্ছে বলে পুরসভা সেখান থেকে রিকশা স্ট্যান্ড অবিলম্বে সরিয়ে নেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি ঝুলিয়ে দিয়েছিল। অথচ তারা নিজেরাই এখন বিজ্ঞাপন দিয়ে তার মুখ ঢেকে দিয়েছে।
বোলপুর পুরসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের মহম্মদ জাহাঙ্গির হোসেন বলেন, “আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। সৌন্দর্যায়ন বা সংরক্ষণ করা তো ভালই জিনিস। কিন্তু বিজ্ঞাপন দিয়ে সৌধ ঢেকে তা করা যায় না।” তিনি মনে করেন ঘটনায় বোলপুর-শান্তিনিকেতনে আসা পর্যটকদের কাছে ভুল বার্তাই পৌঁছবে। |