জেলবন্দিদের ওপর নজরদারি বাড়াতে রাজ্যের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারগুলিতে ক্লোজড সার্কিট টিভি বসানো হয়েছিল বাম আমলে। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলির অনেকগুলিই অকেজো হয়ে রয়েছে। সম্প্রতি জেল থেকে বন্দি পালানোর কয়েকটি ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে তা জানা গিয়েছে। এখন নতুন ভাবে ক্লোজড সার্কিট টিভি বসানোর পরিকল্পনা করছে রাজ্য।
কারা দফতরের আইজি রণবীর কুমার জানিয়েছেন, “ছ’টি সেন্ট্রাল জেলেই নতুন ক্লোজড সার্কিট টিভি বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই টেন্ডার ডাকা হবে।” তিনি জানান, ২০০২ সালে যে সব ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল তার বেশির ভাগই খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই নতুন করে বসানো হচ্ছে।
কারা দফতর সূত্রে খবর, বাম আমলে আলিপুরে ১২৯টি, প্রেসিডেন্সিতে ৫২টি, দমদমে ১২টি, বহরমপুরে ৫টি এবং মেদিনীপুরে ৬টি ক্যামেরা বসানো হয়। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটি অকেজো হয়ে গিয়েছে। তা হলে নতুন ক্যামেরাগুলিরও কি একই দশা হবে না? কারা দফতরের এক অফিসার জানান, এই ব্যাপারে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।
কারা দফতরের এক কর্তা বলেন, কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি বাড়ছে। একটি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে দু-তিন হাজার বন্দি থাকে। মাওবাদী, কেপিপি এবং কেএলও জঙ্গিরাও কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছে। রক্ষীর সংখ্যা কম থাকায় নজরদারিতে সমস্যা হচ্ছে। ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হলে নজরদারির সুবিধা হবে।
|
পুজোয় বিদ্যুৎ চুরি, জরিমানা |
বেআইনি ভাবে বিদ্যুৎ নেওয়ার জন্য প্রায় তিন হাজার পুজো কমিটিকে জরিমানা দিতে হবে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থাকে। বণ্টন সংস্থার পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জরিমানার পরিমাণ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। পুজোর সময় রাজ্যজুড়ে ১১ হাজার ৮০০ মণ্ডপে বিদ্যুৎ কর্তারা অভিযান চালান। |