বাঁশদ্রোণী থানার মধ্যে তিন যুবককে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিলেন কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ শহরতলি) সুজয় চন্দ্র। শনিবার তিনি বলেন, “অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনারকে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।” একই কথা বলেছেন ওই এলাকার ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার চঞ্চল দত্ত-ও। তবে পুলিশের এখন বেশি উদ্বেগ রাজ্য মানবাধিকার কমিশন ওই ঘটনা নিয়ে কী ভাবে এগোয়, সে বিষয়ে।
পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে ঘটনাটি জানাজানি হতেই নড়েচড়ে বসেন লালবাজারের বড়কর্তারা। খোঁজ নিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, একেবারেই থানাস্তরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তিন যুবককে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। এমনকী সংশ্লিষ্ট ডেপুটি কমিশনারকেও বিষয়টি জানানো হয়নি। কেন, কী ভাবে ওই কাজ করল পুলিশ, তা তদন্ত করে দেখবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার।
লালবাজারের এক পুলিশকর্তা বলেন, “তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেওয়া হয়, পুজোর আগে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওই তিন জনকে আটক করা হয়েছিল, তা হলে কেন তাদের আদালতে পেশ করা হল না? কেন-ই বা ছ’দিন আটকে রেখে মানবাধিকার লঙ্ঘন করল বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ?” ওই পুলিশ-কর্তার বক্তব্য, রাজ্য মানবাধিকার কমিশন এখন তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি সক্রিয়। ওরা স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তদন্ত করতে পারে। অম্বিকেশ-কাণ্ডের পরে অভিযুক্ত দুই পুলিশ অফিসারের বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়ার সুপারিশ করেছিল কমিশন। এ ক্ষেত্রে তারা কী করবে, তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় পুলিশকর্তারা।
পুলিশ জানিয়েছে, শুক্রবার রাতেই ব্যক্তিগত জামিনে তিন যুবককে ছেড়ে দেয় বাঁশদ্রোণী থানা। তার আগে থানার নথিতে আটকদের নাম-ধাম লিখে রাখার কথা। সেই কাজও কতটা পুঙ্খানুপুঙ্খ হয়েছে, তা-ও খতিয়ে দেখবেন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার। এক পুলিশকর্তা বলেন, “প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই থানার পুলিশ গোটা ঘটনাটি অস্বীকার করায় অভিযুক্ত যুবকদের খোঁজে নতুন করে তল্লাশি শুরু হয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বললেই পুলিশের ভূমিকা স্পষ্ট হবে।” |