পশ্চিমবঙ্গ নাট্য অ্যাকাডেমি আয়োজিত, জলপাইগুড়ি বিভাগীয় নাট্যোৎসব হল কালিয়াগঞ্জে। ৫-৯ অক্টোবর। জলপাইগুড়ি শহরের তিনটি নাট্যদল অংশ নেয়। ৬ই অক্টোবর ছিল সুচিত্রা ভট্টাচার্যের গল্প অবলম্বনে ইচ্ছেডানার নাটক ‘গঙ্গাস্নান’। নির্দেশনায় জবা শর্মা। ৭ই অক্টোবর কলাকুশলীর নাটক ছিল কেঁচো। স্বপ্নময় চক্রবর্তীর ছোট গল্পের ছায়া অবলম্বনে নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় তমোজিত রায়। ছিল দ্রবময়ীর কাশীবাস। ‘চিত্তপট’ প্রযোজিত এই নাটকের নাট্যরূপ শেখর মজুমদারের। মূল গল্প বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্দেশনায় মৌসুমী মজুমদার ও শেখর মজুমদার। অন্য দলগুলি বালুরঘাট নাট্যকর্মী, প্রযোজনা ঘরকথা। নাটক ও নির্দেশনায় ভবেন্দু ভট্টাচার্য। অনন্য থিয়েটার, কালিয়াগঞ্জ। প্রযোজনা, যখন অন্ধ প্রকৃতি চন্ডালিকা, নাটক-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নির্দেশনায় শুভাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। বিষাণ, মালদহ, প্রযোজনা কোথায় যাব। নাট্যকার মনোজ মিত্র, নির্দেশনায় তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। থিয়েটার কোলাজ, কোচবিহার, প্রযোজনা ফিঙ্গারপ্রিন্ট, নাট্যকার হর ভট্টাচার্য। নির্দেশনায় শুভব্রত সেনগুপ্ত। উত্তাল, শিলিগুড়ির প্রযোজনা জাম্বো। নাট্যকার মোহিত চট্টোপাধ্যায়। নির্দেশনা পলক চক্রবর্তী। মালদহের ‘মালঞ্চ’-র প্রযোজনা ‘রাণীরহাটের বৃত্তান্ত।’ কাহিনী সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ, নির্দেশনায় পরিমল ত্রিবেদী। রায়গঞ্জের বিচিত্রার প্রযোজনা ‘শাস্তি’। কাহিনী-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নির্দেশনায় হরিমাধব মুখোপাধ্যায়।
• উত্তাল নাট্যগোষ্ঠী ও গোবরডাঙা নক্শার উদ্যোগে ১৩ ও ১৪ অক্টোবর দীনবন্ধু মঞ্চে অনুষ্ঠিত হল শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি জেলা নাট্যোৎসব —‘রঙ্গযাত্রা-বঙ্গে-বহির্বঙ্গে’। উৎসবের প্রথম দিনে প্রথম প্রযোজনাটি ছিল গোবরডাঙা নক্শার। আশিস দাসের নির্দেশনায় পরিবেশিত হয় ‘সুভা’। পরবর্তীতে ছিল স্বাতী দাস চৌধুরীর কণ্ঠে কবিগুরুর গান। পরের নাটক ছিল জলপাইগুড়ি ইচ্ছেডানার প্রযোজনায় ‘গঙ্গাস্নান’। সম্পূর্ণ ভাবে মহিলা অভিনীত নাটকের পরিচালক জবা শর্মা। ১৪ অক্টোবর সকালে তথ্যকেন্দ্রের রামকিঙ্কর প্রদর্শনী কক্ষে ছিল আলোচনাসভা। বিষয় ‘মফস্বল থিয়েটারের সঙ্কট ও সম্ভাবনা’। বিকেলে তথ্যকেন্দ্র প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় ‘হা কৈশোর’ এবং ‘তোমার প্রতিক্ষায়’। মাঝে খোলা গলায় গান পরিবেশন করে শ্রোতাদের মন জয় করেন রঞ্জিত মুখোপাধ্যায়। সন্ধ্যায় পরিবেশিত হয় উত্তাল নাট্য গোষ্ঠীর ‘জাম্বো’। মোহিত চট্টোপাধ্যায় স্মরণে তাঁরই লেখা নাটকটির নির্দেশক ছিলেন পলক চক্রবর্তী। এর পরে অনুষ্ঠিত হয় শিবরাম চক্রবর্তীর গল্প অবলম্বনে কথা ও কবিতার শ্রুতি নাটক, ‘বিচার বিভ্রাট’। পরে জলপাইগুড়ি কলাকুশলী প্রযোজিত স্বপ্নময় চক্রবর্তীর গল্প অবলম্বনে নাটক ‘কেঁচো’। নির্দেশনায় তমোজিৎ রায়।
• জলপাইগুড়ির কলাকুশলীর উদ্যোগে তিনদিন ব্যাপী নাট্যোৎসব হয়ে গেল ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২ অক্টোবর, সরোজেন্দ্র দেব রায়কত কলাকেন্দ্রে। উদ্বোধন হয় সংস্থার নিজস্ব প্রযোজনা ‘ইঁদুর’ নাটক পরিবেশনের মাধ্যমে। পরিচালনা রাজা ভট্টাচার্য। অভিনয়ে নয়ন, অলীক, সৌরভ, অমিত, অভিষেক, উন্নতি, প্রিয়ম, পৌষালী, সাগ্নিক, বুবাই এবং সংস্থার নাট্য নির্দেশক তমোজিৎ রায়। পরিবেশিত হয় আরও দুটি ছোট নাটক শিলিগুড়ির উত্তালের ‘জাম্বো’এবং কোচবিহার কম্পাসের ‘মহুয়া উপাখ্যান’। দ্বিতীয় দিনে ছিল কালিয়াগঞ্জের অনন্য থিয়েটারের পূর্ণাঙ্গ নাটক ‘ভীষ্ম’। উৎসবের শেষ নাটক ছিল ‘শোক মিছিল’। ১৯৬৭-৬৯ পশ্চিমবাংলার রাজনৈতিক টানাপোড়েন নাটকের বিষয়।
• একটি নাট্যদলের ত্রিশ বছরের পথ চলা, খুব সামান্য নয়। জলপাইগুড়ির ‘শিলালী নাট্যম’ তাদের ৩০তম বর্ষ উদযাপন করল ১৬ই অক্টোবর। স্থানীয় রবীন্দ্র ভবনে। পরিবেশিত হল অশোক ভট্টাচার্যের রচনা ও নির্দেশনায় শ্রুতিনাটক ‘চিঠি’। অশোক ভট্টাচার্য এ শহরের নাট্যজগতের একটি পরিচিত নাম। পরে তাঁরই রচনা ও নির্দেশনায় এদিন মঞ্চস্থ হল নাটক ‘জীর্ণ বাহু’।
|
প্লাস্টিক দূষণ বিরোধী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করলেন ময়নাগুড়ির টেকাটুলি রামকান্ত হাই স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা। ৬ অক্টোবর স্কুল প্রাঙ্গণে প্লাস্টিক মুক্ত পৃথিবী গড়ার আবেদন নিয়ে ছিল গান, কবিতা পাঠ, নাটকের আয়োজন। স্কুল ছাত্রী ময়না রায় ও তপতী রায়ের ‘পৃথিবী সুন্দরী’ ভাওয়াইয়া সঙ্গীত দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। অলিভা মোদকের ‘দেখো দেখো কত সুন্দর প্রতি শিশির বিন্দু’ এবং সোনালী দত্ত ও জয় মণ্ডলের ‘রিমঝিম ঘনঘন বরষে’ সঙ্গীত ভাল লেগেছে। অনুষ্ঠান মাতিয়েছিল দুটি নাটক—‘প্লাস্টিক’ ও ‘সবুজ স্বপ্ন’। দুই শিক্ষক রুমা সরকার রাখী ব্রহ্ম অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
|
বালুরঘাট রবীন্দ্র ভাবনে ২৯ সেপ্টেম্বর মঞ্চস্থ হল শপথ নাট্য গোষ্ঠীর নাটক ‘অন্য ঝুমুর’। অনুষ্ঠানের আয়োজক শিল্পীমঞ্চ। পুরুলিয়ার বিখ্যাত লোকগানকে নতুন ভাবে পরিবেশন করেন শপথের নির্দেশক হারান মজুমদার।
|
দশমীতে প্রকাশিত হল রাজবংশী পত্রিকা ‘উজানী’। ময়নাগুড়ির আমগুড়ি গ্রামে ২০২ বছরের পুরনো বসুনীয়া পরিবারের পুজো মন্ডপে ওই সাহিত্য পত্রিকার পঞ্চম বর্ষের প্রথম সংখ্যা প্রকাশ করা হয়।
|
শিলিগুড়ি পূবালী সেনগুপ্ত স্মৃতি সংস্থার উদ্যোগে ১৩ অক্টোবর তরাই তারাপদ আদর্শ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল ৭ম বর্ষ প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা। প্রবন্ধের বিষয় ছিল ‘আমার বন্ধু’। |