পুরসভার কাউন্সিলর মারা গিয়েছেন দীর্ঘদিন। কোথাও এক বছর, কোথাও তারও বেশি সময় পেরিয়ে গিয়েছে। অথচ, উপ-নির্বাচন না হওয়ায় ওই সব ওয়ার্ডে এ পর্যন্ত নতুন কাউন্সিলর নিয়োগ হননি। ফলে অনেক জায়গাতেই ব্যাহত হচ্ছে পুর-পরিষেবা। এমনই অবস্থা রাজ্যের একাধিক পুরসভায়। এ বার ওই সব ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন করা নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সঙ্গেই ওই সব পুরসভার উপ-নির্বাচন করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
কাউন্সিলরহীন অবস্থায় পড়ে থাকা সেই সব ওয়ার্ড পরিচালনার দায়িত্ব বর্তমানে রয়েছে আশপাশের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বা খোদ পুরসভার চেয়ারম্যানের উপরেই। রাজ্য নির্বাচন দফতর ওই সব ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন সেরে ফেলার জন্য রাজ্য সরকারকে আগেই চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল।
পুরমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের অনেক পুরসভাতেই এমন অবস্থা। উপ-নির্বাচন করতে গেলে বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে। আর তার ফলে উন্নয়নের কাজ বন্ধ করে দিতে হবে। একটি ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচনের জন্য সব ওয়ার্ডে কাজ বন্ধ হয়ে গেলে সমস্যা দেখা দেবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে সাধারণ ভাবেই বিজ্ঞপ্তি জারি হবে রাজ্য জুড়ে। তখন ওই সব ওয়ার্ডে উপ-নির্বাচন করে ফেলাটা সহজ হবে।”
কলকাতা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর ইলা দাম মারা গিয়েছেন ২০১১ সালের ডিসেম্বরে। এক বছর হতে চলল ওই ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নেই। ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানান, পুর-পরিষেবা ঠিক মতো পেলেও কাউন্সিলরের স্বাক্ষর করানোর প্রয়োজন হলে কলকাতা পুরসভার সদর দফতর অথবা স্থানীয় বরো অফিসে ছুটতে হচ্ছে।
কলকাতার পাশেই রয়েছে বিধাননগর পুরসভা। সেখানকার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর গীতা বিশ্বাস প্রয়াত হয়েছিলেন ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। প্রায় তিন বছর ধরে মধ্যমগ্রাম পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড খালি পড়ে রয়েছে। সেখানকার তৃণমূল কাউন্সিলর গণেশ মণ্ডল প্রয়াত হওয়ার পরে ওই পুরসভার তরফে নির্বাচন কমিশনের কাছে উপ-নির্বাচনের জন্য আবেদন করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন পুর-চেয়ারম্যান রথীন ঘোষ। রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তথা ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর ভূপতি সেনগুপ্তের মৃত্যু হয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। তার পর থেকে ওই ওয়ার্ড খালিই পড়ে রয়েছে।
|
এ বার কলকাতার ভবঘুরেদের রেশন কার্ড দিচ্ছে খাদ্য দফতর। তাদের বিপিএলকার্ড দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। সেই সুবাদে দু’ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম দরে মাসে ৩৫ কিলোগ্রাম চাল-গম পাচ্ছেন কলকাতার ভবঘুরেরা। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রয় মল্লিক বলেন, “ইতিমধ্যেই শহরের প্রায় ১২০০ ভবঘুরেকে বিপিএল রেশন কার্ড দেওয়া হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট রেশন দোকান থেকে তাঁদের চাল-গম সংগ্রহ করতে হবে। |