নাম তুলে নিলেন মৌমা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
বিয়ের রেজিস্ট্রি ছিল, তাই খেলা না দিতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু শোনেননি কর্তারা। ক্ষোভে রাজ্য টেবল টেনিস থেকে নাম তুলে নিলেন মেয়েদের শীর্ষ বাছাই মৌমা দাস। শুক্রবার মৌমা ফোন করে জানিয়েও দিলেন নিজের সিদ্ধান্ত। ২৯ নভেম্বর হার্ডওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার কাঞ্চন চক্রবর্তীর সঙ্গে বিয়ে মৌমার। দেশের অন্যতম নামী মেয়ে তারকার বিয়েতে যাতে সবাই যোগ দিতে পারেন সে জন্য উত্তরাঞ্চল টেবিল টেনিস টুর্নামেন্টের সিনিয়র বিভাগের খেলা একদিন আগে অর্থাৎ ২৮ নভেম্বর শেষ করে দিচ্ছেন সর্বভারতীয় সংস্থার কর্তারা। এ দিন রাজ্য টিটি-র উদ্বোধন হল ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে। বিভিন্ন জেলার সঙ্গে খেলা ফেলা হয়েছিল মৌমার জেলা পূর্ব কলকাতারও। মৌমা না খেলায় তাঁর টিম হেরে যায়। মৌমা সংগঠকদের অনুরোধ করেন, খেলাটা পিছিয়ে দেওয়ার জন্য। কারণ, তাঁর বিয়ের রেজিস্ট্রির দিন অনেক আগে থেকেই ঠিক হয়ে রয়েছে। কর্তারা তা সত্ত্বেও খেলা ফেলেন। মৌমাকে ছাড়াই খেলে পূর্ব কলকাতা। রাজ্য সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট দেবীপ্রসাদ বসু বললেন, “শেষ মুহূর্তে মৌমা অনুরোধ করেছিল। তা রক্ষা করা যায়নি। ও ব্যক্তিগত বিভাগ থেকেও নাম তুলে নেওয়ায় খারাপ লাগছে।” মৌমা সরে দাঁড়ানোয় রাজ্য সংস্থায় বিরোধ অবশ্য তুঙ্গে উঠেছে। এমনিতেই সৌম্যদীপ রায়, পৌলমী ঘটকের মতো তারকারা খেলছেন না। মৌমা সরে দাঁড়ানোয় রাজ্য টিটি-র জৌলুস অনেকটাই কমে গেল। মৌমার বদলে উত্তর ২৪ পরগনার মৌসুমি পালকে শীর্ষবাছাই করা হচ্ছে। ছেলেদের শীর্ষ বাছাই হিসাবে খেলছেন অনির্বাণ ঘোষ। যাঁকে অনেকেই টিটির ‘গোল্ডেন বয়’ বলছেন। সাবজুনিয়র বিভাগের খেলোয়াড় হলেও সিনিয়র বিভাগে অনির্বাণের র্যাঙ্কিং এখন ছয়। এছাড়ও খেলছেন অনির্বাণ নন্দী, শুভম চৌধুরী। এ বারের প্রতিযোগিতায় ২২ টি বিভাগে মোট ৭১০ জন প্রতিযোগী খেলছেন। ৩০ অক্টোবর ফাইনাল। শুক্রবার প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্র এবং অলিম্পিয়ান জয়দীপ কর্মকার।
|
কোরিয়া ম্যাচ খেলার ইঙ্গিত লিয়েন্ডারের
নিজস্ব প্রতিবেদন |
ডেভিস কাপে ভারত যে দিন দক্ষিণ কোরিয়ার সামনে পড়ল, সে দিনই লিয়েন্ডার পেজ জানিয়ে দিলেন ভারতীয় দলে অদূর ভবিষ্যতে তিনি পরামর্শদাতা রূপে অবতীর্ণ হতে পারেন কিন্তু আপাতত তিনি দেশের হয়ে ডাবলস খেলতে চান। আগামী বছরের ১-৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লির আর কে খন্না স্টেডিয়ামে এশীয়-ওশেনিয়া এক নম্বর গ্রুপে ভারতের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ কোরিয়া। খেলা খুব সম্ভবত হার্ডকোর্টে। কারণ সোমদেব দেববর্মন-য়ুকি ভামব্রিদের তরুণ ভারতীয় টেনিস প্রজন্মের ঘাসে খেলার অভিজ্ঞতা খুবই কম। কোরীয়দের বিরুদ্ধে ’৭৮ থেকে গত চার দশকে ভারতের পারফরম্যান্স অবশ্য মোটেই আহামরি নয়। ৮ বারই আঞ্চলিক গ্রুপে মুখোমুখি হয়ে ভারত ৩-৫ পিছিয়ে। শেষ বার ২০০৬-এ অ্যাওয়ে টাইয়ে লি-হেশ, বোপান্নার পূর্ণশক্তির দলও ১-৪ হেরেছে। ভারতীয়রা কোরিয়ায় গিয়ে এক বারও জিতে না ফিরলেও কোরীয়রা কিন্তু ’৮৯-এ বারুচে ঘাসের কোর্টে জিশান-বাসুদেবন-মার্ক ফেরেরাদের ৪-১ গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন। এ বার বিষ্ণু-সনমদের দল সে রকমই অনভিজ্ঞ। সে জন্য লিয়েন্ডারের ঊনচল্লিশে ডেভিস কাপে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার খিদে ভারতীয় টেনিসের পক্ষে মঙ্গলজনক খবরই। লিয়েন্ডার যুক্তি দিয়েছেন, যেহেতু তিনি দেশের এক নম্বর (বিশ্ব র্যাঙ্কিং ৫) ডাবলস প্লেয়ার, সে কারণে ডেভিস কাপে ডাবলস খেলতে চান এখনও। ভারতীয় টেনিসমহল মনে করছে, কোরিয়ার সঙ্গে ডাবলসে লিয়েন্ডার-বিষ্ণু বর্ধন অলিম্পিক জুটিই খেলবে।
|
হরভজনের আগে অশ্বিন
সংবাদসংস্থা • নয়াদিল্লি |
জাতীয় দলে নয়, ভারতীয় বোর্ডের সেন্ট্রাল কন্ট্র্যাক্টের সর্বোচ্চ স্তরে হরভজন সিংহকে সরিয়ে ঢুকে পড়লেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। গ্রেড ‘এ’ থেকে ‘বি’ চুক্তিতে নেমে এলেন ছন্দে না থাকা পেসার ইশান্ত শর্মাও। গ্রেড ‘এ’-তে রয়েছেন ন’জন ক্রিকেটার, যাঁদের সঙ্গে বার্ষিক এক কোটি টাকার চুক্তি করেছে বোর্ড। এঁরা হলেনসচিন, ধোনি, সহবাগ, গম্ভীর, জাহির, কোহলি, রায়না, অশ্বিন এবং যুবরাজ সিংহ। গ্রেড ‘বি’-র বার্ষিক ৫০ লাখ টাকার চুক্তি তালিকায় হরভজন ও ইশান্তের সঙ্গে আছেন প্রজ্ঞান, রোহিত, পূজারা, রাহানে, ইরফান এবং উমেশ। গ্রেড ‘সি’-তে বার্ষিক ২৫ লাখ টাকার চুক্তি তালিকায় ২০ জন ক্রিকেটারের মধ্যে বাংলা থেকে তিন জন ঋদ্ধিমান, মনোজ এবং এই প্রথম বার বোর্ডের সেন্ট্রাল কন্ট্র্যাক্ট পাওয়া পেসার অশোক দিন্দা। চলতি মরসুমে জাতীয় দলের বাইরেই বেশি সময় কাটিয়েছেন হরভজন এবং ইশান্ত। অন্য দিকে, গত নভেম্বরে টেস্ট অভিষেকের পরে আট টেস্ট খেলে ৪৯ উইকেট তুলেছেন অশ্বিন। ৪০টা ওয়ান ডে খেলে পেয়েছেন ৫৬ উইকেট। হরভজনের অবনমন ঘটলেও ক্যানসার-যুদ্ধে জয়ী যুবরাজকে ‘এ’ গ্রেডেই রেখে দিয়েছে বোর্ড। ২০১১ বিশ্বকাপের অনেক মাস পরে সদ্য নিউজিল্যান্ড একদিনের সিরিজে ভারতীয় দলে তিনি প্রত্যাবর্তন ঘটানো সত্ত্বেও। বোর্ডের সঙ্গে চুক্তির অঙ্ক কমে গেলে কী হবে, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের আগে নতুন উদ্যমে অনুশীলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ইশান্ত।
|
বেটন শুরু কাল
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
স্থানীয় ১৩ দলের সঙ্গে এয়ার ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান অয়েল-সহ ভিন রাজ্যের ১১ দল নিয়ে সল্টলেক সাই কমপ্লেক্সের অ্যাস্ট্রো টার্ফে রবিবার শুরু হচ্ছে বেটন কাপ। বিশ্বের অন্যতম পুরনো (১১৭ বছর) হকি টুর্নামেন্টের এই ফাইনাল ১১ নভেম্বর। গত বারের চ্যাম্পিয়ন এয়ার ইন্ডিয়া এবং রানার্স ইন্ডিয়ান অয়েল ছাড়াও ওএনজিসি এবং সেনা একাদশ সরাসরি খেলবে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে। নক-আউট পর্বে দেশের প্রথম সারির বেশ কয়েকজন হকি তারকাকে খেলতে দেখা যেতে পারে বলে আশাবাদী সংগঠকরা। যদিও তাঁদের নাম জানানো হল না এ বেটন কাপের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর প্রাক্তন অলিম্পিয়ান গুরবক্স সিংহের তরফে এ দিন। টুর্নামেন্টের পুরস্কারমূল্য তিন লক্ষ টাকা।
|
২০১৩ মার্চে পিপিএল
সংবাদসংস্থা • করাচি |
অবশেষে শুরু হতে চলেছে পাকিস্তান প্রিমিয়ার লিগ। সব কিছু ঠিকঠাক চললে ২০১৩-র মার্চে হবে এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। যদিও ওই একই সময় দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়ার কথা পাকিস্তানের। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড থেকে জানানোও হয়েছে, সফরের সময়সূচি পাল্টানো সম্ভব নয়। পাক বোর্ডের চেয়ারম্যান জাকা আশরাফ এ দিন জানিয়েছেন, বোর্ডের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই দেশের প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন করা হয়েছে যাতে প্রথম পাঁচ বছর টুর্নামেন্টকে করমুক্ত করা হয়। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু আইপিএল সিক্স-ও। আশরাফ যদিও বলেছেন, আইপিএলের আগেই শেষ হয়ে যাবে পিপিএল। “আমাদের শুধু দু’সপ্তাহ সময় দরকার। প্রাথমিক কাজকর্মও শুরু হয়ে গিয়েছে,” বলেছেন আশরাফ।
|
এফ ওয়ান দেখতে যাচ্ছেন না সচিন
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
রঞ্জিতে মুম্বইয়ের প্রথম ম্যাচে খেলবেন সচিন তেন্ডুলকর। সে জন্যই এ বার ফর্মুলা ওয়ান দেখতে যেতে পারবেন না। গত বার রেস শুরুর পতাকা দেখিয়েছিলেন মাস্টারব্লাস্টার। মুম্বইয়ের প্রথম রঞ্জি ম্যাচের দলে আছেন জাহির খানও। অধিনায়ক অজিত আগরকর। বিপক্ষ রেলওয়েজ। মুম্বইয়ের হয়ে সচিন শেষ রঞ্জি ম্যাচ খেলেন ২০০৯ জানুয়ারিতে। গত মরসুমে চোট সারিয়ে ফিরে দুটো ম্যাচ খেলেছিলেন জাহিরও। ১৫ নভেম্বর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট শুরুর আগে ম্যাচ প্র্যাক্টিসের জন্য রঞ্জি খেলতে চেয়েছিলেন সচিন-জাহির।
|
ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালসে খেলা অনিশ্চিত হয়ে উঠছে মহেশ ভূপতি-রোহন বোপান্না জুটির। চলতি সুইস ইন্ডোরে প্রথম রাউন্ডেই রবিন হাস-ডিক নর্ম্যানের কাছে ৫-৭, ৬-২, ০-১ (১২-১৪) হারায় এটিপি র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম আট ডাবলস টিমের বাইরে ছিটকে যেতে বসেছে ভারতীয় জুটি। শেষ সুযোগ প্যারিস মাস্টার্সে। সেখানেও খারাপ ফল করলে মহেশদের লন্ডনে হয়তো দেখা যাবে না। |