মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। বৃহস্পতিবার মালদহের কালীতলায় কংগ্রেস অফিসে বসে এ কথা জানান তিনি। তাঁর অভিযোগ, “গনি-পরিবারের তরফে আমাকে উন্নয়ন ও দলের কাজে সহযোগিতা করা হচ্ছে না। বিপদে পড়লে কংগ্রেসের সাংসদদের পাশে পাচ্ছি না। সম্প্রতি পুলিশ আমাকে ছিনতাইয়ের মামলায় হেনস্থা করতে চাইলে আন্দোলনে নেমে জেলা নেতাদের সহযোগিতা পাইনি। এমন হেনস্থা ও অবজ্ঞার মধ্যেই কাজ করার চেষ্টা করে চলেছি। কিন্তু, প্রতি পদে বাধা পাচ্ছি।” এর পরেই তাঁর সংযোজন, “সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে কথা বলে তাঁর দলে ফের যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে মালদহে উন্নয়নের গতি ত্বরাণ্বিত করতে পারব।” কৃষ্ণেন্দুবাবু আগেও একবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৯৮ সালে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলের মালদহ জেলার সভাপতি হন। ২০০৬ সালে কৃষ্ণেন্দুবাবু তৃণমূল ছেড়ে ফের কংগ্রেস যোগ দিয়ে ইংরোজবাজার বিধানসভার প্রার্থী হন। কংগ্রেসের বিধায়ক হন। এর পরে ২০১১ সালে পুনরায় কংগ্রেস বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি। ৯৫ সালে ইংরেজবাজার পুরসভার কংগ্রেসের চেয়ারম্যান, ২০০০ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান ও ফের ২০১০ সালে কংগ্রেসের চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন কৃষ্ণেন্দুবাবু। দ্বিতীয় দফায় কৃষ্ণেন্দুবাবুর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত শুনেছেন কংগ্রেসের মালদহ জেলার সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরীও। তাঁর প্রতিক্রিয়া, “উনি আমাকে কিছু বলেননি। আমি শুনেছি উনি তৃণমূলে যোগ দেবেন। কাউকে জোর করে দলে রাখা যাবে না।” এই ব্যাপারে কৃষ্ণেন্দুবাবুর বক্তব্য, “তৃণমূলের কয়েকজন কাউন্সিলার বামফ্রন্টের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সিপিএমের নীহার ঘোষকে ইংরেজবাজার পুরসভা চেয়ারম্যান করেছিলেন। বরকতদার অনুরোধে সেইসময় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে ফের কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলাম। এখন কংগ্রেস আমাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। গনি পরিবারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করব বলেই কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের নারী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “কৃষ্ণেন্দু চৌধুরী একজন শক্তিশালী সংগঠক। উনি দলে ঢুকলে জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস আরও শক্তিশালী হবে।” ইংরেজবাজার পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দুলাল সরকরারে মন্তব্য, “উনি (কৃষ্ণেন্দু) ঘরের ছেলে। ঘরে ফিরে এলে তাঁকে স্বাগত জানাব।” |