৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে মালদহ জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কাযর্করী সভাপতিকে পুলিশ গ্রেফতার করায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১ টা নাগাদ ইংরেজবাজার থানার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক জাতীয় সড়ক লাগোয়া গয়েশপুর এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশের দাবি, দশমীতে গভীর রাত পযর্ন্ত মাইক বাজানোয় প্রতিবাদ করেছিলেন পুলিশকর্মীরা। পুলিশ মাইক বাজানো বন্ধও করে দেয়। এর পরেই পুলিশের একটি পুজো কমিটির সদস্যরা চড়াও হন বলে অভিযোগ। পুলিশ ও ওই পুজো কমিটির সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে এক পুলিশকর্মীসহ তিন জন জখম হয়েছেন। জখম হয়েছে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কাযর্করী সভাপতি অনন্ত চক্রবর্তী। পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে পুলিশ জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি সহ চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে সারারাত থানায় আটকে রাখে। জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কাযর্করী সভাপতিকে গ্রেফতারকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ টানাপোড়েন চলে। বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ জামিনে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের ছেড়ে দেয়। মালদহের পুলিশ সুপার জয়ন্ত পাল বলেন, “পুলিশের নিষেধাজ্ঞা সত্বেও গভীর রাত পযর্ন্ত একটি পুজো কমিটির প্রচণ্ড জোরে মাইক বাজাচ্ছিল। পুলিশ বাধা দিতে গেলে ওই পুজো কমিটির সদস্যরা পুলিশের উপর চড়াও হয়। পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাঁদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ১১ টা নাগাদ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া গয়েশপুর এলাকার একটি পুজো কমিটি প্রচন্ড জোরে মাইক বাজাচ্ছিলেন। পুলিশ গিয়ে মাইক বন্ধ করে দেয়। মাইক বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কাযর্করী সভাপতি অনন্ত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে ওই পুজো কমিটির সদস্যরা ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের অবরোধ করে রাস্তার উপর শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। অবরোধকারীদের রাস্তা থেকে উঠে যাওয়ার জন্য পুলিশ বারবার অনুরোধ করে। বারবার অনুরোধ সত্বেও অবরোধকারীরা জাতীয় সড়ক থেকে না ওঠায় কমব্যাট ফোর্সের জওয়ানরা গিয়ে লাঠি চালান। অবরোধকারীরা পাল্টা পুলিশের উপর চড়াও হয়। জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি সহ চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করলে ক্লাবের সদস্যরা পালিয়ে যান। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অম্লান ভাদুড়ি বলেন, “কাল আমি জেলা বাইরে ছিলাম। কি হয়েছে জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখছি।” পুলিশের উপর দলের যুব নেতার হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক দুলাল সরকার। তিনি বলেন, “আমরা সরকারে রয়েছি। আমাদের ছেলেরা কেন পথ অবরোধ করবে? কেন পুলিশের উপর হামলা করবে? পথ অবরোধ করে অনন্ত চক্রবর্তী অন্যায় কাজ করেছেন। আমি মালদহে থাকলে ওকে কখনই এই কাজ করতে দিতাম না।” এদিকে জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের কাযর্করী সভাপতি অনন্ত চক্রবর্তী বলেন, “পুলিশ আমার ভাইকে অন্যায়ভাবে মারছিল। এ কথা শোনার পর আমি প্রতিবাদ করেছিলাম। এই রাগে পুলিশ আমাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে বেধড়ক মেরেছে। শান্তিপূর্ণভাবে পুজো কমিটির সদস্যরা পথ অবরোধ করছিল। পুলিশ অন্যায়ভাবে তাদের উপর লাঠিচার্জ করেছে।” |