|
|
|
|
|
তার চেয়েও রেশম কন্যা... |
তেমন মসৃণ ত্বক, রেশমি রূপ পেতে, শরীরের অবাঞ্ছিত রোম থেকে মুক্তি চাই।
তার জন্যই আছে ওয়াক্সিং, থ্রেডিং, লেসার। আলোচনায় অনন্যা রায়
|
থ্রেডিং
একটি প্রাচীন পদ্ধতি। নির্বাক ছবিতেও আমরা নায়িকাকে দেখি ভুরু থ্রেডিং করা, সুতরাং এই পদ্ধতির বয়স কত তা আন্দাজ করা যায়। ভুরু থ্রেডিং তিনটি ধরনের হয় রাউন্ড, ওভাল এবং রাউন্ড ভি। কোনটা উপযুক্ত, তা নির্ভর করে মুখের আকৃতির ওপর।
যে কোনও থ্রেডিং-এর জন্য ত্বককে আগে শুষ্ক করে নিতে হবে। সেই কারণে আগে পাউডার পাফ করে নেওয়া উচিত। ভুরুর অংশটিকে ভীষণ টান রাখতে হবে, যাতে কেটে না যায়। প্রথমে শেপ-এর থেকে যেগুলি অতিরিক্ত আছে, সেগুলিকে তুলে ফেলতে হবে। পরের ধাপে আপনার মুখের আকৃতি অনুযায়ী শেপ আনা হয়। লেসারের সাহায্যে ভুরুকে একটি স্থায়ী শেপ দেওয়া সম্ভব। লেসারের সাহায্যে প্রথমে অতিরিক্ত লোম তুলে ফেলা হয় এবং ঠিক আকৃতি আনতে যেখানে যে রকম দরকার, সেটিকে বসিয়ে দেওয়া হয়। |
কপাল
আমাদের মুখের মধ্যে কপালে সব থেকে বেশি ট্যান হয়ে যায়। তার মধ্যে যদি লোম থাকে কপালটি আরও কালো লাগে। কপালের পর করা হয় আপনার লিপ বা গোঁফের অংশটি। এই অংশে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের কিছু রোম থাকে। কারও ক্ষেত্রে বেশি, কারও ক্ষেত্রে কম। মেয়েদের এই লোমের সংখ্যা বেশি হলে দেখতে খারাপ লাগে, সেই কারণে এটি তুলে ফেলাই ভাল। আপনার লিপ করার পর আপনি করাবেন থুতনি। কোনও মহিলা যদি নিজেকে পরিষ্কার রাখতে চান, তবে এই টি জোন’টি পরিষ্কার থাকলে মুখটি ফর্সা লাগে।
অনেকের জুলপির নীচ থেকে গালের চারপাশে রোমের আধিক্য দেখা যায়। হরমোন ভারসাম্যের অভাবে অনেকের ক্ষেত্রে একটু বেশি রোম জন্মায়। যাঁরা থ্রেডিং করাবেন, তাঁরা কোনও ভাল পার্লারে অবশ্যই যাবেন, যাঁরা ঠিক পদ্ধতিগুলো জানেন। এই অংশের ত্বকটি শক্ত ভাবে ধরে রাখতে হয়, কারণ গালের অংশটি একটু মোটা হয় বলে বেশি লাগে এবং র্যাশও বেরোতে পারে। বরফ দিলে সাময়িক আরাম লাগে, কিন্তু একটা জ্বলুনি ভাব থেকেই যায়। দু’দিন পরে র্যাশ বেরোতে পারে। এই অংশের থ্রেডিং-এর পর অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ক্রিম দিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে।
|
লেসার
এখনকার দিনে সবাই লেসারের দিকে ঝুঁকছেন, কারণ সকলে চাইছেন একটি স্থায়ী সমাধান। তিন থেকে চারটে সিটিং-এর মধ্যে লেসার-চিকিৎসা সম্পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। তিন হাজার থেকে লেসারের প্যাকেজ শুরু হয়। লেসার-চিকিৎসা কমবয়সিদের জন্য বেশি ভাল।
|
ওয়াক্সিং
ভুরু বাদে সর্বত্র ওয়াক্সিং সম্ভব। ওয়াক্সিং-এর সময় এসি চালু রাখা অত্যন্ত জরুরি। শরীর এবং মুখের ওয়াক্সিং সম্পূর্ণ আলাদা। কিন্তু মুখে বারংবার ওয়াক্সিং করলে ত্বক ঝুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মুখে ওয়াক্সিং-এর পর অ্যাকোয়া জেল, সি উইড বা কোনও অ্যান্টি-অ্যালার্জিক জেল দিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। যদি কেউ ম্যাসাজ করতে না চান, তবে ওটি লাগিয়ে রেখে দশ মিনিট বাদে তুলে ফেলতে হবে। শরীরে রোমকূপ ছাড়াও ফুটো-ফুটো মতো থাকে। রেজার দিয়ে তুললে রোমকূপ শক্ত হয়ে যায় এবং আগের তুলনায় বেশি বের হয়। ত্বক আরও কালো হয়ে যায়। বাহুমূল ও হাতের মতো নরম জায়গায় সাধারণ ওয়াক্সিং করাই ভাল। তবে, ওয়াক্সিং-এর সময় তাপমাত্রা ঠিক রাখা উচিত। যে ব্যক্তি যতটা গরম নিতে পারবেন, ঠিত ততটাই গরম নেবেন। ট্যান রিমুভার ওয়াক্সিং করলে আপনার কালো ভাবটিও দূর হয়ে যাবে। ওয়াক্সিং করতে করতে গ্রোথ কমে যায়। আপনি ইচ্ছানুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ফলের গন্ধের ওয়াক্সিংও হয়। ওয়াক্সিং-এর পর অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ক্রিম অবশ্যই লাগাবেন।
|
সাক্ষাত্কার: কস্তুরী মুখোপাধ্যায় ভারভাদা |
|
|
|
|
|