অস্বাভাবিক মৃত্যু, ক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
নার্সিংহোমে এক রোগীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে রহস্য দানা বেঁধেছে। অষ্টমীর দিন শিলিগুড়ির সেবক রোডে একটি নার্সিংহোমে ঘটনাটি ঘটেছে। রোগীর পরিবারের লোকেরা নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম অনন্ত রায় (৫২)। বাড়ি কোচবিহারের কাটাকুড়ার রানিবাগান এলাকায়। কিডনির অসুখে আক্রান্ত অবস্থায় তাকে শিলিগুড়ির ওই নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়েছিল। শিলিগুড়ি ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (সদর) ওজি পাল বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।” মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, ওই রোগী শয্যা থেকে উঠে ওয়ার্ডের বাইরে চলে যান। নার্স স্বাস্থ্য কর্মীরা বাধা দিলে তিনি শুনতে চাননি। নার্সিংহোমের এক ভবন থেকে অপর ভবনে যাওয়ার রাস্তা ‘গ্যাংওয়ে’ থেকে তিনি ঝাঁপ দেন। পরিবারের লোকদের অভিযোগ, গভীর রাতে কোচবিহার থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শিলিগুড়িতে। ওই দিন ভোর ৫ টা নাগাদ ভর্তি করানো হয়। পরে বেলা ৯ টা নাগাদ নার্সিংহোম থেকে ফোনে তাদের জানানো হয় রোগীর অবস্থায় ভাল নেই। বাড়ির লোকেরা গিয়ে দেখেন রোগী শয্যায় নেই। কর্তৃপক্ষ জানান, অনন্তবাবুকে আইসিইউ’তে স্থানান্তর করা হয়েছে। পরে জানানো হয় তিনি মারা গিয়েছেন। পরিবারের তরফে অনন্তবাবুর আত্মীয় যোগেশ রায় বলেন, “চিকিৎসক আমাদের জানান রোগী চার তলার জানলা দিয়ে ঝাঁপ দিয়েছেন। বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। পরে আমাদের সানে পুলিশের কাছে নার্সিংহোমের স্বাস্থ্য কর্মীরা জানান, রোগী বারান্দায় পড়ে গিয়েছেন। বাস্তবে কী ঘটনা ঘটেছে তা পরিষ্কার নয়। তাই এই নিয়ে পুলিশে অভিযোগ করা হয়েছে।”
|
এইচআইভি আক্রান্তদের অন্নপূর্ণা যোজনা কার্ড
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
উত্তরবঙ্গের তিনটি জেলায় ৯৮২ জন এইচআইভি পজিটিভকে খুঁজে খাদ্য দফতর তাদের হাতে অন্নপূর্ণা অন্ন যোজনা প্রকল্পের রেশন কার্ড পৌঁছে দিয়েছে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহারের ওই পরিবারগুলি এখন থেকে ২ টাকা কিলোগ্রাম দরে মাসে ৩৫ কিলোগ্রাম চাল পাবে। একই সঙ্গে সারা রাজ্যে এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তিদের অন্নপূর্ণা অন্ন যোজনা প্রকল্পের রেশন কার্ড দেওয়ার জন্য সমীক্ষা চালাচ্ছে খাদ্য দফতর। খাদ্যমন্ত্রী জানান, এডস, এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার দায়িত্ব জেলা মুখ্যস্বাস্থ্য অধিকারিকের। তবে তাঁরা যে ওই রোগে আক্রান্ত, কার্ডে তার কোনও উল্লেখ থাকবে না। এ ছাড়া, যৌনকর্মীদের চিহ্নিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জেলাশাসক, বিডিও এবং জেলা খাদ্য নিয়ামকদের। ঠিক হয়েছে, যৌনপেশায় যুক্ত যে সব মহিলা বা তাঁদের পরিবার যৌনপল্লিতে থাকেন, আপাতত কার্ড পাবেন এবং ২ টাকা দরে মাসে ৩৫ কিলোগ্রাম চাল পাবেন। এ ব্যাপারে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্য নেওয়া হবে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সারা রাজ্যে জেলা ভিত্তিক কুষ্ঠ রোগীদেরও চিহ্নিত করার জন্য জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছে খাদ্য দফতর। ওই প্রকল্পের আওতায় তাঁরাও বিপিএল কার্ড পাবেন।
|
চক্ষুদান শিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
দুর্গাপুজোয় মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করলেন ৩১ জন পুরুষ ও মহিলা। মঙ্গলবার আরামবাগ থানার কেশবপুর গ্রামে এই শিবির হয়। ব্যারাকপুরের একটি সংস্থার সঙ্গে শিবিরের আয়োজক সবুজ সঙ্ঘ।
|
নভেম্বরে এসএনসিইউ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
নভেম্বরের মধ্যে রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে সিক নিওনেটাল কেয়ার ইউনিট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। বৃহস্পতিবার জানান সুপার অরবিন্দ তান্ত্রি।
|
বাতানুকূল যন্ত্রে কুয়াশা, আতঙ্ক এসএসকেএমে |
তালাবন্ধ ঘরের বাতানুকূল যন্ত্র থেকে চুঁইয়ে পড়া জল ঠান্ডায় জমে তৈরি হয়েছিল কুয়াশা। তা থেকেই বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘আগুন-আতঙ্ক’ ছড়াল এসএসকেএম-এ। ঘটনাস্থলে যায় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। দমকল সূত্রে খবর, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এক তলায় রেডিওলজির এমআরআই যন্ত্রের ঘর থেকে ‘ধোঁয়া’ বার হতে দেখে আগুন লেগেছে ভেবে চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুর-নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ববি হাকিম এমআরআই কেন্দ্রটি ঘুরে দেখে বলেন, “বাতানুকূল যন্ত্রের পাইপ ফেটে জল জমেছিল। এমআরআই যন্ত্র ঠান্ডা রাখতে ওই ঘরের তাপমাত্রা অনেক কম রাখা হয়। ঠান্ডায় ওই জল থেকে কুয়াশা তৈরি হয়েছিল। প্রথমে সবাই সেটাই আগুনের ধোঁয়া ভেবেছিলেন।” সুপার তমালকান্তি ঘোষ জানান, ঘটনায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পরিষেবা বন্ধ ছিল না। নিরাপত্তার কারণে কিছুক্ষণ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। |