আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল গৃহকর্ত্রীর। অগ্নিদগ্ধ গৃহকর্তা-সহ ৫ জন। মঙ্গলবার রাত ১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে চুঁচুড়ার মতিঝিল ডাক্তার লেনে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম মুক্তি দীর্ঘাঙ্গি (৫৮)। তাঁর স্বামী হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার প্রাক্তন কর্মী শান্তিরঞ্জন দীর্ঘাঙ্গি। রাত ১টা নাগাদ তাঁদের বাড়িতে আগুন লাগে। ঘুমোচ্ছিলেন সকলে। স্থানীয় কিছু বাসিন্দা রাতে ঠাকুর দেখে ফেরার পথে শান্তিবাবুর বাড়ির জানালা থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখেন। চেঁচামিচিতে শান্তিবাবু উঠে দরজা খোলেন। মুক্তিদেবী বারান্দায় একটি খাটে শুয়েছিলেন। তিনি দেখতে পান গ্যাস সিলিন্ডারটি আগুনে জ্বলছে। সেই আগুন নেভানোর জন্য এগিয়ে যেতেই বিকট আওয়াজে ফেটে যায় সিলিন্ডারটি। ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায় মুক্তিদেবীর শরীর। |
আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাড়িতে। স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন শান্তিবাবু। স্থানীয় বাসিন্দারা কোনও রকমে তাঁকে বাইরে আনেন। রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ায় দমকলের গাড়ি বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছতে পারেনি। অন্য জায়গা থেকে ছোট গাড়ি এসে আগুন আয়ত্তে আনে। পুকুর থেকে জল এনে আগুন নেভাতে গিয়ে চার স্থানীয় বাসিন্দা অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। শান্তিবাবু-সহ তিন জন চুঁচুড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এক জনকে কলকাতায় পাঠানো হয়। পুলিশের অনুমান, ইনভার্টারে শর্টসার্কিট থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
|
মদ্যপদের বিশৃঙ্খলার প্রতিবাদ করে প্রহৃত হলেন এক যুবক। ঘটনাটি ঘটে নবমীর রাতে হুগলির শেওড়াফুলি শিতলাতলায়। সুভাষ দাস নামে ওই যুবক শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, অষ্টমীর রাতে শিতলাতলায় রাস্তার ধারে মদ্যপান করছিল কয়েক জন। ওই অবস্থায় বিশৃঙ্খলা করায় সুভাষবাবু প্রতিবাদ করেন। তখনকার মতো ওই যুবকেরা ফিরেও যায়। পরের দিন সুভাষবাবুকে একা পেয়ে তারা বেধড়ক মারধর করে পালায়। তাঁর পিঠের হাড় ভাঙে। পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বৃহস্পতিবার এফআইআর করা হয়। প্রহৃতের ভাই বিভাসের অভিযোগ, “ছোটকা আদগিরির নেতৃত্বে দাদাকে মারধর করা হয়। বাইরে থেকে ছেলে এনেছিল ওরা।” তদন্তকারী পুলিশ অফিসারেরা জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
|
ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। বুধবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং ও তালদি স্টেশনের মধ্যে রেল লাইনের ধারে পড়ে থাকা অরবিন্দ নায়েক (৫০) নামে তালদির বাসিন্দা ওই প্রৌঢ়ের দেহ উদ্ধার করে রেল পুলিশ। |