কারাকাস লন্ডন দামাস্কাস বার্লিন বাল্খ (আফগানিস্তান) |
১৯৯৮ সালে যে আসনে বসেছিলেন, ২০১২ সালেও সেই আসন ধরে রাখতে পারলেন ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট উগো চাভেস। গত রবিবার যদিও সে দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথম দিকটা এ কে ৪৭-ধারী বাহিনীর দাপটই ছিল বেশি, ক্রমে পরিষ্কার, মানুষের উত্তাল সমর্থন তাঁর সঙ্গেই রয়েছে। ফলাফল বেরোনোর পর মানুষের ঢল নামে রাস্তায়, চাভেস-এর অতি বড় সমালোচকও মানতে বাধ্য, তিনি জনপ্রিয় বটে! বিশ্ব জুড়ে বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে: কী বার্তা দিচ্ছে সোশ্যালিস্ট নেতা চাভেস-এর এই জয়?
• সিরিয়ায় বিবিসি নিউজ সাইট সরকারি ভাবে ব্লক করে দেওয়া হল। স্বাভাবিক। খবর মানেই বিদ্রোহের খবর। আর দেশসুদ্ধ লোকই যখন বিদ্রোহী, তাদের কাছে বিদ্রোহের খবর পৌঁছে দিয়ে তাদের মনোবল বাড়ানোর কোনও অর্থ হয় কী? প্রেসিডেন্ট বাশার যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
• জার্মানিতে একটি নিও-নাত্সি অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দিল টুইটার, প্রথম বার এমন কাণ্ড করল তারা। জার্মান পুলিশ তাদের এই ‘অনুরোধ’ জানানোতেই এই কাজ তাদের। অনুরোধ? না কি নির্দেশ? অতি-দক্ষিণপন্থীদের বাড়বাড়ন্ত ভাল কথা নয়, ঠিক। কিন্তু সরকারি নির্দেশে বাক্-স্বাধীনতায় শিকল পরানোও কি ভাল?
• আফগানিস্তানের উত্তরে বালখ প্রদেশে এক বিয়েবাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ। হত ১৮। আর কত দিন?
|
• এই মুহূর্তে দুনিয়ায় সবচেয়ে চর্চিত নাম বোধহয় মালালা ইউসুফজাই। তিনি লন্ডনে চিকিৎসাধীন, কিন্তু পাকিস্তানে মৌলবাদের বিরুদ্ধে কথা বলা মেয়েটির ছবি নিয়ে দেশে দেশে মিছিল চলছে। তিনি এখন ইসলামি দুনিয়ার মেয়েদের মুক্তির প্রতীক। মার্কিন সেনেটের ১৪ জন মহিলা সেনেটর পাক প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখলেন, মালালার ওপর হামলাকারীদের কঠোর শাস্তি চেয়ে। |
|
মহা-নির্বাচনের আর মাত্র দু’সপ্তাহ বাকি। এ দিকে মিট রোমনি যেন ঠিকই করে ফেলেছেন, তিনি হারবেন। প্রেসিডেন্ট ওবামার সঙ্গে দ্বিতীয় বার বিতর্কে অবতীর্ণ হয়ে তিনি মোটেই ভাল পারফর্ম করেননি। কিন্তু তার চেয়েও খারাপ খবর হল, সে দিন বিতর্কের সময় মেয়েদের নিয়ে বেশ খারাপ মন্তব্য করে ফেললেন তিনি, বেরিয়ে এল তাঁর ও তাঁর দলের নারীবিদ্বেষী মনোভাব। রোমনির সে দিনের বাক্যাংশ “বাইন্ডার্স ফুল অব উইমেন” ইন্টারনেটে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। কথাটার অর্থ হল: চাকরিজগতে যোগ্যতাসম্পন্ন মেয়ে খুঁজে পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। বিতর্কসভায় ব্যাপারটা তত না ঘাঁটালেও বিতর্ক-পরবর্তী ওয়াশিংটনে ওবামা স্বভাবতই ছেড়ে দিচ্ছেন না রোমনিকে। দেশবাসীকে ভেবে দেখতে বলছেন, তাঁরা এগোতে চান না কি পঞ্চাশ বছর আগের আমেরিকায় যে ভাবে ভাবা হত নারী বিষয়ে, সেখানেই ফিরে যেতে চান।
|
মাথায় হিজাব পরতে ভুলে গিয়েছ? বাজে কথা বলার জায়গা পাও না? তবে দেখো কী হয়! ঝটপট কাঁটি এনে পত্রপাঠ ছোট্ট ছাত্রীদের চুল কেটে ফেলে শাস্তি দিলেন স্কুলের শিক্ষিকা। লাক্সর নামে মিশরের দক্ষিণ প্রান্তের ছোট্ট শহরে ঘটেছে এই কাণ্ড। যদিও লাক্সরের মেয়র বলেছেন ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’, ততটা বিচ্ছিন্ন বলে মনে হচ্ছে না ব্যাপারটাকে। গত বছরের বিপ্লব শেষ হওয়ার পর মুসলিম ব্রাদারহুডের উত্থানের পর থেকেই ইসলামীকরণের চিহ্ন ছড়িয়ে পড়ছে দেশের আনাচেকানাচে। নতুন সরকারের আমলে এই সব অত্যাচারীর শাস্তির আশাও দূর অস্ৎ।
|
হোটেল ছেড়ে অতিথিরা চলে যাওয়ার সময় কত কিছুই তো ফেলে যান। পড়ে থাকে তাঁদের ব্যবহৃত বা ব্যবহার্য টুকিটাকি জিনিস, যেমন টুথব্রাশ, মোবাইল ফোন, বাড়ির চাবি, কিংবা বড় বড় জিনিস, সুটকেস, ল্যাপটপ, পাসপোর্ট! তবে তালিকা এখানেই শেষ নয়। অতিথিরা কিছু অভাবিত বস্তুও ফেলে যান কখনও সখনও, যেমন সাপ, কিংবা শামুক! কেউ কেউ আত্মীয়স্বজনও ফেলে যান ‘ভুল’ করে, যেমন মা বা স্ত্রী! একটি বিখ্যাত বিদেশি অনলাইন কোম্পানি সমীক্ষা করে দেখল। নানা দেশের ৫০০ হোটেল নিয়ে চলেছিল এই সমীক্ষা।
|
পাকিস্তানের কাছে হেরে গেল ভারত! কীসে? চিনের ভালবাসার ভাগাভাগির লড়াইয়ে। ২৫ শতাংশেরও কম চিনা ভারত দেশটাকে পছন্দ করেন। পাকিস্তানকে পছন্দ করেন ৩১ শতাংশ। ওয়াশিংটনের পিউ রিসার্চ সেন্টার এই হৃদয়বিদারক তথ্য জানিয়েছে। বেজিংয়ের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ক বন্ধুত্বের, মনে করেন ৩৯ শতাংশ। ভারতের উদ্বেগের আরও কারণ রয়েছে। ভারত সম্বন্ধে ২০১০ সালে চিনে যতটা ইতিবাচক মনোভাব ছিল, দু’বছরে অনেকটাই কমেছে। ভালবাসা পেলেই হয় না, তাকে রাখতে জানতে হয়!
|
গুগ্লে ‘কমপ্লিটলি রং’ লিখে ইমেজ সার্চ করলেই পর পর ছবি আসছে মিট রমনির। (‘ইডিয়ট’ লিখে সার্চ করলে অবশ্য আগের মতোই জর্জ ডব্লিউ বুশকে দেখতে পাবেন)। তবে গুগ্ল সাততাড়াতাড়ি জানিয়েছে, এটা তাদের রাজনৈতিক অভিমত নয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীর নীতি বিষয়ক কোনও মন্তব্যও নয়। এটা নেহাতই অ্যালগরিদমের খেলা সার্চ ইঞ্জিন বিভিন্ন হিসেবনিকেশ করে রমনির ছবিই খুঁজে আনছে। এ দিকে, ডেমোক্র্যাটরা একটা ওয়েবসাইট তৈরি করেছে, সেখানে নাকি রমনির ট্যাক্স প্ল্যান পাওয়া যাবে। এ দিকে, যত বারই ‘গেট দ্য ডিটেলস’ লেখায় ক্লিক করতে যাবেন, লেখা পালাবে অন্য দিকে। |