নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কোচ না থাকলে একটা দলের কী হাল হয়, মোহনবাগান কর্তারা সেটা বুঝে গেলেন মহাষষ্ঠীর সকালে। কর্তা-সহকারী কোচেদের সামনেই অনুশীলন চলাকালীন হাতাহাতি-মারামারিতে জড়ালেন ওডাফা-সহ দলের ফুটবলাররা। কর্তাদের হস্তক্ষেপে তা মিটলেও, ঘটনায় তাঁরা বিব্রত-চিন্তিত। শনিবারই অনুশীলনে যোগ দেন করিম বেঞ্চারিফার সহকারী হিসাবে নব-নির্বাচিত মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়। সকালে পুরো টিমকে দু’দলে ভাগ করে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলাচ্ছিলেন। ম্যাচ চলার সময় মনীশ মৈথানি বল বাড়ান অনিল কুমারকে। তা দেখে উত্তেজিত মনীশের দিকে তেড়ে যান ওডাফা। মোহন-অধিনায়ক বলতে থাকেন, মনীশ ভুল পাস করেছেন। দুজনের বাদানুবাদ শুরু হয়। ঝামেলা থামাতে গণ্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন মেহেরাজউদ্দিনও। মৃদুল ও বাকিদের হস্তক্ষেপে ঝামেলা অবশ্য কিছুক্ষণের মধ্যে থেমে যায়।
ঘটনার কিছুক্ষণ পরে আবার গণ্ডগোল। এ বার রাকেশ মাসি চড় মারেন সতীর্থ মিডিও অর্জুন চট্টোপাধ্যায়কে। অর্জুন বেশিক্ষণ কেন পায়ে বল রাখছেন তা নিয়েই ঝামেলা। পরে অবশ্য ভুল বুঝে অর্জুনের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন অনুতপ্ত রাকেশ। অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ছুটে আসেন অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত। ফুটবলারদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। পরে দেবাশিস জানান, “মাঠের ব্যাপার, মাঠেই মিটে গেছে। এটা বড় ঘটনা নয়। ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলেছি। কোনও সমস্যা নেই। মাঠে এ রকম হয়।” প্রসঙ্গত গত মরসুমের শেষে ইস্টবেঙ্গলেও ঝামেলা হয়েছিল। অনুশীলন চলাকালীন কোচ মর্গ্যানের সামনেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন টোলগে এবং গুরবিন্দর সিংহ। তখনও মর্গ্যান বলেন, “অনুশীলনে ফুটবলাররা ভাল খেলার জন্য উত্তেজিত থাকে। এ রকম হতেই পারে।” মর্গ্যান নিজে ব্যাপারটা সামলে নেন তীক্ষ্ণ বুদ্ধির সাহায্যে। জরিমানা করেন দু’জনকেই। মোহনবাগান অবশ্য সেই পথে হাঁটেনি। কোচ না থাকায় আলোচনার মাধ্যমে কর্তারা মিটিয়ে দেন সব কিছু।
এ দিকে মোহনবাগানে যখন ডামাডোল, তখন সহকারী কোচ রঞ্জন চৌধুরির তত্ত্বাবধানেই অনুশীলন চলছে ইস্টবেঙ্গলে। লাল-হলুদেও এই মুহূর্তে কোচ নেই। ছুটি কাটাতে মগ্যার্ন অস্ট্রেলিয়ায়। তবে সেখান থেকেই তিনি নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন সহকারীদের সঙ্গে। বলে দিচ্ছেন, কী করতে হবে। |