মণ্ডপে প্লাস্টিক খুঁজতে অভিযান |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
প্লাস্টিক খুঁজতে ষষ্ঠী থেকে দশমী শহরের পুজো মণ্ডপগুলিতে অভিযান চালাবেন পুর কর্মীরা। তবে প্লাস্টিক পেয়ে গেলে পুজোর দিনে অবশ্য বা শাস্তিমুলক ব্যবস্থার আশঙ্কা নেই, খানিকটা গাঁধীগিরির ঢঙে পুজো উদ্যোক্তাদের ডেকে সচেতন করে মণ্ডপ থেকে প্লাস্টিক সরিয়ে দেবেন পুর কর্মীরাই। ইতিমধ্যেই শহরের সবকটি মোড়েই পুরসভার প্লাস্টিক বিরোধী অভিযানের হোর্ডিং লাগানো হয়েছে।
চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে শহরে প্লাস্টিক ব্যবহার করলেই ক্রেতা বিক্রেতাদের স্পট ফাইন চালু করেছে পুরসভা। দফায় দফায় শহরের বিভিন্ন বাজার এবং ব্যস্ত এলাকায় অভিযান চালানোর পরে শহরে প্লাস্টিকের ব্যবহার অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত বলে পুর কর্তৃপক্ষের দাবি। তবে পুজোর পাঁচ দিনে প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ে কড়াকড়ি শিথিল হলে ফের প্লাস্টিকের ব্যবহার জাঁকিয়ে বসতে পারে বলে পুরসভার আশঙ্কা। সে কারণেই পুজোর দিনগুলিতেই কর্মীদের ছুটি বাতিল করে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান মোহন বসুর কথায়, “শহরের পরিবেশের কথা মাথায় রেখেই প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবং যে কোনও মূল্যে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হবে। পুর কর্মীরাও আন্তরিক প্রয়াস চালাচ্ছেন।”
ষষ্ঠী থেকে দশমী চারদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মণ্ডপগুলিতে অভিযান চালিয়ে দেখা হবে পুজো মণ্ডপ বা লাগোয়া এলাকায় প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে কি না। বিশেষত প্রসাদ বিলির ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের ক্যারিব্যাগের ব্যবহারের প্রবণতা বেশি বলে পুর অফিসারেরা জানাচ্ছেন। পাশাপাশি, শহরের বিভিন্ন ব্যস্ত এলাকা বা বাজারে অভিযান চলবে। প্লাস্টিকের ব্যবহার হলেই জরিমানাও আদায় করা হবে। পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পিনাকী সেনগুপ্ত বলেন, পুজো মণ্ডপ বা পুজো উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রে যে নমনীয়তা দেখানো হবে ব্যবসায়ী বা ক্রেতাদের ক্ষেত্রে তা বরদাস্ত করা হবে না। প্লাস্টিকমুক্ত মণ্ডপকে পুরস্কৃত করবে পুরসভা।” |