|
|
|
|
বিনোদন |
অর্ধ-দশক পরে ফের ফিরছে রুপোলি পর্দা
আশিস বসু • আগরতলা |
|
|
এ বারের পুজোয় শহরবাসীর বহু দিনের একটি অভাব পূরণ হতে চলেছে। আগরতলায় ফিরে আসছে বড় পর্দা।
বিষয়টি শুনতে বিস্ময়কর হলেও এটাই বাস্তব। গত অর্ধ-দশক সময় ধরে ভারতের একটি অঙ্গ রাজ্যের রাজধানীতে কোনও সিনেমা হল ছিল না। ২০০৭ সালের যে চারটি সিনেমা হল ছিল তাও বন্ধ হয়ে যায়। অথচ রাজ্যের বাম সরকার কিন্তু রাজধানী আগরতলায় চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেছেন বছর বছর! যদিও রাজধানীর বাসিন্দাদের দৈনন্দিন বিনোদনের ব্যাপারে বিশেষ উদ্যোগী হয়নি সরকার। অবশেষে বেসরকারি উদ্যোগেই আগরতলাবাসী পাচ্ছেন বিনোদনের সুযোগ। পুজোর আগেই চালু হতে চলেছে একটি মাল্টিপ্লেক্স।
২০০৭ সালের কথা। সেই যে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল হলে বসে বড় পর্দায় সিনেমা দেখার সুযোগ, তার পর দেখতে দেখতে পাঁচ বছর অতিক্রান্ত। আগরতলার চারটি সিনেমা হল--চিত্রকথা, সূর্যঘর, রূপছায়া এবং রূপসী, পর্যায়ক্রমে ঝাঁপ বন্ধ করে তারা। আগরতলার চলচ্চিত্রপ্রেমীদের একাংশের ধারণা, ভিসিডি এবং ভিসিপি’র দৌরাত্ম্যে হল মালিকরা পেরে উঠছিলেন না। পাশাপাশি, সিনেমা হলগুলির পরিকাঠামোগত অবস্থাও ছিল খুবই অনুন্নত। ফলে প্রকৃত চলচ্চিত্রপ্রেমীরা নিজেদের ঘরবন্দি করে ফেলেম। ঘরে বসেই টলিউড, বলিউড এবং হলিউডের ছবি দেখে সাধ পূরণ করতেন তাঁরা।
যে রূপসী প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ২০০৭ সালে সেখানেই, নবনির্মিত মাল্টিপ্লেক্সে পুরনো ‘রূপসী’ নতুন সাজে, আধুনিকতার মোড়কে হাজির। ফিরে আসছে চারটে নতুন হল। এমনকী এখানে থ্রি-ডি ছবিও দেখার সুযোগ পাবেন দর্শকরা। প্রতিটি হলের আসন সংখ্যা ২৫০ থেকে ৩৫০। জানা গিয়েছে, শুধু আগরতলায় নয়, এ বার শহরতলি এবং জেলা স্তরেও, বন্ধ হয়ে যাওয়া হলগুলিকে নবরূপে ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা নিচ্ছেন হল মালিকদের একাংশ। ত্রিপুরা তথ্য এবং সংস্কৃতি দফতরের অধিকর্তা শান্তনু দাস বলেন, ‘‘নতুন করে সিনেমা হল চালানোর জন্য মালিকপক্ষকে রাজ্য সরকার অনুরোধ করে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে কিছু দিনের জন্য কর ছাড়ের (‘ট্যাক্স হলিডে’) দাবি জানিয়েছিল সিনেমা হল মালিকরা। রাজ্য সরকার সেই দাবি পুরো না হলেও, কিছুটা মেনেছে।’’ |
|
|
|
|
|