|
|
|
|
চিকিৎসক ফেরানোর পরেই প্রসব
|
নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
‘এখনই নয়, দিন পনেরো পরে।’ জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে আসা প্রসূতিকে দেখে এমনই ‘রায়’ দিয়েছিলেন চিকিৎসক। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটি যে প্রসব যন্ত্রনায় ছটফট করছে! চিকিৎসকের তাচ্ছিল্যের জবাব ছিল, “তাহলে আপনারাই যখন সব বোঝেন চিকিৎসাটা আপনারাই করুন!” তবে ওই মহিলার স্বামী অবশ্য গোঁ ধরে থাকেন, যা হওয়ার হাসপাতালেই হবে। বাড়ি নিয়ে যাবেন না বলে। চিকিৎসক ফিরিয়ে দিলেও হাসপাতালের গেটের কাছে গিয়ে বসে ছিলেন তিনি। কিন্তু যন্ত্ণা উত্তরোত্তর বাড়তে থাকলে ফের স্ত্রীকে আউটডোরে নিয়ে যান মহিলার স্বামী। আর, আশ্চযের্র ঘটনা, ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই হাসপাতালেই সন্তান প্রসব করেন তিনি। কী বলবেন?
মঙ্গলবার স্ত্রী বেলি দাসকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন প্রবীরবাবু। রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের প্রত্যন্ত জেঠিয়া গ্রাম থেকে স্ত্রীকে নিয়ে আসার পরে যন্ত্রণায় রীতিমতো ছটফট করতে থাকেন বেলি। প্রবীববাবু বলেন, “ওঁরা তো কোনও কথাই শুনতে রাজি ছিলেন না। ওই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের নাম দেবাশিস চক্রবর্তী। তিনি পরীক্ষার করে দায়সারা ভাবে বলে দেন, দিন পনেরো পরে আসুন।” কিন্তু ‘ছুটি’ দিলে হয়? প্রবীরবাবুই শুধু নন, প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহিলা যে ভাবে কাতরাচ্ছিলেন তাতে বোঝা যাচ্ছিল প্রসব হতে দেরি নেই। অথচ চিকিৎসক একই কথা বলে যেতে থাকেন, এখনও সময় হয়নি। |
|
|
নিজস্ব চিত্র |
|
গটনাটি জানতে পেরে স্পষ্টই অস্বস্তিতে হাসপাতালের সুপার শাশ্বত মণ্ডল। তিনি বলেন, “ওই মহিলার পরিবার এ ব্যাপারে অভিযোগ করেচেন। ওই চিকিৎসক কী করে ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন জানিনা। ওই স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে।” ওই চিকিৎসক দেবাশিসবাবু অবশ্য নির্বিকার। তিনি বলেন, “ওই প্রসূতির কাউন্সেলিং করার ক্ষেত্রে হয়ত কিছুটা ভুল ছিল। তবে সব ক্ষেত্রে সঠিক প্রসবের সময় বলা যায় না। এ ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।”
|
এইমস, স্মারকলিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানাঘাট |
কল্যাণীতে এইমস-এর দাবিতে মহকুমা শাসকের অফিসের সামনে বুধবার বিক্ষোভ দেখান কল্যাণী শহর তৃণমূল কংগ্রেস ও আদিবাসী চেতনা মঞ্চের সদস্যরা। বিক্ষোভ শেষে এক প্রতিনিধি দল মহকুমা শাসকের কাছে ডেপুটেশনও দেয়। |
|
|
|
|
|