নিজস্ব সংবাদদাতা • রঘুনাথগঞ্জ |
বৈদ্যুতিক তারে শক লেগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাটিতে আছড়ে পড়ে মা। রাতভর আহত মা-কে ঘিরে ধরে বসে ছিল তার বাচ্চাটিও। বুধবার সকালে মহাবীরতলায় সকলের নজর পড়তেই সাহেববাজার স্পোর্টিং ক্লাবের ছেলেরা মা-সহ শিশু হনুমানটিকে নিয়ে যায় জঙ্গিপুর শহরের সরকারি প্রানী চিকিৎসা কেন্দ্রে। সেখানে চিকিৎসা ও খাবার পেয়ে মা ও শিশু কিছুটা সুস্থ হলেও বিপদ এখনও কাটেনি। |
জঙ্গিপুরে জখম হনুমানের শুশ্রূষা করছেন পশু চিকিৎসক ও ক্লাবের ছেলেরা। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়। |
পশু চিকিৎসক বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, “হাসপাতালে কোনও ইনডোর বিভাগ নেই। পরিকাঠামোর অভাবে এই ধরনের পশুদের চিকিৎসার সুবিধা নেই। পাড়ার ছেলেরা ওষুধ ও দুধ কিনে দিচ্ছেন। সেগুলো দেওয়ার পর শিশুটি কিছুটা সুস্থ হলেও মা হনুমানটির বিপদ কাটেনি। সাহেবনগর স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অসীম রায় বলেন, “আহত মা হনুমানটিকে হাসপাতালে তুলে আনতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে আমাদের। মা কিছুতেই বাচ্চাটিকে কোল থেকে ছাড়তে চাইছিল না। কিন্তু হাসপাতালে ওষুধপত্র ও দুধ খাওয়ানোর পর বাচ্চাটিকে আলাদা করা গিয়েছে। আমরা যে চিকিৎসা করে ওকে ভালো করতে চাইছি সেটা ও সম্ভবত বুঝতে পেরেছে। রাতে হাসপাতাল থেকে অন্যত্র রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।” জঙ্গিপুরের পুর প্রধান মোজাহারুল ইসলাম বলেন, “এই সব কারণেই একটা পশু হাসপাতাল দরকার জঙ্গিপুরে। খুব ভাল কাজ করেছেন সাহেব বাজারের ছেলেরা।” |