নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
নিষিদ্ধ শব্দবাজির তাণ্ডব বন্ধে এ বার এখনও অভিযান শুরু করেনি রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
প্রতিবছর দুর্গাপুজোর দু’মাস আগে থেকে নিষিদ্ধ শব্দবাজির আটক করার জন্য পর্ষদের উদ্যোগে বিভিন্ন জেলায় বাজি কারখানা ও গুদামে অভিযান চলে। এ বছর তেমন অভিযান শুরুই হয়নি। পর্ষদের এই উদাসীনতায় শঙ্কিত পরিবেশকর্মীরা। তাঁদের সংগঠন ‘সবুজ মঞ্চ’ বুধবার অভিযোগ করেছে, উৎপাদক ও ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে শব্দবিধি শিথিল করতে চাইছে রাজ্য ।
বর্ষার পর থেকেই শব্দবাজি তৈরি শুরু হয়। পর্ষদের অভিযানও শুরু হয় তখন। এক অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক জানান, বাজি তৈরি শুরুর সময়েই অভিযান হলে উৎপাদকেরা ভয় পেয়ে নিরস্ত হন। সাধারণ ভাবে অগস্টে অভিযান শুরু হলেও পুলিশের সঙ্গে বৈঠক হয় জুলাইয়ে। এ বছর সেই বৈঠক হয়নি। তবে কলকাতা পুলিশ সম্প্রতি চিনাবাজার ও বড়বাজার থেকে তিন টন নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে। অভিযান চালাতে পুলিশের সঙ্গে পর্ষদের চিঠি চালাচালি শুরু হয়েছে।
সবুজ মঞ্চের পক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে শব্দবিধি শিথিল না করার আবেদন জানানো হয়েছে। মঞ্চের আহ্বায়ক নব দত্ত বলেন, “শব্দবাজির প্রতিবাদ করে রাজ্যে কয়েক জনের মৃত্যুও হয়েছে। তাঁদের স্মরণ করে সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”
বাজির শব্দ নিয়ন্ত্রণে ১৯৯৬ সালে হাইকোর্ট একটি নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী শব্দের ক্ষেত্রে দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ ৯০ ডেসিবেল মাত্রা বেঁধে দেয়। সেই বিধিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বাজি উৎপাদক ও ব্যবসায়ীরা কয়েকবার হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। আদালত সব সময়েই শব্দবিধির পক্ষে রায় দিয়েছে। এখনও একটি মামলা চলছে হাইকোর্টে। ওই মামলার শুনানি আজ, বৃহস্পতিবার।
বাজি উৎপাদকদের আশা, আদালতের রায় এ বার তাঁদের পক্ষে যাবে। ‘চম্পাহাটি হাড়াল আতসবাজি ব্যবসায়ী সমিতি’-র সম্পাদক স্বপন দত্ত বলেন, “আমরা আদালতকে বোঝাতে পেরেছি, গোটা দেশে ১২৫ ডেসিবেলের বাজি তৈরি হচ্ছে। আমরাই ৯০ ডেসিবেলের উপর বাজি তৈরি করতে পারি না। তাতে পিছিয়ে পড়ছি।” |