|
|
|
|
হলদিয়ায় জটমুক্তি চেয়ে কোর্টে এবিজি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
হলদিয়া বন্দর এবং তার আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আদালতের দ্বারস্থ হল পণ্য খালাসকারী সংস্থা এবিজি। ওই সংস্থার দাবি, গত দেড় মাস ধরে বন্দরে যে-বিশৃঙ্খলা চলছে, তাতে তারা কাজ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টে একটি রিট আবেদনে সংস্থার চিফ এগ্জিকিউটিভ অফিসার বা সিইও গুরপ্রীত মালহি আইনশৃঙ্খলা ফেরাতে রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
মালহি বলেন, “অচলাবস্থা কাটাতে কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের ব্যর্থতায় আমরা চূড়ান্ত হতাশ। কলকাতা পোর্ট ট্রাস্ট-কর্তৃপক্ষ হলদিয়া বন্দরে কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে আনার যে-প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা তাঁরা রাখতে পারেননি। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য যে-পদক্ষেপ করার দরকার ছিল, তা-ও করেননি।” |
|
২ নম্বর বার্থে পণ্য খালাসের কাজ বন্ধ। ছবি: আরিফ ইকবাল খান |
অচলাবস্থা চলতে থাকলে তারা হলদিয়া বন্দর ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছে এবিজি। কারণ, এই পরিস্থিতিতে কোনও আয় না-হওয়ায় সংস্থার পক্ষে কর্মীদের বেতন দেওয়া এবং অন্যান্য খরচ মেটানো সম্ভব নয়। মালহি জানান, ইতিমধ্যে তাঁরা বন্দরে ফের কাজ শুরু করার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁদের কর্মীদের উপরে হামলা চালানো হয়েছে। নানা ভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে কাজে। এ দিনও কর্মীরা যখন কাজ শুরু করার জন্য নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলেন, সেই সময় জনা পঞ্চাশ লোক তাঁদের উপরে হামলা চালায় বলে পুলিশে এফআইআর দায়ের করেছেন এবিজি-কর্তৃপক্ষ। ওই সংস্থার সিইও বলেন, “সাম্প্রতিক গণ্ডগোলের আগে পর্যন্ত এই বন্দরে আমাদের ইউনিটটি খুব ভাল ভাবেই কাজ করছিল।” এবিজি-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের কাছে বহু বার আবেদন করেও কোনও লাভ হয়নি। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। হলদিয়া বন্দরে এবং তার আশপাশের এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বন্দর-কর্তৃপক্ষ, সিআইএসএফ বা শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী এবং রাজ্য পুলিশের একযোগে কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন এবিজি-কর্তৃপক্ষ। তাঁদের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত যে-অবস্থা চলছে, তাতে কাজ করা যায় না। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে বার্ষিক লাভ থেকে ভবিষ্যতে হলদিয়া বন্দরে ১৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার বিষয়টি এবং ওই সংস্থার ৩৫০ কর্মীর ভাগ্য অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এবিজি-কর্তৃপক্ষ। |
|
|
|
|
|