আর জি কর হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনায় এখনও অন্ধকারে পুলিশ। এক সন্দেহভাজন মহিলার স্কেচও আঁকানো হলেও তদন্তকারীরা তেমন সাহায্য পাননি বলে পুলিশি সূত্রের খবর। শনিবার দুপুরে ওই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে ছ’দিন বয়সের একটি শিশু চুরি যায়। এক মহিলাই শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, সকাল থেকে ওই মহিলা প্রসূতি বিভাগে ঘোরাফেরা করছিল। সেই সময়েই শিশুটির দিদিমা সালেয়ার সঙ্গে ভাব জমায় সে। বেলা ১টা নাগাদ সালেয়া তাঁর মেয়ে, অর্থাৎ শিশুটির মা মর্জিনা বিবিকে শৌচাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় শিশুটিকে ওই মহিলার কাছে দিয়ে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে তাঁরা দেখেন, মহিলা উধাও। বাচ্চাটিরও খোঁজ নেই। তার পরেই বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। শিশুচোরের হদিস পেতে আর জি করে সিসিটিভি-র সে-দিনের ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনার দিন হাসপাতালে যে-সব কর্মী কর্মরত ছিলেন, তাঁদের সিসিটিভি-র ফুটেজ দেখানো হচ্ছে। সম্প্রতি প্রসূতি বিভাগ থেকে ছাড়া পাওয়া কয়েক জন মহিলার বাড়িতে গিয়ে তাঁদের সঙ্গেও কথা বলছে পুলিশ। কিন্তু সেখান থেকেও তেমন কোনও সূত্র মেলেনি। তদন্তকারীদের সন্দেহ, সন্দেহভাজন মহিলার নিয়মিত যাতায়াত ছিল হাসপাতালে। এমনকী ওই মহিলা প্রসূতি বিভাগের সব কিছু জানত বলে পুলিশের ধারণা। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে শনিবার প্রসূতি বিভাগের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চার জন নিরাপত্তারক্ষীকে সাসপেন্ড করেছেন হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষ। শিশু চুরির এই ঘটনা হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকেই ফের কাঠগড়ায় তুলে দিয়েছে। হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছেন, শিশুর অভিভাবকদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত।
|
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে সোমবার উত্তেজনা তৈরি হল রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে। ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম দেবব্রত দাস। তৃণমূল প্রভাবিত চিকিৎসক সংগঠনের ওই প্রভাবশালী নেতার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ, তিনি হাসপাতালের মধ্যে বহিরাগতদের নিয়ে রোগীর পরিজনদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। ওই রোগীর পরিবার হাসপাতাল সুপার, মহকুমাশাসক (ওই হাসপাতালের রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান) ও রামপুরহাট থানায় চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছে। অভিযুক্ত চিকিৎসক দেবব্রতবাবু অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “ঠিক কী হয়েছে তা আমার জানা নেই। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।” অন্য দিকে, মহকুমাশাসক রত্নেশ্বর রায় বলেন, “চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। রোগীর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ওই রোগীকে ফের হাসপাতালে ভর্তি করানোর জন্য বলা হয়েছে।”
|
স্টেট গভর্নমেন্ট পেনশনার্স ফেডারেশনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির উদ্যোগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের আয়োজন করা হল সোমবার। জেলা কালেক্টরেট চত্বরেই এই শিবির করা হয়। চক্ষু, নাক, কান, গলা প্রভৃতি বিষয়ের চিকিৎসকেরা উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ২০০ জন অবসরপ্রাপ্ত কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। তারই সঙ্গে সংগঠনের পক্ষ থেকে বৃদ্ধাশ্রমের বৃদ্ধবৃদ্ধাদের বস্ত্র বিতরণও করা হয়। এদিনের শিবিরে উপস্থিত ছিলেন মেদিনীপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রণব বসু, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান স্বপন মুর্মু, আশিস চক্রবর্তী, রজনীকান্ত দোলই। অবসরপ্রাপ্ত বয়স্ক কর্মীরা এই ধরনের শিবির নিয়মিত করার দাবি তোলেন। সংগঠনের সম্পাদক অন্নদাশঙ্কর চৌধুরী আগামী দিনেও শিবির করার আশ্বাস দিয়েছেন।
|
তালতলায় ‘পশ্চিমবঙ্গ সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণ সংস্থা’র উদ্যোগে সোমবার ৩৮তম স্বাস্থ্য-সচেতনতা শিবির হল। সূচনা করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ডিন অফ মেডিক্যাল ফ্যাকাল্টি সুবীরকুমার দত্ত। সভাপতি ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন হাসপাতালের শল্যচিকিৎসা বিভাগের প্রাক্তন প্রধান অশেষরতন নন্দী। ছিলেন সংস্থার সম্পাদক অলোক দাশগুপ্ত। ফুটপাথবাসী-সহ নিম্নবিত্ত মানুষদের নিয়ে আয়োজিত ওই শিবিরে অংশ নেন ১৪ জন বিশিষ্ট চিকিৎসক। |