উদ্বোধনে ‘সৌজন্য’র রাজনীতি কৃষ্ণনগরে |
কগ্রেস পরিচালিত কৃষ্ণনগর পুরসভার মার্কেট কমপ্লেক্স উদ্বোধন করা হল স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ককে দিয়ে। সোমবারের এই ঘটনায় জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা। কৃষ্ণনগর পোস্ট অফিস মোড়ে মার্কেট কমপ্লেক্সে স্টলের সংখ্যা ১০৫টি। পুরপ্রধান অসীম সাহা বলেন, ‘‘এই কমপ্লেক্স দু’টি তৈরির সময়েই তৃণমূলের একটি অংশ প্রবলভাবে বিরোধিতা করেছিল। তখন কিন্তু স্থানীয় বিধায়ক অবনী জোয়ারদারের সহযোগিতাতেই সমস্যা মিটেছিল।’’ তৃণমূলের যে অংশ সেদিন এই কমপ্লেক্স তৈরির ব্যাপারে ‘উচ্ছেদ বিরোধী আন্দোলনে’ নেমেছিল, তাঁদের অন্যতম রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, ‘‘আমরা উন্নয়ন বিরোধী নই। উচ্ছেদ বিরোধী। পুরসভা যে সকল হকারদের উচ্ছেদ করে এই কমপ্লেক্স বানিয়েছে তারাই যাতে এই স্টলগুলো পান সেটা নিশ্চিত করতেই আমরা আন্দোলনে নেমেছিলাম।’’ অবনীবাবু বলেন, ‘‘প্রশ্ন উন্নয়নের। রাজনীতির নয়।”
|
সাংসদ মান্নানকে শুভেচ্ছা মমতার |
মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস সাংসদ মান্নান হোসেনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পাঠিয়ে তাঁর দীর্ঘ জীবন কামনা করলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্যই জঙ্গিপুর লোকসভা উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশ হয়েছে। মান্নানের জন্মদিনও এই প্রথম এল না। তাই মমতার শুভেচ্ছা-মোড়কে একটি রাজনৈতিক বার্তা রয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রের ব্যাখ্যা। মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে মান্নানের সম্পর্কের কথা সুবিদিত। মান্নানকে বার্তা পাঠিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের আগে অধীরের কংগ্রেসে তৃণমূল নেত্রী প্রচ্ছন্ন ভাবে বিভাজন উস্কে দেওয়ার কৌশল নিয়েছেন বলে তৃণমূলের ওই সূত্রের ব্যাখ্যা। এর আগে অজয় দে-র মতো কংগ্রেস বিধায়ককেও মমতা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তবে কংগ্রেসের একাংশের মতে, এর মধ্যে অন্য কোনও বার্তা খোঁজা অর্থহীন। |