মোহনবাগান কোচ হিসাবে হঠাৎ-ই ভেসে উঠল প্রাক্তন ভারতীয় দলের কোচ স্টিভন কনস্ট্যান্টাইনের নাম। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগও শুরু করলেন কর্তারা।
করিম বেঞ্চারিফার সঙ্গে কথাবার্তা চালালেও তাকে সালগাওকর ছাড়বে না ধরে নিয়েছেন সবুজ-মেরুন কর্তারা। ফলে ডেভিড বুথের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি স্টিভনের কথা মাথায় এসেছে কর্তাদের। ভাইচুং-মহেশ-ক্লাইম্যাক্সদের নিয়ে জাতীয় দলে দীর্ঘ তিন বছর কাজ করেছেন স্টিভন। জিতেছেন এল জি কাপ। ভারতের পাশাপাশি নেপাল, সুদানেও কোচিং করিয়েছেন তিনি। স্টিভনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টার কারণ ডেভিড বুথ এখনও চূড়ান্ত কথা দেননি। তা ছাড়া প্রচুর টাকাও চেয়েছেন। স্টিভন এখন সাইপ্রাসের প্রথম ডিভিসনের ক্লাব নিও সালামিস ক্লাবে কোচিং করাচ্ছেন। করিমের ব্যাপারটি শেষ হয়ে যাওয়ায় সোমবার রাত পর্যন্ত এগিয়ে আছেন অবশ্য বুথ-ই। কর্তারা খবর পেয়েছেন, বুথ একটু বদ-মেজাজি। একটুতেই রেগে যান। সে জন্যই স্টিভনের নাম নিয়ে নড়াচড়া শুরু হয়েছে। |
তেকাঠির নীচেও এখন ওডাফা। ছবি: উৎপল সরকার। |
মহালয়ার রাতে ক্লাব প্রেসিডেন্ট টুটু বসু শহরে ফিরলেও এ দিন ক্লাব কর্তারা সরকারি ভাবে আলোচনায় বসেননি। তাঁরা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন। ফোনও ধরছেন না। ফলে সন্তোষ কাশ্যপের জায়গায় কাকে কোচ করা হবে তা নিয়ে একই সঙ্গে নাটক ও ধোঁয়াশা অব্যহত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কর্তাদের আলোচনায় বসার কথা। সন্ধ্যায় ঘোষণা হতে পারে নতুন কোচের নাম। বিদেশি কোচ না পাওয়া গেলে সুখবিন্দর সিংহকে কোচ করে দেওয়া হতে পারে। তবে যে-হেতু সুখীর ‘এ’ লাইসেন্স নেই সে জন্য আবার লাইসেন্স কোচ খুঁজতে হবে। সোমবার রাত পর্যন্ত সুব্রত ভট্টাচার্যের নাম তালিকায় নেই। তবে মোহনবাগান বলেই যতক্ষণ না নতুন কোচের নাম ঘোষণা হয়, ততক্ষণ সুব্রতর নাম বাজারে চালু থাকবে।
কর্তারা অবশ্য আরও হাতে সময় পেয়ে গিয়েছেন এয়ারলাইন্স কাপের ফাইনাল স্থগিত হয়ে যাওয়ায়। আজ মঙ্গলবার মোহনবাগানের সঙ্গে মহমেডানের মধ্যে ওই খেলা হওয়ার কথা ছিল। উদ্যোক্তারা জানান, পুলিশ ম্যাচ করার অনুমতি দেয়নি। এ বার নিয়ে তিন বার ফাইনালের সূচি ঘোষণা করেও স্থগিত করে দেওয়া হল। খেলা কবে হবে কেউ জানে না। ওডাফা ওকোলি অবশ্য এ দিন আর বাঁশি মুখে মাঠে নামেননি। নিয়মের বেড়াজালে মাঠ বন্ধ থাকলেও ক্লাবের মাঠেই এ দিন অনুশীলন করেন ওডাফা-টোলগেরা। তবে মূল ফটক বন্ধ করে। মূলত ফিজিক্যাল ট্রেনিং ও সেট-পিসই হয়। |