সম্পাদক সমীপেষু...
ইংরেজিতে পড়ে বাংলায় উত্তর লিখব?
ধর্ষণ আর দুর্ঘটনায় মৃত্যু তবে এক হল
এই বিমল ঘোষ কবি নন, মূলত শিশুসাহিত্যিক
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লিখিত ‘তাঁর ভূমিকা ছিল কালজয়ী’ (৭-১০) রচনাটিতে একটি ভ্রান্তি আছে। শ্রীগঙ্গোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘আনন্দমেলা’... বিভাগের সম্পাদক ছিলেন কবি বিমলচন্দ্র ঘোষ। ছদ্মনাম ‘মৌমাছি’। কবি বিমলচন্দ্র ঘোষ (১২-১২-১৯১০২২-১০-১৯৮১) এবং মৌমাছি ছদ্মনামা ‘আনন্দমেলা’ পরিচালক বিমল ঘোষ (চন্দ্র নয়) (১৮-৩-১৯১০৭-৩-১৯৮২), পৃথক ব্যক্তি। মৌমাছি বিমল ঘোষ মূলত কবি ছিলেন না, ছিলেন শিশুসাহিত্যিক। আনন্দবাজার পত্রিকার শেষ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত শিশু ও কিশোরপাঠ্য ‘আনন্দমেলা’র সূচনা থেকেই (১৯৪০) তিনি ছিলেন এই বিভাগের পরিচালক ও এর সঙ্গে যুক্ত ‘মণিমেলা’র সংগঠক।
প্রবীণ নাগরিকদের জন্য আলাদা কামরা চাই
আমি এক জন সিনিয়র সিটিজেন। আইনে ৬০ বছরের বেশি নাগরিকদের কিছু সুযোগ-সুবিধার কথা বলা আছে। কিন্তু ব্যাঙ্ক, পোস্টঅফিস কিংবা রেল কাউন্টারে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য কোনও আলাদা কাউন্টারের ব্যবস্থা নেই। প্রবীণ নাগরিকদের সাধারণ কাউন্টারে দীর্ঘ ক্ষণ ধরে লাইন দিতে হয়। আমার প্রস্তাব, অবিলম্বে ব্যাঙ্ক, পোস্টঅফিস, রেলস্টেশন ও রেশন দোকানে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য আলাদা লাইনের ব্যবস্থা করা হোক। ট্রেনে সিনিয়র সিটিজেনদের জন্য অন্তত একটি আলাদা কামরার ব্যবস্থা করা হোক।
‘বাবু, ব্যাঙ্কের ছিলিপটা এট্টু লিখে দ্যান’
‘সাক্ষরতার প্রথম পাঠ’ (২৬-৯) সম্পাদকীয় প্রসঙ্গে দু’একটি কথা বলতে চাই। এক সময় পশ্চিমবঙ্গে নিরক্ষরতা দূরীকরণের ব্যাপারে একটা উন্মাদনা এসেছিল। কর্মীদের ট্রেনিংয়ের ব্যাপারে সরকারি টাকা খরচে কার্পণ্য ছিল না। ট্রেনিং শেষে তাঁদের নির্দিষ্ট স্থানে পাঠানো হল এবং বই ও আনুষঙ্গিক দ্রব্যাদিও হাতে ধরিয়ে দেওয়া হল। কিন্তু তাঁরা যথাস্থানে গেলেন কি না এবং বইপত্রগুলো ছাত্রছাত্রীদের হাতে পৌঁছল কি না, তার খোঁজখবর কেউ নিল না। কিছু দিন পরে খবরের কাগজে পড়লাম, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা পূর্ণ সাক্ষর জেলা। চার দিকে তাকিয়ে দেখলাম, নিরক্ষর মানুষের ভিড় আগে যেমন ছিল, তেমনই আছে। আগের মতোই ব্যাঙ্কে গেলে ‘বাবু, আমার ব্যাঙ্কের ছিলিপটা এট্টু লিখে দ্যান’ শুনতে পাই।
এক দিন বাড়ি ফিরছি একটা দু-চাকার ভ্যানে। ভ্যানচালক বলল, ‘জানেন বাবু, আমাদের নাম সই করা শেখাবে বলে এক বাবু আমাদের কেলাবে আসত। মানে দু’-এক দিন এসেছিল। তার পর আর এলোনি। আমরা সবাই একদিন বাবুর বাড়িতে গিয়ে বললাম, বাবু, আমাদের নাম সই করাডা শিখায়ে দ্যান, আমরাই আপনারে টাকা দেব। বাবু এলোনি।’
এক দিন গোসাবা থানার লাহিড়িপুরে শুনলাম, সে দিন এলাকার সমস্ত হাইস্কুলের পঞ্চম ও ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের একটি নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিরক্ষরতা দূরীকরণ অভিযান কেমন এগিয়েছে, দেখার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষ আসবেন। এর চেয়ে বড় প্রহসন আর কী?


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.