|
|
|
|
স্কেচ আঁকিয়ে শিশুচোর ধরতে মরিয়া পুলিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
মাঝারি চেহারা। গায়ের রং ফর্সা। মাথার সামনে চুল কম এবং রং করা। পরনে লাল শাড়ি। বয়স ২৯-৩০ বছর।
শনিবার আর জি কর হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ঘটনায় এমনই এক মহিলাকে খুঁজছে পুলিশ। নিখোঁজ শিশুর মা মর্জিনা বিবি এবং দিদিমা সালেয়ার সঙ্গে কথা বলে ওই মহিলার এই বিবরণ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সন্দেহভাজন মহিলার একটি স্কেচও আঁকানো হয়েছে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে শনিবার প্রসূতি বিভাগের বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা চার জন নিরাপত্তারক্ষীকে সাসপেন্ড করেছেন হাসপাতাল-কর্তৃপক্ষ।
শনিবার দুপুরে ওই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে ছ’দিন বয়সের একটি শিশু চুরি গিয়েছে। এক মহিলাই শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। পুলিশ জানায়, সন্দেহভাজন ওই মহিলা সকাল থেকে প্রসূতি বিভাগে ঘোরাফেরা করছিল। সেই সময়েই সালেয়ার সঙ্গে ভাব জমায় সে। বেলা ১টা নাগাদ সালেয়া তাঁর মেয়ে মর্জিনা বিবিকে শৌচাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় শিশুটিকে ওই মহিলার কাছে দিয়ে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে তাঁরা দেখেন, মহিলা উধাও। বাচ্চাটিরও খোঁজ নেই। তার পরেই বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়।
|
সন্দেহভাজনের স্কেচ। |
ওই হাসপাতালের অন্যান্য রোগী, কর্মী-সহ বিভিন্ন লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী অফিসারেরা সন্দেহভাজন মহিলার বয়স ও চেহারার একটা বিবরণ পেয়ে যান। ঘটনার পর থেকে ওই দিন প্রসূতি বিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশের ডিসি (নর্থ) গৌরব শর্মা বলেন, “বিবরণ অনুযায়ী আঁকানো স্কেচ এবং সিসিটিভি-র ফুটেজ দেখানো হচ্ছে হাসপাতালের কর্মীদের। প্রসূতি বিভাগ থেকে যাঁরা শনিবার ছাড়া পেয়েছেন, তাঁদের বক্তব্যও শোনা হচ্ছে।” জানুয়ারিতে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকেও একটি শিশু চুরি গিয়েছিল। সেই ঘটনায় তদন্তকারীদের সাহায্য করেছিল সিসিটিভি-র ফুটেজ। কিন্তু আর জি করে সিসিটিভি-র ফুটেজ এখনও পর্যন্ত পুলিশকে তেমন কোনও জোরালো সূত্র দিতে পারেনি। রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য শনিবারেই জানিয়েছিলেন, সিসিটিভি-র ফুটেজে সন্দেহভাজন মহিলার ছবি আসেনি। তাঁর কথায়, “সিসিটিভি-র বিষয়টি ওই মহিলা আগে থেকে জানত।” যদিও পুলিশের একাংশের বক্তব্য, সিসিটিভি-র ছবির যা হাল, তাতে ছবি এলেও তা থেকে কাউকে চেনা মুশকিল। কাজেই ছবিতে ওই মহিলা আছে কি না, তা বোঝা যাচ্ছে না। হাসপাতালের মূল গেটের সামনের সিসিটিভি-র ফুটেজও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কয়েক দিন আগে যে-সব কর্মী প্রসূতি বিভাগে ডিউটি করেছেন, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তদন্তকারী অফিসারদের সূত্রের খবর, ন্যাশনাল মেডিক্যালের শিশু চুরির ঘটনার সঙ্গে আর জি করের ঘটনার মিল রয়েছে। এর পিছনে কোনও শিশু চুরি চক্রের যোগসাজশ থাকার সম্ভাবনাও পুরোপুরি উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। |
|
|
|
|
|