আমাদের চিঠি
 
শুধু শহর নয়, উন্নয়নের ছোঁয়া পাক গ্রামও
বেহাল ডায়মন্ড হারবার স্টেশন রোড। ছবি: দিলীপ নস্কর।
কলকাতা আমাদের আদরের শহর, মহানগরী, আমাদের রানিশহর। যাকে রানি বলে থাকি তাকে সাজিয়ে রাখা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আমরা হলাম তার প্রজা। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করব, কিন্তু রানিরও একটা দায়িত্ব থাকবে তার প্রজাদের উপর, তাই আমরা প্রজারা রানি ও প্রজাদের দেখভালের জন্য একজনকে বসিয়েছি রানির সিংহাসনে। তাঁর উচিত রানি ও তার প্রজাদের উপর নজর দেওয়া। রানির শহরে হচ্ছে উড়ালপুল, রাস্তায় স্ট্রিট লাইট থাকা সত্ত্বেও বসছে সুন্দর সুন্দর আলো। এ সবই রানির শহরের প্রজাদের জন্য, গ্রামবাংলার প্রজারা সেখানে বাত্য। আমরা গ্রামবাংলার প্রজারা উড়ালপুল চাই না, চাই ইলেকট্রিক পোলের উপর একটা আলো। বর্ষায় রাতের অন্ধকারে যাতে প্রজাদের অসুবিধা না হয়। চাই, গ্রামবাংলার পরিবেশটা একটু উন্নত হোক। যেমন আমাদের চন্দ্রকোনা থানার অন্তর্গত গ্রাম পলাশচাবড়ি। এখানেই আছে একটি উচ্চ বিদ্যালয় (পলাশচাবড়ি নিগমানন্দ উচ্চতর বিদ্যালয়)। এখানেই পঠনপাঠনের জন্য আসে বারোটি গ্রাম থেকে প্রায় তিন হাজার ছাত্রছাত্রী। কিন্তু ভারী বৃষ্টি হলে ছ’টি গ্রামের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকেরা বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। কারণ, বিদ্যালয় থেকে ৩০০ মিটার দূরে প্রায় ১০০ মিটার চওড়া একটি খাল আছে (হানাভাঙা)। যার গভীরতা প্রায় ৩০ মিটার। তাতে পুল ছিল। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেটি পরে একেবারে ভেঙে যায়। নিজেদের স্বার্থে স্থানীয় মানুষ কয়েক টুকরো বাঁশ দিয়ে একটা পুল বানিয়েছেন। তাতেই এখন কোনওরকমে যোগাযোগ ব্যবস্থা চলছে। কিন্তু সামান্য ভারী বৃষ্টি হলেই সেটি ভাসিয়ে নিয়ে যায়। শুনেছি, প্রায় বছর চারেক আগে নতুন পুল তৈরি হবে ঠিক হয়েছিল। কিন্তু তার কোনও নমুনা আজও দেখা যায়নি। ইলেকট্রিক আলোর জন্য সমীক্ষা হয়ে গিয়েছে প্রায় আট মাস আগে। তারও কোনও সাড়াশব্দ নেই। এই সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো যাতে তাড়াতাড়ি হোক, এটাই চাই। শুধু শহর নয়, উন্নয়নের সুবিধা পাক গ্রামবাংলার মানুষ, এটাই চাই।
সড়ক-যন্ত্রণা
আপনাদের বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রে প্রকাশিত দু’টি খবরের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। “রাস্তাকেটে বিক্ষোভ বাদুড়িয়ায়” (১১ অগস্ট) এবং “দুর্ভোগের রাস্তা” (১৩ অগস্ট)। দু’টি জায়গাতেই রাস্তার অবস্থা ভয়ানক শোচনীয়। খানাখন্দে ভরা, পিচ উঠে গিয়ে ডোবার আকার নিয়েছে। বিগত তিরিশ-চল্লিশ বছরেও মনে হয় রাস্তাগুলোর সংস্কার করা হয়নি। উত্তর ২৪ পরগনার কাটিয়াহাট থেকে কাটাকাল পর্যন্ত (৮-১০ কিমি) রাস্তায় খোড়াগাছি, বেলগাড়িয়া পুঁড়ো, লক্ষ্মীকান্তপুর, ভোজপাড়া, ফতুল্যাপুর, উঃ মেদিয়া, পশ্চিম মেদিয়া অঞ্চলের বিস্তৃর্ণ এলাকার মানুষই ভুক্তভোগী। অথচ এলাকার বহু প্রাথমিক স্কুল, হাইস্কুল, পোস্টঅফিস, একটি উপ সহায়ক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, লাইব্রেরি, ফাঁড়ি সবই বর্তমান। এ বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিশেষ ভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। না-হলে বিক্ষোভ একদিন চরম আকার ধারণ করবে। এ দিকে স্বরূপনগর থানার বালতি গ্রাম পঞ্চায়েতের বালতি, নবাদকাটি, আমুদিয়া, চিতুড় প্রভৃতি অঞ্চলের রাস্তাঘাটেরও একই হাল। প্রায় ৪-৫ কিমি. রাস্তাই খানাখন্দের ডোবায় ভরা। অথচ বিডিও অফিস, স্কুল, কলেজ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থকেন্দ্রে (শাঁড়াপুল) আসতে হলে ওই রাস্তাই ভরসা। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করুক এটাই কাম্য। রাস্তার অব্যবস্থার ফলে ভ্যান, রিকসা, এমনকী ট্রেকার, গাড়ি, বাসেরও যন্ত্রপাতির ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। ফলে গাড়ির মালিকেরাও গাড়ি চালাতে চাইছেন না।
রাস্তা সংস্কার হোক
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার স্টেশনরোড দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ, সাইকেল, রিকশা, ভারী যানবাহন চলাচলা করে। বর্ষা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তার অবস্থায় শোচনীয় হয়েছে। রাস্তার দু’দিকে ফল-সবজির দোকানের ফেলা জঞ্জালে রাস্তাটিকে খাটালের মতো দেখতে লাগে। সারাদিন রাস্তার ধারে রিকশা-ভ্যান সাইকেল, মোটর সাইকেল প্রভৃতি যানবাহন দাঁড়ানোয় রাস্তাটি আরও সংকীর্ণ হয়ে যায়। বিশেষ করে ট্রেন আসার সময় খুব ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে চলাচল করতে হয়। পুরকর্তৃপক্ষ ও রেলকর্তৃপক্ষ চোখ বন্ধ করে না থেকে ডায়মন্ড হারবার শহরের এই সমস্যা সমাধানে স্থায়ী উদ্যোগ নিতে পারে না?
সংবাদ থেকে বঞ্চিত
১৯৭৬ সালে থেকে এই পত্রিকার নিয়মিত পাঠক। আমরা সম্ভবত ঘুটগড়িয়া ১৩১৬ প্লট বড়জোড়া বাঁকুড়া থেকে মুদ্রিত সংবাদপত্র নিয়মিত পাই। দুঃখের সঙ্গে জানাই, স্বাধীনতা দিবস (১৫.৮.১২) উপলক্ষে ছুটির জন্য ১৭.৮.১২ তারিখের সংবাদপত্রে ‘৬৬তম স্বাধীনতা দিবস’ সারা দেশের প্রসিদ্ধ প্রসিদ্ধ স্থানে পালিত হওয়ার কোনও খবর নেই! আগামী দিনে মাননীয় সম্পাদক এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করলে আনন্দিত হব। প্রতিদিন সকালবেলা তাড়াতাড়ি পত্রিকা কাছে পাওয়ার জন্য আপনাদের পদক্ষেপ অভিনন্দিত। সেইসঙ্গে জানাই গতকালের একটু গভীর রাতের কোনও সংবাদ ছাপা হয় না এবং তারও পরবর্তী দিনে উক্ত সংবাদের কোনও উল্লেখ থাকে না। ফলে সেই সব সংবাদ থেকে সম্পূর্ণরূপে বঞ্চিত হই। একটু গভীর রাতের খেলার খবর ভাল ভাবে জানতে পারি না। এই সব ক্ষেত্রে একটু লক্ষ্য রাখলে আমরা মফস্সলবাসী খুবই উপকৃত হব।
নজর দিক রেল
খড়্গপুরে বিখ্যাত হাতিগলা পোল। উপরে রেল লাইন, নীচে রাস্তা। দিঘা-কাঁথিগামী সব যানবাহন এর নীচ দিয়ে যাতায়াত করে। প্রতিদিন হাজার কয়েক গাড়ি এই পোল পারাপার করে। হাতিগলা পোলের দু’টি অংশ। প্রথম অংশটি ব্রিটিশ আমলে তৈরি হয়েছিল। যথেষ্ট উঁচু। পরবর্তী কালে ভারত সরকারের আমলে তৈরি হয়েছে নিচু কংক্রিটের পোল। এই কংক্রিটের পোলে ধাক্কা খেয়ে সাধারণ মানুষের মৃত্যু ক্রমবর্ধমান। রেল কর্তৃপক্ষ তার দায় সেরেছেন শুধু একটি বিজ্ঞপ্তি ‘এটি নিচু পোল’ দিয়ে। রেল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবুন।
ক্যারিব্যাগ, চেতনার অভাব
বাংলার গ্রাম-গঞ্জে পুকুর, জলাশয়ের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। মুখ্য কারণ, পলিপ্যাক বা ক্যারিব্যাগ দূষণ। জন সচেতনতার অভাবে ক্যারিব্যাগ ব্যবহারের পর নির্বিকারে পুকুর, ডোবা বা জলাশয়ে ফেলা হচ্ছে নিত্যদিন। এর ফলে দূষণে পুকুরের জল যেমন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে, তেমনই জলীয় জীবনে সংকট নেমে আসছে। বহু স্বল্পপ্রাণ যুক্ত মাছ-সহ ব্যাঙ দূষণজনিত কারণে বিলুপ্তির পথে। হারিয়ে যেতে বসেছে পুঁটি, মৌরলা, চাঁদা, ন্যাদস, ট্যাংরার মতো মাছ।
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি,
সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.