|
|
|
|
বৃষ্টির বাধা এড়িয়ে বাজার জিতে নিল শেষ রবিবার |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
আজ মহালয়া। দেবীপক্ষের শুরু। পুজোর আগে শেষ রবিবার তাই কেনাকাটার ভিড়ে জমে গিয়েছিল বাজার। কদিন ধরেই চলছে বৃষ্টির চোখরাঙানি। তবে তাতে যে কেনাকাটায় মেতে ওঠা জনতাকে রোখা যাবে না তা বোধহয় বুঝতে একটু ভুল হয়েছিল বরুণদেবের। কেন না বৃষ্টি মাথায় করেই পুজোর জামাকাপড় থেকে প্রসাধনী সবকিছুতেই এ দিন ব্যাগ ভরে নিতে নেমে বাজারে ভেঙে পড়েছিল ভিড়।
সুন্দরবন এলাকার ধামাখালি, সরবেড়িয়া, গোসাবা, বাসন্তী প্রভৃতি বিভিন্ন এলাকা থেরে ক্যানিয়ে বাজার করতে চলে এসেছিলেন বাসিন্দারা। এ বছর পোশাকের দাম ঊর্দ্ধমুখী। অন্যান্য বাজারও বেশ চড়া। তবু তার মধ্যেই দরদাম করে পুজোর বাজারে ব্যস্ত ছিলেন সবাই। ক্যানিংয়ের সোনালি মাইতি, দোলা সিংহ জানালেন, “অন্যবার কলকাতা থেকে কেনাকাটা করলেও এবার এখান থেকেই পুজোর বাজার সেরে নিলাম।” বাসন্তীর কুলতলির বাসিন্দা রমা বৈদ্যর মতে, “পুজোর সময় কলকাতায় খুব ভিড় থাকায় ইচ্ছামত কেনাকাটা করা যায় না। এখানে ওই সমস্যা নেই। আরামেই কেনাকাটা করতে পেরেছি।”
পুজোর বাজারের এই ভিড়ে খুশি পোশাক ব্যবসায়ীরাও। পরেশ পাল, পরিতোষ সাহা, অমিত বিশ্বাসরা বললেন, “অন্য বারের চেয়ে এ বার পুজোয় বিক্রি ভাল হয়েছে। মাতলা নদীর উপরে সেতু হয়ে যাওয়ার ফলে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকেও প্রচুর মানুষ এখানে বাজার করতে আসছেন। এটা সত্যিই ভাল দিক।” বাকি দিনগুলিতে আরও ভিড়ের আশা করছেন তারা।
কয়েক বছর আগের আয়লার স্মৃতি এখনও মুছে যায়নি। তাই পুজোয় আর আগের মতো উৎসাহ নেই। হাসনাবাদ, হিঙ্গলগঞ্জ, বাদুড়িয়া, সন্দেশখালির পুজোর বাজার বেশ ফাঁকা। ব্যবসায়ীরা মূলত নির্ভর করছেন শহরের মানুষের উপর। তাই কোন দোকানে গেলে কী পাওয়া যাবে তা জানিয়ে চলছে মাইক-প্রচার। দোকান সেজেছে বাহারি আলোয়। এই টোটকায় অবশ্য কাজও হচ্ছে। কিন্তু বৃষ্টির টি-টোয়েন্টি স্টাইলের মারকাটারি ব্যাটিং কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলেছে পুজোর বাজারে। বসিরহাট পুরাতন বাজারের পোশাক ব্যবসায়ী রতন মণ্ডল, কমল পালরা বললেন, আশানুরূপ বিক্রি না হলেও বৃষ্টি কমার পর ভিড় হচ্ছে ভালই।
ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপ দুই মহকুমাতেই পুজোর বাজার বেশ জমজমাট। ডায়মন্ড হারবারের পোশাক-ব্যবসায়ী সুরজ মণ্ডল জানালেন, গত বছর ঈদ, দুর্গাপুজো প্রায় একসঙ্গে হওয়ায় খুব চাপ পড়ে গিয়েছিল। এ বছর তা নেই। কেনাকাটা ভাল হলেও একমাত্র বাধা বৃষ্টি। |
|
|
|
|
|