টুকরো খবর
রেল লাইনে মা-মেয়ের দেহ
রেললাইনের ধার থেকে এক মহিলা ও তাঁর কিশোরী কন্যার দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। ওই মহিলার নাম অর্চনা সরকার (৩০) এবং সুচেতা সরকার (১০)। রবিবার দুপুরে নদিয়ার চাকদহ ও পালপাড়া রেল স্টেশনের মাঝখানে ডাউন লাইনের ধারে তাঁদের দেহ পড়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা তা দেখে খবর দেন পুলিশকে। ওই দু’জনের বাড়ি চাকদহ থানার নেতাজিবাজার নিজরাপাড়ায়। রানাঘাট থানার আইসি সুভাষ রায় বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, ওই মহিলা ও তাঁর মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। তবে এই ব্যাপারে কেউই কোনও অভিযোগ করেননি। তাঁদের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট পেলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই দু’জন। তারপরে আর বাড়ির লোকজন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। অর্চনাদেবীর মোবাইল ফোন বারবার বেজে গিয়েছে। অর্চনার বাড়ি ঘেটুগাদি গ্রাম পঞ্চায়েতের নিজরাপাড়া এলাকায়। স্বামীর নাম সুকুমার সরকার। সুকুমারবাবু কাঠমিস্ত্রি। তাঁদের দুই মেয়ে। বড় মেয়ে নেতাজিনগর হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক দেবে। সুচেতা পড়ত ওই স্কুলেরই পঞ্চম শ্রেণিতে। বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অর্চনাদেবীর সঙ্গে তাঁর স্বামীর মাঝে মধ্যে বচসা হত। স্থানীয় বাসিন্দা রবি সাহা বলেন, “যতদূর শুনেছি শনিবার রাতেও অর্চনাকে মারধর করা হয়েছে।” অর্চনার দাদা অর্জুন মণ্ডল বলেন, “আমার বোন খুব চাপা স্বভাবের ছিল। সংসারের সব কথা খুলে বলত না। তবে মাঝেমধ্যে যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে গণ্ডগোল হত, এমনকী মারধরও করা হয়েছে, তা আমরা জেনেছি। কিন্তু ও যে এমন কাণ্ড করে ফেলবে, তা বুঝিনি।”

শান্তিপুরে স্কুল নাট্যোৎসব
শান্তিপুরের পাবলিক লাইব্রেরির প্রেক্ষাগৃহে স্কুল নাট্যোৎসবে উপছে পড়ল ভিড়। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়েই আয়োজকেরা নিলেন এক আশ্চর্য উপায়। দু’টি করে নাটক হয়ে যাওয়ার পরেই প্রেক্ষাগৃহ খালি করে দেওয়া হচ্ছিল। নতুন করে ঢুকে দর্শকেরা আবার পরের দু’টি নাটক দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। এ ভাবেই শান্তিপুর পুরসভা আয়োজিত তৃতীয় বার্ষিক আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় নাট্যোৎসব জমে উঠেছিল। গত ৯ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর পর্যন্ত চার দিনের বিদ্যালয় ভিত্তিক এই নাটোৎসবে শান্তিপুর পুরসভার মোট ১৩টি স্কুল অংশ নেয়। আর তারা অভিনয় করল শেক্সপীয়র থেকে অস্কার ওয়াইল্ডের রচনা। ছিল জ্ঞানদানন্দিনীদেবীর রচনার নাট্যরূপও। পরিবেশ বা অরণ্য সংরক্ষণ থেকে শুরু করে শিশু বিবাহ পর্যন্ত নানা বিষয় উঠে এসেছে। উৎসবের প্রধান উদ্যোক্তা শান্তিপুরের পুরপ্রধান অজয় দে বলেন, “পড়াশোনার চাপে ছাত্রছাত্রীদের অন্য জগতের সঙ্গে কার্যত সম্পর্ক ছিন্ন হতে বসেছে। আমরা মনে করছি অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকলে একটা সুস্থ মানসিকতার মধ্যে দিয়ে তারা বড় হবে।” তাই তিন বছর ধরে এই নাট্যোৎসব হচ্ছে। স্থানীয় নাট্য জগতও এই ঘটনায় পুরসভার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। উৎসবের অন্যতম উদ্যোক্তা নাট্য পরিচালক কৌশিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমার তো মনে হয়, অন্য সব পুরসভার এই প্রথা অনুসরণ করা উচিত।”

স্কুলভোট, তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে নদিয়ার হাঁসখালির দু’টি স্কুল পরিচালন সমিতির ভোট বয়কট করল সিপিএম। রবিবার হাঁসখালি থানার মামজোয়ান শ্যামাচরণ বিদ্যাপীঠ ও পারবাটিকামারি কিশোরীমোহন বিদ্যাপীঠ স্কুলে ছিল ওই নির্বাচন। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য সুপ্রতীপ রায় বলেন, “মোটরবাইক ও গাড়িতে তৃণমূলের সমাজবিরোধীরা মামজোয়ান শ্যামাচরণ বিদ্যাপীঠে এসে আমাদের প্রার্থী ও এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। এর পরেই ভোট বয়কট করে আমাদের প্রার্থীরা স্কুল থেকে বেরিয়ে আসেন।” তিনি বলেন, “একই ভাবে পারবাটিকামারি কিশোরীমোহন বিদ্যাপীঠে জোর করে ছাপ্পা ভোট দেয় তারা। প্রতিবাদে ভোট করে বেরিয়ে আসে আমাদের প্রার্থীরা।” তৃণমূলের হাঁসখালি ব্লক সভাপতি মন্টু ঘোষ বলেন, “জন সমর্থন নেই বুঝতে পেরে ভোটকেন্দ্র থেকে পালিয়ে এসে এখন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।”

তৃণমূল দফতর ভাঙচুর, নালিশ
নবদ্বীপের বাবলারি পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে সিপিএমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, রবিবার সকালে কর্মীরা দেখেন দলীয় কার্যালয়ের দরজা তালা ভাঙা অবস্থায় খোলা রয়েছে। তৃণমূলের কংগ্রেসের বাবলারী অঞ্চল সম্পাদক অগ্নিশ্বর ঘোষ বলেন, “সিপিএমের দুষ্কৃতীরা শনিবার রাতের অন্ধকারে দলীয় কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভিতরে ঢোকে। দুষ্কৃতীরা দলীয় কার্যালয়ে রাখা দলীয় পতাকা, ব্যানার-পোস্টার সব নষ্ট করে দিয়েছে। গোটা বিষয়টি জানিয়ে নবদ্বীপ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। দুষ্কৃতীদের অবিলম্বে গ্রেফতাররে দাবি জানিয়েছি পুলিশের কাছে।” সিপিএমের পক্ষ থেকে অবশ্য ওই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। সিপিএমের বাবলারি শাখা কমিটির সম্পাদক গৌতম নন্দী বলেন, “ওই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুরের সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত নয়। আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।”

অনুপ্রবেশকারী ধৃত
বাংলাদেশি এক যুবককে গ্রেফতার করেছে বেলডাঙা থানার পুলিশ। ধৃত যুবকের নাম স্বপন ফকির। ঢাকার দোহার থানার মধুপুর চরের বাসিন্দা ওই যুবককে শুক্রবার রাতে বেলডাঙা থানার সুরুলিয়া গ্রাম থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। শনিবার বহরমপুরের সিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক তাকে জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ জানায়, ভিসা-পাসপোর্ট ছাড়াই ভারতে প্রবেশের দায়ে ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে বেআইনি ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ওই যুবক কলকাতায় আসে। সেখান থেকে বেলডাঙা থানা এলাকায় মাঝে-মধ্যে তাকে আসতে দেখে এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। গোটা বিষয়টি তারা পুলিশকে জানায়। ওই রাতে খবর পেয়ে পুলিশ বাংলাদেশি যুবককে গ্রেফতার করে। ওই যুবকের বেলডাঙা আসার কারণ পুলিশ খতিয়ে দেখছে।

সেনা কর্মী গ্রেফতার
মানসিক ভারসাম্যহীন এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে সামরিক বাহিনীর এক অবসরপ্রাপ্ত কর্মী সনাতন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ওই নাবালিকাকে রাস্তা থেকে বাড়িতে নিয়ে এসে ধর্ষণ করে বলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ। পরে এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তেহট্ট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বেতাই নতুনবাজার এলাকার বাড়ি থেকে সনাতনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানায়, “ঘটনার পরেই ওই নাবালিকাকে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। এদিকে রবিবার তেহট্ট মহকুমা আদালতে ধৃত ব্যক্তিক হাজির করানো হলে বিচারক জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।

সায়ন স্মরণ
সায়ন বিশ্বাসের অকাল প্রয়াণে রবিবার কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এক স্মরণ সভার আয়োজন হয়। স্মৃতিরক্ষা কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ওই স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন সায়ন বিশ্বাসের বাবা রাজ্যের উদ্যানপালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ দফতরের মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস। এ ছাড়াও তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক ও অন্য নেতৃবর্গ ওই অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে স্মৃতিচারণা করেন। উপস্থিত ছিলেন এলাকার কয়েকশো মানুষ। প্রসঙ্গত, গত ২৯ সেপ্টেম্বর গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন সায়ন। কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে গত ৩ অক্টোবর তিনি মারা যান।

গাঁজা উদ্ধার, গ্রেফতার চার
বেলডাঙার মহেশপুরে হানা দিয়ে গাঁজা-সহ রবিবার দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেখানে পুলিশ ৩৪ কিলোগ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছে। ওই ঘটনায় বেলডাঙার আসারুল শেখ ও জলপাইগুড়ির বাসিন্দা রমেশ দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, আসারুল শেখকে গাঁজা সরবরাহ করত রমেশ। খবর পেয়ে পুলিশ আসারুলের বাড়িতে হানা দিয়ে ওই গাঁজা উদ্ধার করে। গ্রেফতার হয় দুজন। এ দিকে, ডোমকলেও গাঁজা-সহ দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের নাম ফারুক মণ্ডল ও বাপি মণ্ডল। তাদের বাড়ি জলঙ্গির বিদুপুর কলোনি ও বিশ্বাসপাড়ায়। ১০ কিলোগ্রাম গাঁজা উদ্ধার হয়েছে। ওড়িশা থেকে ওই গাঁজা আনা হচ্ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.