শনিবার ওদের পারফরম্যান্সে কেকেআর একটু হতাশই হবে। কিন্তু সেটা পুষিয়ে নেওয়ার সময় আর সুযোগ দুটোই ওরা পাবে। এই বছর নাইটদের আইপিএল অভিযানও একই ভাবে শুরু হয়েছিল। আর কাকতালীয় ভাবে ঘরের মাঠে এই একই দলের বিরুদ্ধে হেরেছিল ওরা। এটা থেকে অনুপ্রেরণা নিতে পারে কেকেআর। দিল্লির পেস আক্রমণ অসাধারণ ছিল। বিশেষ করে মর্নি মর্কেল। সেঞ্চুরিয়নের ওর বাউন্স ব্যাটসম্যানদের তাড়াতাড়ি রান করতে দেয়নি। ওদের আহতও করেছিল। কালিসের চোট নিশ্চয়ই কেকেআরকে চিন্তায় রাখবে। দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে কালিসের টেকনিক অমূল্য। ব্রেট লি-র বলে সে রকম গতি দেখছি না। তাই কালিসের বোলিংটাও দলের পক্ষে খুব জরুরি।
আইপিএল ফাইভে কেকেআরের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করে ছিল স্পিন বোলিংয়ের মানের উপর। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার সিমিং উইকেটে ওদের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ হবে বলে মনে হয় না। যদিও সুনীল নারিন দারুণ ছন্দে ছিল। এই ফর্ম্যাটে নারিন খুব বিপজ্জনক। দক্ষিণ আফ্রিকার উইকেটেও ওর বল টার্ন করছিল। যে কোনও স্পিনারের কাছে যেটা খুব বড় একটা ব্যাপার। শুধু স্পিন-সহায়ক পিচে বল টার্ন করানো নয়, একজন সফল স্পিনারকে তো অন্য ধরনের উইকেটেও কার্যকর হতে হবে। এই যে কয়েকদিন আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, তার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান ছিল নারিনেরই। নাইটদের পরের ম্যাচ যাদের সঙ্গে, খাতায়-কলমে সেই অকল্যান্ড এসেস অনেকটাই পিছিয়ে। কিন্তু কেকেআরের পারফরম্যান্সেরও উন্নতি দরকার। দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবেশে উপমহাদেশের দলগুলো আস্তে আস্তে ছন্দ খুঁজে পায়। কেকেআরকে সেটা করতে হবে মাত্র একটা দিনে। ওদের ক্যাপ্টেনকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। হালফিলে গম্ভীর খুব ভাল ফর্মে নেই। খুব তাড়াতাড়ি ওকে ছন্দে ফিরতে হবে। বাইরে থেকে যা মনে হয় সেটা হল, টেকনিক নিয়ে কোনও সমস্যা নেই গম্ভীরের। তবে এক-এক সময় ওর মানসিক দৃঢ়তার অভাবটা বোঝা যায়। এটা কিন্তু খুব তাড়াতাড়ি ঠিক করে ফেলা যায়। গম্ভীরকে মাথা থেকে ব্যর্থতার ভয়টা তাড়াতে হবে। খেলার মাঠে একটা কথা খুব চলে‘বুল-হেডেড’। যার মানে হল, খুব বেশি না ভেবে শুধু নিজের খেলাটার উপর ফোকাস করো। গম্ভীরকে ঠিক সেটাই করতে হবে। ওর নেতৃত্ব নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু ব্যাট হাতে গম্ভীরকে ভাল খেলতে হবে। |